ওয়েবডেস্ক: ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) বৃহস্পতিবার মুদ্রাস্ফীতির সাম্প্রতিক বৃদ্ধি এবং করোনাভাইরাস মহামারির (Coronavirus pandemic) প্রভাবজনিত কারণে রেপো রেট এবং অন্যান্য মূল হারগুলি অপরিবর্তিত রেখে দিল।
আরবিআইয়ের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, “কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের মুদ্রানীতি কমিটি সর্বসম্মত ভাবে মূল হারগুলি অপরিবর্তিত রাখার এবং অনুকূল অবস্থান বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কোভিড-১৯ (Covid-19) পরিস্থিতিতে যতক্ষণ না অর্থনীতির সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হচ্ছে, পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি অব্যাহত থাকছে ততদিন পর্যন্ত এ ভাবেই মেপে পা ফেলতে হবে”।
তিনি বলেন, লকডাউনের মধ্যেই এপ্রিল-মে মাসের প্রথমদিকে দেশে অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ পুনরায় শুরু হয়েছিল। তবে কোভিড -১৯ সংক্রমণের বৃদ্ধির ফলে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বেশ কিছু শহরে এখনও পর্যন্ত লকডাউন জারি রাখতে বাধ্য হচ্ছে। একই সঙ্গে শুধু এ দেশ নয়, গোটা বিশ্বই করোনার প্রভাবে অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছে।
সংবাদ মাধ্যমের উদ্দেশে একটি ভার্চুয়াল ভাষণে আরবিআই গভর্নর বলেন, ২০২০-২১ আর্থিক বছরের প্রথমার্ধ অথবা প্রায় পুরোটা জুড়েই দেশের জিডিপি (GDP) সংকুচিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সুদের হার এখন কত?
এ দিন আরবিআইয়ের ছয় সদস্যের মুদ্রানীতি কমিটি বা মনিটারি পলিসি কমিটি (MPC) এই সিদ্ধান্ত নেয়। জানানো হয়, রেপো রেট ৪ শতাংশই রয়ে গেল, রিভার্স রেপো রেট রইল ৩.৩৫ শতাংশ। রেপো রেট সেই হার, যাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্য ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়। রিভার্স রেপো রেট, যে হারে আরবিআই অন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ গ্রহণ করে।
আরবিআই গভর্নরের আশঙ্কা!
কয়েক সপ্তাহ আগে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে আরবিআই গভর্নর বলেন, “কোভিড-১৯ মহামারি এক দিকে যেমন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলেছে, তেমনই এই পরিস্থিতির জেরে সংকটে পড়েছে অর্থনীতিও। উৎপাদন থেকে শুরু করে কাজের উপরও খাড়া নেমে এসেছে। সব মিলিয়ে এই পরিস্থিতি শেষ একশো বছরে স্বাস্থ্য এবং অর্থনীতির কাছে সব থেকে বড়ো সংকটের চেহারা নিয়েছে”।
তিনি বলেন, “কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাব সারা বিশ্বে থাবা বসিয়েছে। যে কারণে বর্তমানে বিশ্বব্যাপীমান শৃঙ্খলা, শ্রম এবং মূলধন লেনদেন এবং সারা বিশ্বের বিশাল অংশের মানুষের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উপর যে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে, তা বলাই বাহুল্য”।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।