খবরঅনলাইন ডেস্ক: প্রতীক্ষার অবসান হতে চলেছে সেপ্টেম্বরের শেষে। অটল টানেল বা রোটাং টানেলের উদ্বোধন করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ভারতের কাছে অন্যতম স্বপ্নের একটা প্রকল্প এই রোটাং টানেল। এই প্রকল্পে মোট ব্যয় হয়েছে ৩,২০০ কোটি টাকা। মূলত সামরিক কৌশলগত কারণে এই টানেল তৈরির পরিকল্পনা হলেও এতে সুবিধা পাবেন পর্যটকরাও।
রোটাং টানেলের বৈশিষ্ট্য কী দেখে নিন
১) শীতকালে প্রবল তুষারপাতের কারণে রোটাং পাস অগম্য হয়ে যায়। সে কারণে হিমাচলের লাহুল-স্পিতি অঞ্চল গোটা দেশের থেকে সড়কপথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এই টানেলের ফলে এখন সেটা আর হবে না। এই টানেলের কারণে প্রবল শীতেও লাহুল-স্পিতি যাওয়া সম্ভব।
২) কাছেই চিন সীমান্ত। কৌশলগত কারণে এই টানেল তৈরি হয়েছে। খুব সহজেই সেনাকে সরিয়ে নেওয়া যাবে। তবে এই টানেলের কারণে এখন গভীর শীতেও কেলং যেতে পারবেন পর্যটকরা।
৩) ৯ কিলোমিটার দীর্ঘ এই টানেলটি চালু হলে সেটি হবে বিশ্বের দীর্ঘতম টানেল। সমুদ্রতল থেকে ১০ হাজার ফিটের গড় উচ্চতায় অবস্থিত এই টানেলে প্রতি দিন তিন হাজার গাড়ি-বাস-ট্রাক যেতে পারবে। সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার হতে পারবে।

৪) এই টানেলের কারণে লাদাখ বা লাহুল-স্পিতি যাওয়ার জন্য রোটাং পাসের ওপরে আর ভরসা করতে হবে না। রোটাং পাস শুধু পর্যটন কেন্দ্র হয়ে যাবে। এই টানেলের ফলে মানালি থেকে কেলংয়ের দূরত্ব ১১৫ কিলোমিটার থেকে কমে ৬৬ কিলোমিটার হয়ে যাবে।
৫) ২০০০ সালের ৩ জুন এই টানেল তৈরি করার কথা ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। সেই কারণে এই টানলের নাম অটল টানেল রাখা হয়েছে। যদিও এই টানেল তৈরি করার পরিকল্পনা প্রথম মাথায় এসেছিল ইন্দিরা গান্ধীর, ১৯৮৩ সালে। বর্ডার রোড্স অর্গানাইজেশনকে এই টানেল তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়।
৬) ২০০৯-এর সেপ্টেম্বরে এই টানেলের কাজ শুরু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে ২০১১ সালে এই টানেল খোঁড়ার কাজ শুরু হয়।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।