বেঙ্গালুরু: আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ দায়ের হল।
গত শনিবার স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি আলোচনাসভার আয়োজন করেছিল অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ভারতীয় শাখা। আলোচনা চলাকালীন আলোচক এক কাশ্মীরি পণ্ডিতের সঙ্গে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন সভায় উপস্থিত কাশ্মীরেরর ‘স্বাধীনতা’র পক্ষে থাকা এক দল ছাত্র এবং যুবক। তাঁরা ভারতীয় সেনার বিরোধিতা করে ‘আজাদি’ স্লোগান দিতে থাকেন।
এই ঘটনার তদন্তে থাকা এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, “সংস্থার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪২, ১৪৩ (বেআইনি ভাবে জমায়েত), ১৪৭(দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা), ১২৪এ (দেশদ্রোহিতা), ১৫৩এ (সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানে তাদের কোনও সদস্য ভারতবিরোধী স্লোগান দেয়নি। তাই তাদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার অভিযোগ দায়ের সংগঠনের কাছে ‘আঘাত’।
মানবাধিকার সংস্থার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের’ ফলে ‘ক্ষতিগ্রস্ত’দের জন্য ন্যায়বিচার চেয়ে এই আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছিল। ২০১৫ সালে তাদের প্রকাশিত রিপোর্টে যাঁরা ‘আক্রান্ত’ ছিলেন বলা হয়েছিল, তাঁরাই কাশ্মীর থেকে বেঙ্গালুরুতে এসেছিলেন নিজেদের ‘যন্ত্রণা’র কথা বলার জন্য। অনু্ষ্ঠানের একেবারে শেষের দিকে শ্রোতাদের কেউ কেউ ‘আজাদি’ স্লোগান দেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, মানবাধিকার সংস্থাটি এ ব্যাপারে নিজে কোনও অবস্থান নিচ্ছে না। তাদের দাবি, মত প্রকাশের অধিকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন স্বীকৃত, শান্তিপূর্ণ ভাবে কাশ্মীরিদের যন্ত্রণাকে তুলে ধরে তারা কোনও অন্যায় করেনি।
পুলিশের পাশাপাশি অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে। তারা পুলিশের হাতে অনুষ্ঠানের একটি সিডি তুলে দিয়েছে।
Statement over Sedition charges filed against Amnesty International India https://t.co/vOgwM44S2t pic.twitter.com/aAq8JxQ7pB
— Amnesty India (@AIIndia) August 15, 2016
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।