দেশ
‘টুকলি’ রোখার নামে পড়ুয়াদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণের অভিযোগ

ওয়েবডেস্ক: বেঙ্গালুরু থেকে ৩৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হাভেরির ভগত প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিল শিক্ষা দফতর। ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পরীক্ষায় টুকলি রোখার নামে পরীক্ষার্থীদের মাথায় কার্ডবোর্ডের বাক্স লাগিয়ে তাঁদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হয়েছে।
কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের মিড-টার্ম রসায়ন পরীক্ষা নেওয়ার সময় তাঁদের মাথায় কার্ডবোর্ডের বাক্স পরানো হয়। সেই ছবিই সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যা নজরে পড়ে শিক্ষা দফতরেরও। খোদ শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী এস সুরেশ কুমার কলেজ কর্তৃপক্ষকে ভর্ৎসনা করে জানিয়েছেন এ ধরনের আচরণকে কোনো মতেই সমর্থন করেন না তিনি। তাঁর কড়া হুঁশিয়ারি, “ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করার অধিকার কারও নেই। এমন অন্যায়ের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” কী ভাবে নেওয়া হয়েছিল পরীক্ষা?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ছবি থেকেই জানা গিয়েছে, পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষার্থীদের মাথায় একটি করে কার্ডবোর্ডের বাক্স লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেই বাক্সে চোখের কাছাকাছি জায়াগয় গোল করে দু’টি ফুটো করে দেওয়া হয়। কর্তৃপক্ষের মতে, এ ভাবে মাথায় কার্ডবোর্ডের বাক্স লাগানো থাকায় অন্য কোনো পরীক্ষার্থীর খাতার দিকে নজর পৌঁছানো সম্ভব হবে না।
একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, পরীক্ষার্থীরা না কি এ ধরনের প্রস্তাব স্বেচ্ছায় মেনে নেন। যদিও পড়ুয়ারা দাবি করেছেন, কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে পড়েই তাঁরা মাথায় কার্ডবোর্ডের বাক্স পরতে বাধ্য হয়েছিলেন।

টুকলি-সহ পরীক্ষাকেন্দ্রের যে কোনো প্রতারণার হাত থেকে উদ্ধার পেতে এক অভিনব এবং অবশ্যই বিতর্কিত পন্থার উদ্ভাবন কিন্তু বেশ কয়েক মাস আগেই হয়েছিল বিদেশে! যার জেরে অভিভাবকদের তীব্র ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় মেক্সিকোর একটি স্কুলের শিক্ষককে। এমনকী তাঁকে স্কুল থেকে বহিষ্কারেরও দাবি উঠেছিল।
ঘটনাটি মধ্য মেক্সিকোর এল সাবিনাল স্কুলের। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুয়ায়ী, স্কুলের ‘নীতি এবং মূল্যবোধ’ বিভাগের শিক্ষক লুইস জুয়ারেজ টেক্সিস এই বিতর্কিত পন্থা অনুসরণ করেন। তিনি পরীক্ষার সময় পড়ুয়াদের প্রতারণামূলক অভিসন্ধি থেকে বিরত করতে তাঁদের মাথা একটি করে কার্ডবোর্ডের বাক্সে ঢেকে দেন। সেই ছবিই ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। দ্রুত ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে অভিভাবক মহলে।

সম্ভবত, ওই ঘটনা থেকেই উৎসাহিত হতে পারেন ভগত প্রি-ইউনিভার্সিটি কলেজ কর্তৃপক্ষ। কেউ কেউ বলছেন, টুকলি রুখতে বিতর্কিত পদ্ধতি টুকলি করেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ! কিন্তু আর যাইহোক, এ ধরনের কৌশলকে অমানবিক বলেই দুষছেন পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভি্ভাবকরাও।
দেশ
ব্রিগেডে শুভেন্দু অধিকারীর মন্তব্যে বিতর্ক গড়াল কলকাতা থেকে কাশ্মীর, তিরস্কার ওমর আবদুল্লার
কী থেকে যে কী হয়? কোথাকার জল গড়ায় কোথায়!

খবর অনলাইন ডেস্ক: রবিবার ব্রিগেড সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তৃতার অংশবিশেষের রেশ টেনে তিরস্কার করলেন ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ওমর আবদুল্লা।
জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আবদুল প্রতিক্রিয়া জানান শুভেন্দুর বক্তব্যের। তৃণমূলত্যাগী বিজেপি নেতা এমনকী বললেন, যা নিয়ে বিতর্ক গড়াল কলকাতা থেকে কাশ্মীর?
কী বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী?
এ দিন পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী দল সিপিএম, কংগ্রেস ও নতুন দল আইএসএফ-কে নিশানা করে শুভেন্দু বলেন, “একটা হ-য-ব-র-ল জোট হয়েছে। সিপিএম কংগ্রেসকে ভোট দিতে বলছেন এক পীরসাহেব। আজ এখানে যাঁদের দেখছেন তাঁরা সকলেই নির্বাচনী প্রতিনিধি। তৃণমূল-সিপিএম-কংগ্রেস এখনও তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছে। বাংলায় তৃণমূল ফিরে এলে বাংলা কাশ্মীরে পরিণত হবে। কাশ্মীরের পণ্ডিতদের মতোই অবস্থা হবে আমাদের”।
কী বললেন ওমর আবদুল্লা?
শুভেন্দু ব্রিগেড-ব্ক্তৃতার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ওমর টুইটারে লেখেন, “তবে আপনাদের মতো বিজেপি-ওয়ালারা বলেন ২০১৯ সালের আগস্ট মাসের পর থেকে কাশ্মীর স্বর্গে পরিণত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের তা হলে কাশ্মীর হয়ে উঠতে কী সমস্যা? যাইহোক, বাঙালিরা কাশ্মীরকে ভালোবাসেন এবং প্রচুর সংখ্যক বাঙালি পর্যটক এখানে আসেন। তাই আমরা আপনার এই বোকা-বোকী, বিস্বাদ মন্তব্য ক্ষমা করে দিচ্ছি”।
টুইটারে নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে সঙ্গে সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর একটি টুইট সংযোজন করেছেন ওমর। যেখানে শুভেন্দু মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “বাংলায় তৃণমূল ফিরে এলে বাংলা কাশ্মীরে পরিণত হবে”।
প্রসঙ্গত, এ বারের বিধানসভা ভোটেও নন্দীগ্রাম থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু। ওই আসনে তৃণমূলের তরফে প্রার্থী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়তে পারেন: ‘নরেন্দ্র মোদী আপনার দাম কত টাকা’? জানতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়!
দেশ
স্বামী থাকতেও প্রেমিক খুঁজছেন ভারতের বিবাহিত মহিলারা! এটা কি খারাপ খবর?
ব্যভিচারের আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তাৎপর্যপূর্ণ রায়ের দু’বছর পরে পরিস্থিতিটা ঠিক কী রকম?

ওয়েবডেস্ক: ‘ব্যভিচার’ সব সময়েই একটি বহুল চর্চার বিষয়। সেটা হতে পারে আইনি অথবা নৈতিক দিক থেকে। তবে পুরুষ এবং মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য নিয়মগুলি বেশ কিছু ক্ষেত্রেই আলাদা ছিল। এ দেশের পুরুষরা নিজের স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানো অন্য কারও বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে পারতেন। কিন্তু অনুরূপ পরিস্থিতিতে কোনো নারীর এই অধিকার ছিল না পুরনো আইনে। তবে ব্যভিচার আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের তাৎপর্যপূর্ণ রায়ের দু’বছর পরে পরিস্থিতিটা ঠিক কী রকম?
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ভারতে একটা বড়ো অংশের মহিলা বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের পক্ষেই এবং তাঁদের বেশিরভাগই ইতিমধ্যে মা হয়েছেন।
কী বলছে সমীক্ষা?
এই সমীক্ষাটি করেছে ফ্রান্সের বিবাহ-বহির্ভূত ডেটিং অ্যাপ ‘গ্লিডেন’। এটা এমন একটা প্ল্যাটফর্ম, যা মহিলাদের জন্য তৈরি এবং মহিলারাই পরিচালনা করেন। বিশেষত নিরাপদ এবং বিচক্ষণ সম্পর্ক গড়ার হদিশ দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে অ্যাপটি। বর্তমানে ভারতে এই অ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৩ লক্ষ।
সমীক্ষকদের দাবি, সারা ভারত জুড়ে ৩০-৬০ বছর বয়সের শহুরে, শিক্ষিত এবং আর্থিক ভাবে স্বতন্ত্র মহিলাদের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন ঘটেছে এই সমীক্ষায়। তাতে দেখা গিয়েছে, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক জড়ানো ৪৮ শতাংশ ভারতীয় মহিলা শুধু বিবাহিত-ই ছিলেন না, তাঁদের সন্তানও রয়েছে।
দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত ওই সমীক্ষা রিপোর্ট বলা হয়েছে, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে সমীক্ষায় অংশ নেওয়া এমন ৬৪ শতাংশ মহিলা জানিয়েছেন, যৌন সম্পর্কের ঘাটতির কারণেই তাঁরা এ ধরনের সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন।
পুরুষরা আরও বেশি ব্যভিচারী?
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ভালোবাসার সন্ধানে ৭৬ শতাংশ মহিলা শিক্ষিত এবং আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী ছিলেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, পাশ্চত্যের নারীদের মধ্যে এ ধরনের ‘আনুগত্যহীন’ হয়ে ওঠার প্রবণতা দেখা যায়। তবে সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নারীর তুলনায় পুরুষরা আরও বেশি করে ব্যভিচারী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছেন। ‘হোয়েন ইউ আর দ্য ওয়ান হু চিটস’-এর লেখক ট্যামি নেলসন বলছেন, “মহিলারা শুধু আরও প্রতারণা করছেন তা নয়, বরং প্রায়শই এখান থেকে পালিয়ে যেতেও পারেন”।
২০২০ সালে গ্লিডেনের একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছিল, সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৫ শতাংশ মানুষই মেনে নিয়েছেন তাঁরা নিজেদের সঙ্গীকে প্রতারণা করেছেন। এঁদের মধ্যে মহিলার হার ৫৬ শতাংশ। ২৫ থেকে ৫০ বছর বয়সি ১,৫২৫ জন বিবাহিত ভারতীয় নারী-পুরুষের মধ্যে পরিচালিত এই সমীক্ষায় ৪৮ শতাংশই স্বীকার করে নেন, একই সময়ে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে প্রেম করা সম্ভব।
হয়তো বা সংখ্যাতত্ত্বে বোঝানো যেতে পারে যে বিবাহিত মহিলাদের মধ্যে ব্যভিচার বাড়ছে। তবে অন্য গবেষণাগুলির তথ্যের সাহায্যে সংখ্যার পরিবর্তনটি আনুগত্যহীনতা সম্পর্কে পিতৃতান্ত্রিক মনোভাবের পরিবর্তনের প্রতিফলন ঘটাতে পারে।
দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন কী ভাবে?
আদতে পুরুষদের জন্য ‘ঐতিহ্য’গত ভাবে ছাড় থাকলেও মহিলাদের মধ্যে আনুগত্যহীনতা পুরোপুরি ‘নিষিদ্ধ’ ছিল। তবে ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট সর্বসম্মত ভাবে জানায়, ৪৯৭ ধারা অসাংবিধানিক, এবং ব্যভিচার আইনত শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়। শীর্ষ আদালত বলে, “ব্যভিচারকে কিছু সামাজিক পরিস্থিতিতে কারণ হিসেবে ধরা যেতে পারে, যেমন বিবাহ বিচ্ছেদ, কিন্তু তা কখনোই অপরাধমূলক বলে গণ্য হতে পারে না। ব্যভিচার নারীর নিজস্ব সত্তাকে আঘাত করে।”
শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, স্বামীরা সে অর্থে স্ত্রীর প্রভু নন। এই ধারণা পাল্টানোর সঙ্গেই মহিলারা বৈবাহিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও লিঙ্গবৈষম্য ঘোচানোয় জোর দিচ্ছেন। আইনগত পরিবর্তন, মহিলাদের যৌনতা সম্পর্কে সচেতনতা এবং তাঁদের দেহের প্রতি নিজের অধিকার নিয়ে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
অন্তর্নিহিত সমস্যার লক্ষণ
আরও বেশি মহিলা প্রতারণা করছেন কি না, সম্ভবত সেটা আসল প্রশ্ন নয়। কিন্তু প্রশ্নটা হল, বিবাহিত দম্পতিদের কেন প্রতারণার প্রয়োজন? পুরুষরা বিশ্বজুড়ে মহিলাদের চেয়ে বেশি প্রতারণা চালিয়ে যান এবং এখনও তাঁদের বয়স বা অন্যান্য অবস্থান সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয় না। ইউএস জেনারেল সোশ্যাল সার্ভে বলছে, ২০ শতাংশ পুরুষ নিজের স্ত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। বিপরীতে স্ত্রীদের ক্ষেত্রে এই হার ১৩ শতাংশ।
মোদ্দাকথা, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক বেছে নেওয়ার নেপথ্যে রয়েছে শারীরিক এবং মানসিক ঘাটতি পূরণ। বৈবাহিক সম্পর্কে যেগুলিতে দু’জনেরই সমান অধিকার। ফলে ‘বিশ্বাসভঙ্গ’কে কারণ হিসেবে না দেখে অন্তর্নিহিত সমস্যার লক্ষণ হিসেবেই দেখছেন সমীক্ষকরা।
আরও পড়তে পারেন: শুধু স্ত্রী এবং সন্তানেরা নয়, ছেলের উপার্জনের ভাগিদার বাবা-মা, তাৎপর্যপূর্ণ রায় আদালতের
দেশ
ফের বাড়ছে উদ্বেগ! ৮টি রাজ্যেকে বিশেষ করোনা-পরামর্শ কেন্দ্রের
৬৩টি জেলা “উদ্বেগের কারণ” হয়ে উঠেছে।

খবর অনলাইন ডেস্ক: ফের অস্বস্তি বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণের দৈনিক পরিসংখ্যান। শনিবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আট রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে বিশেষ পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
নমুনা পরীক্ষা, কোভিডরোগীদের চিহ্নিতকরণ এবং চিকিৎসা শুরুর প্রক্রিয়া কার্যকরের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মধ্যে রয়েছে হরিয়ানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, গোয়া, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, দিল্লি এবং চণ্ডীগড়। এই রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে, নমুনা পরীক্ষা বাড়িয়ে সন্দেহজনকদের চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে চিকিৎসা শুরু করতে হবে। একই সঙ্গে অত্যধিক সংক্রমণ প্রবণ এলাকায় টিকাকরণ কর্মসূচিতেও জোর দিতে বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছে, আটটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৬৩টি জেলা “উদ্বেগের কারণ” হয়ে উঠেছে। এই জেলাগুলিতে মোট পরীক্ষা হ্রাস পাচ্ছে, আরটি-পিসিআর পরীক্ষা কম হচ্ছে। অন্যদিকে সাপ্তাহিক আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।
পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলেছে, এই ঘটনা প্রতিবেশী রাজ্যগুলির জন্যও ঝুঁকির কারণ হয়ে উঠতে পারে। সরকারি ভাবে দিল্লির ৯টি, হরিয়ানার ১৫টি, অন্ধ্রপ্রদেশে ১০টি, ওড়িশার ১০টি, হিমাচলপ্রদেশের ৯টি, উত্তরাখণ্ডের ৭টি, গোয়ার ২টি এবং চণ্ডীগড়ের ১টি জেলাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, ইতিমধ্যেই পঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্রে উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ দল পাঠানো হয়েছে। কোভিড -১৯ নজরদারি, নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগগুলিকে সহায়তা করার জন্যই ওই দলগুলি পাঠানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১১ লক্ষ ৯২ হাজার ৮৮। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৩২৭। যা আগের দিন ছিল ১৬ হাজার ৮৩৮ জন।
আরও পড়তে পারেন: বাড়ল অস্বস্তি! এক ধাক্কায় ১৮ হাজারের উপর দৈনিক কোভিড আক্রান্ত
-
রাজ্য2 days ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
গাড়ি ও বাইক2 days ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা
-
রাজ্য2 days ago
বিধান পরিষদ গঠন করে প্রবীণদের স্থান দেওয়া হবে, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা
-
রাজ্য1 day ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য