দেশ
সংসদে পাশ হল কনজিউমার প্রোটেকশন বিল ২০১৯

নয়াদিল্লি: সময়োপযোগী এবং কার্যকরী প্রশাসনিক বিভাগ প্রতিষ্ঠা এবং ক্রেতার অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির সহায়ক পরিকাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে পাশ হল কনজিউমার প্রোটেকশন বিল ২০১৯। মঙ্গলবার সংসদের উচ্চকক্ষে ধ্বনিভোটেই পাশ হয়ে যায় এই বিল।ষ করার জন্য কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে।
এক আগেই লোকসভায় পাশ হয়েছিল কনজিউমার প্রোটেকশন বিল ২০১৮। এ দিন রাজ্যসভাতেও নির্বিঘ্নে পাশ হয় এই বিল। প্রস্তাবিত বিলেন উপর বিতর্কে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় ক্রেতা সুরক্ষা বিষয়কমন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান বলেন, সদস্যদের দেওয়া পরামর্শগুলি এই বিলের অধীনস্ত প্রস্তাবিত বিধিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই বিল গ্রাহকদের অধিকার জোরদার করার চেষ্টা করবে এবং কোনো পণ্যের ত্রুটি এবং পরিষেবাগুলির ঘাটতি সম্পর্কিত অভিযোগের প্রতিকারের জন্য একটি দৃঢ় ব্যবস্থা সরবরাহ করবে।
প্রসঙ্গত, গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় জন্য নতুন পদক্ষেপের অঙ্গ হিসাবে গত ডিসেম্বর মাসে লোকসভায় পাশ হয়েছিল কনজিউমার প্রোটেকশন বিল-২০১৮। নতুন এই বিলটি ১৯৮৬ সালের বিলের খামতিগুলোকে দূর করে ক্রেতার অধিকারকে আরও সুনিশ্চিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশ
Kumbh Mela 2021: করোনাবিধিকে শিকেয় তুলে এক লক্ষ মানুষের সমাগম, আজ কুম্ভের প্রথম সাহি স্নান হরিদ্বারে
অসহায় পুলিশ। শারীরিক দূরত্ববিধি মানতে বলা কার্যত অসম্ভব।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: গত বছর এই সময়ই দিল্লির একটা ঘটনা সামনে এসে গিয়েছিল। করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য এক শ্রেণির মানুষ সেই ঘটনাটিকেই দায়ী করছিলেন। সেটি ছিল তবলিগি জামাতের একটি জমায়েত। ব্যাপারটা নিয়ে এতটাই জলঘলা হয়েছিল যে ওই জামাতে অংশগ্রহণকারীদের সরাসরি দেশদ্রোহীর তকমাও দেওয়া শুরু হয়ে যায়। ব্যাপারটাকে এমন ভাবে প্রচার করা হয় যে সেই জামাতের জন্যই দেশে করোনাভাইরাস ছড়িয়েছে।
ঠিক পরের বছর। দেশে দাপট কমে গিয়েও ফের দ্বিগুণ শক্তি নিয়ে ফিরে এসেছে করোনাভাইরাস। সংক্রমণের প্রথম ঢেউয়ের চূড়া ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি আর কতটা ভয়াবহ হবে আন্দাজ করাই যাচ্ছে না। এর মধ্যে কুম্ভ মেলা শুরু হয়েছে হরিদ্বারে। সোমবার তার প্রথম সাহি স্নান।
স্বাস্থ্যবিধিকে কোনো তোয়াক্কা করছে না কেউ। দিল্লি, মহারাষ্ট্র, পঞ্জাব এমনকি উত্তরপ্রদেশও যেখানে ধর্মীয় স্থানে জমায়েত আপাতত নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে, তখন রবিবার সন্ধ্যায় হরিদ্বারের হর কী পৌড়ীতে দেখা গেল কম্পক্ষে এক লক্ষ মানুষের জমায়েত। স্বাস্থ্যবিধি পালন করতে দেখা গিয়েছে গুটিকয়েক পুণ্যার্থীকে। বেশিরভাগই মাস্কহীন।
বেশিরভাগ পুণ্যার্থীই মনে করছেন হরিদ্বারে কোভিড কোনো সমস্যাই নয়, কারণ এখন রাজ্যে প্রবেশ করতে গেলে আরটি-পিসিআরের নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। যদিও তথ্য বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় ১,৩৩৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন এই রাজ্যে, যা এখনও পর্যন্ত উত্তরাখণ্ডের ক্ষেত্রে দৈনিক সর্বোচ্চ। এর মধ্যে হরিদ্বারে নতুন করে আক্রান্ত ৩৮২।
হরিদ্বারের বিভিন্ন ঘাটে মাইকে সমানে ঘোষণা হচ্ছে করোনাবিধি পালন করার জন্য। মাস্ক পরা, শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলার কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু পুণ্যার্থীরা সে কথা শুনবেন কেন! তাঁদের অনেকেই মনে করেন, গঙ্গায় ডুব দিলে করোনার টিকিও তাঁদের ছুঁতে পারবে না।
পুণার্থীদের ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা যে কার্যত অসম্ভব, অসহায় ভাবেই সেই কথা মেনে নিয়েছেন মেলার পুলিশ আধিকারিক এসকে গুনজিয়াল। তিনি বলেন, “ভিড় নিয়ন্ত্রণ করা ভীষণ চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। রাজ্য এবং কেন্দ্র থেকে এসওপি জারি করা হয়েছে, হরিদ্বারে প্রবেশ করতে গেলে করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দেখা যাক কী হয়।”
পুলিশ অসহায়, কিন্তু সাধারণ মানুষের কোনো কিছুতেই তোয়াক্কা নেই। হরিদ্বারে এই বিপুল সমাগমের অনুমতি দেওয়ার জন্য কোনো খেসারত রাজ্য সরকারকে দিতে হয় কি না, সেটা আগামী তিন চার সপ্তাহের মধ্যেই বোঝা যাবে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দেশ
Coronavirus Second Wave: স্বস্তির খবর এল পঞ্জাব থেকে, নতুন সংক্রমণকে ছাড়াল সুস্থতা, কমল সক্রিয় রোগী
পঞ্জাবে সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছে যাওয়ার ইঙ্গিত।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বিশেষজ্ঞরা বলেছিলেন করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সবার আগে চূড়ায় পৌঁছোবে পঞ্জাবে, আর সেটা হবে এপ্রিলের মাঝামাঝি। বিশেষজ্ঞদের সেই দাবি মিলে যাবে কি না, সেটা তো সময়ই বলবে কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জাবে এমন কিছু ব্যাপার হয়েছে যা কিছুটা হলেও প্রশাসনকে স্বস্তি দিচ্ছে।
এই রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাপিয়ে গিয়েছে সুস্থতার সংখ্যা। এর ফলে সামান্য হলেও কমেছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা। পাশাপাশি, দেশের বেশিরভাগ রাজ্যে সংক্রমণের হার যখন দশ শতাংশের কাছাকাছি, সেই দিক থেকেও পঞ্জাব অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় পঞ্জাবে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৩৯ জন। কিন্তু সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ১২১ জন। দেশে বড়ো রাজ্যগুলির মধ্যে একমাত্র পঞ্জাবেই গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থতা ছাড়িয়ে গেল দৈনিক সংক্রমণকে। তবে এর মধ্যে রাজ্যে দৈনিক মৃত্যু প্রশাসনকে চিন্তায় রাখছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে যা দৈনিক সংক্রমণের বিচারে ১.৯৪ শতাংশ। গোটা দেশে যেখানে দৈনিক সংক্রমণের বিচারে মৃত্যুহার কোথাও কোথাও ০.৫ শতাংশেরও কম, সেখানে পঞ্জাবের এই তথ্য রীতিমতো চিন্তার। এই মৃত্যুর সংখ্যা এবং সুস্থতার সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেশ কিছুটা কমে ২৭ হাজারের ঘরে নেমে এসেছে।
গত কয়েক দিন ধরেই পঞ্জাবে দৈনিক সংক্রমণ ৩ হাজারের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। বেশিরভাগ রাজ্যে যেখানে সংক্রমণ ৪ হাজার, ৫ হাজার ছাড়িয়ে যাচ্ছে, সেখানে পঞ্জাবের পরিস্থিতি কিছুটা স্বস্তিদায়ক। ফলে পঞ্জাব সংক্রমণ দ্বিতীয় চূড়ার কাছাকাছি এসে গিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই ব্যাপারে নিশ্চিত হতে আরও কিছুদিন দৈনিক সংক্রমণের ওপরে নজর রাখতে হবে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দেশ
Coronavirus Second Wave: মহারাষ্ট্র লকডাউনের পথে গেলেও সংক্রমণের দাপট কিছুটা থিতু হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে
লকডাউন হলে ধসে পড়বে অর্থনীতি।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: সম্ভবত সম্পূর্ণ লকডাউনই ঘোষিত হতে চলেছে মহারাষ্ট্রে। এমনই ইঙ্গিত দিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপে। তবে সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত বুধবার ১৪ এপ্রিলের পর নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে একটা বিষয় সামনে আসছে। সেটা হল সংক্রমণ উত্তরোত্তর বাড়লেও তার দাপট কিছুটা থিতু হওয়ার ইঙ্গিতই দিচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ২৯৪ জন। এখনও পর্যন্ত এটাই মহারাষ্ট্রের সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ। কিন্তু এত মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বিপুল পরিমাণে টেস্টের বিপরীতে। গত ২৪ ঘণ্টায় এই রাজ্যে মোট টেস্ট হয়েছিল ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৩৭টি। অর্থাৎ নতুমা পরীক্ষার বিচারে রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ২৪.০৫ শতাংশ।
এই সংক্রমণের হারটাই কিছুটা আশার আলো দেখাতে শুরু করেছে। দিন দশেক রাজ্যে মহারাষ্ট্রে সংক্রমণের হার বেড়ে ২৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গত কয়েকদিন হল সেটি ২৩-২৪ শতাংশের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। এমনকি মার্চের শেষে বেশ কয়েক দিন ধরে সংক্রমণের হার যে ২৫ শতাংশের ওপরে ছিল, সেটাও এখন সামান্য হলেও কমেছে।
বিশেষজ্ঞরা বার বার টেস্ট বাড়ানোর কথা বলছেন। টেস্ট বাড়লে সংক্রমণের হার কমতে বাধ্য। সাধারণত এই সংক্রমণের হারকে পাঁচ শতাংশের নীচে নিয়ে এলে বলা যায় যে পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসেছে। মহারাষ্ট্রের ক্ষেত্রে সেটা এখনই সম্ভব না হলেও সংক্রমণের হার একটু একটু কমে কমবে তেমনটা আশা করাই যায়।
মহারাষ্ট্রে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মূলত যে জায়গাগুলিতে শুরু হয়েছিল, সেই অমরাবতী, আকোলা এবং ইয়াবৎমলেও পরিস্থিতি কিন্তু নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসে গিয়েছে। সব থেকে তাৎপর্যের বিষয় হল গত বছর প্রথম ঢেউয়ের সময় মহারাষ্ট্রে সর্বোচ্চ দৈনিক সংক্রমণ ছিল ২৫ হাজার, সে দিন কিন্তু টেস্ট হয়েছিল ৯৮ হাজার। অর্থাৎ সে দিনও সংক্রমণের হার ছিল ২৪-২৫ শতাংশ।
কিন্তু তবুও লকডাউনের পথেই হাঁটতে চাইছে মহারাষ্ট্র। তবে লকডাউন ঘোষিত হলে অর্থনীতিতে তার বিপুল প্রভাব পড়বেই। একই মানুষ সাধারণ মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যেও ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। সব মিলিয়ে এখন সাবধানে পা ফেলতে হবে মহারাষ্ট্র সরকারকে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Bengal Corona Update: নমুনা পরীক্ষার সঙ্গেই তাল মিলিয়ে বাড়ল বাংলার দৈনিক করোনা সংক্রমণ
-
রাজ্য2 days ago
Bengal Polls Live: সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭৫ শতাংশের বেশি
-
বিদেশ2 days ago
Coronavirus Infection: কোনো বস্তু থেকে করোনায় সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা ১০ হাজারে মাত্র ১, জানাল মার্কিন সিডিসি
-
রাজ্য2 days ago
Bengal Polls 2021: কোচবিহারে ৩ দিনের জন্য রাজনীতিবিদদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করল নির্বাচন কমিশন
-
রাজ্য2 days ago
Bengal Polls 2021: বাহিনীর গুলিতে হত ৪, শীতলকুচি যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়