২ বছরে ২০০০, আইআইটি আইআইএম-এ ড্রপআউট বাড়ছে

0

যথেষ্ট মেধাবী না হলে যে আইআইটি বা আইআইএম-এর মত প্রতিষ্ঠানে যে সুযোগ মেলে না, সেটা জানা বিষয়। কিন্তু সম্প্রতি সামনে এসেছে একটা চমকপ্রদ তথ্য। এই সব প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পেয়েও মাঝপথে ছেড়ে দিচ্ছেন বহু পড়ুয়া। গত ২ বছরে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দু’হাজারে।

সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশি আইআইটি দিল্লিতে। ২০১৪ থেকে ২০১৬-র মধ্যে এই প্রতিষ্ঠান থেকে মাঝপথে বেরিয়ে গিয়েছেন ৬৯৯ জন। এর পরেই আছে আইআইটি-খড়গপুর (৫৪৪) এবং আইআইটি-বম্বে (১৪৩)। আই.আই.টি- বম্বের পরিচালক দেবাঙ্গ খাখারের মতে, যারা ছাড়ছেন, তাদের বেশিরভাগই পিএইচডি-র পড়ুয়া। পারফরম্যান্স নয় বরং অনেকদিন ধরে পিএইচডি চলার কারণেই মাঝপথে প্রতিষ্ঠান ছেড়ে যাচ্ছেন তারা।   

আইআইএম-গুলির পরিসংখ্যানও একই কথা বলছে। ২০০৩-২০০৫ শিক্ষাবর্ষে দেশের আইআইএম-গুলিতে ড্রপ আউটের সংখ্যা ছিল ৩৭, ২০০৬-২০০৮-এ সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ঊনসত্তরে।২০১৪-২০১৬-তে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৪। ছয় বছর আগে তৈরি হওয়া আই.আই.এম-রায়পুরে গত দু’বছরে ২০ জন ছাত্রছাত্রী মাঝপথে ছেড়ে দিয়েছেন। আইআইএম-আহমেদাবাদ দুর্বল ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি নতুন কার্যক্রম চালু করেছেন। বাডি। এই কার্যক্রমে প্রতিটি নতুন ছাত্রছাত্রীকে মেন্টরিং করবেন দ্বিতীয় বর্ষের কোনও পড়ুয়া। এছাড়া তিন সপ্তাহের বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে পিছিয়ে পড়া ছাত্রছাত্রীদের জন্য।

যেসব ছাত্রছাত্রী মানসিক সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য আইআইটি-গুলিতে কাউন্সিলিং-এর ব্যবস্থা আছে। অনেকে মনে করতে পারেন, সংরক্ষিত আসনে ভতি৪ হওয়া পড়ুয়াদের মধ্যেই ড্রপ আউটের সংখ্যা বেশি। কিন্তু বাস্তব মোটেও তা নয়। আইআইএম-এর প্রাক্তন পরিচালক বকুল ঢোলাকিয়ার বক্তব্য, সংরক্ষিত ছাত্রছাত্রীদের শুরুতে খুব সহজেই আলাদা করা গেলেও পাঠক্রমের শেষে সব পার্থক্য মুছে যায়।

dailyhunt

খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল

বিজ্ঞাপন