বিধানসভা নির্বাচনের মুখে সাধারণ যাত্রীদের আর্থিক ভারসাম্য রক্ষায় নয়া কৌশল নিয়েছে রেলমন্ত্রক। একদিকে যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত, অন্যদিকে টিকিট বাতিলে যাত্রীদের কিছুটা আর্থিক সুরাহা দিতে উদ্যোগী হল রেল।
সোমবার (৩০ জুন) রেলমন্ত্রক জানিয়েছে, আজ, মঙ্গলবার (১ জুলাই) থেকেই শর্তসাপেক্ষে ট্রেনের যাত্রী ভাড়া বৃদ্ধি কার্যকর হচ্ছে। বেশ কিছু ট্রেনের বিভিন্ন শ্রেণিতে এই ভাড়া বৃদ্ধি হবে। তবে ঠিক কত শতাংশ হারে বাড়বে, তা নির্দিষ্টভাবে এখনও জানানো হয়নি।
তবে একইসঙ্গে সোমবারই রেলের শীর্ষ সূত্র থেকে দাবি করা হয়েছে, এবার টিকিট ক্যানসেলেশনের ক্ষেত্রে ‘ক্ল্যারিক্যাল চার্জ’ (Clerical Charge) প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেল। অর্থাৎ, টিকিট বাতিল করলে যাত্রীরা তুলনামূলক বেশি রিফান্ড পাবেন।
বর্তমানে ওয়েটিং লিস্ট (Waitlisted) এবং আরএসি (RAC) টিকিট বাতিল করলেও যাত্রীদের কাছ থেকে ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত ‘ক্ল্যারিক্যাল চার্জ’ কাটা হয়। এই চার্জই এবার তুলে দেওয়ার পথে রেল।
রেল সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই এই সংক্রান্ত সরকারি বিজ্ঞপ্তি জারি হতে চলেছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে রেলযাত্রীরা টিকিট বাতিলের ক্ষেত্রে আগের তুলনায় বেশি টাকা ফেরত পাবেন।
বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, একদিকে ভাড়া বৃদ্ধির চাপ থাকলেও, অন্যদিকে রিফান্ডের সুবিধা বাড়িয়ে রেল কিছুটা ‘ইলেকশন ব্যালান্সিং অ্যাক্ট’ করতে চাইছে। কারণ, একাধিক রাজ্যে বিধানসভা ভোট আসন্ন।
যাত্রী মহলের একাংশ বলছেন, যাত্রী স্বার্থের কথা ভেবে এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক। তবে ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি কতটা চাপ বাড়াবে, তা সময়ই বলবে।