কলকাতা: বাতিলে সায় নেই কেন্দ্রের। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে তারা মেনে নিল যে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল জানিয়েছেন, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অন্তর্গত ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা প্রয়োজন। আগামী ১০ মে প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণার নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চে ফের মামলার শুনানি হবে।
রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলার শুনানি-পর্বে বেণুগোপাল সাম্প্রতিক কালে কয়েকটি ক্ষেত্রে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অপপ্রয়োগের কথাও বলেছেন। রাষ্ট্রদ্রোহ আইন তথা ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। আবেদনকারীদের মধ্যে রয়েছে এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া, মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থা ‘কমন কজ’, রয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অরুণ শৌরি, প্রাক্তন মেজর জেনারেল এস জি ভোম্বাটকেরে, সাংবাদিক প্যাট্রিশিয়া মুখিম ও অনুরাধা ভাসিন, ব্যঙ্গচিত্রী অসীম ত্রিবেদী-সহ আরও অনেকেই।
আবেদনকারীদের যুক্তি, ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪(এ) ধারা সংবিধানের ১৯(১)(এ), ১৪ এবং ২১ এই তিন অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এই মামলায় সরকার পক্ষের প্রতিনিধিত্ব করছেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। সাংবিধানিক পদাধিকার বলে আদালতকে সাহায্য করছেন অ্যাটর্নি জেনারেল বেণুগোপাল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছরই মামলার শুনানিতে শীর্ষ আদালতের প্রশ্ন তুলেছিল, যে আইন ব্রিটিশ শাসকেরা ‘মহাত্মা গান্ধী, বাল গঙ্গাধর তিলকের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছে, সেই ঔপনিবেশিক আইন স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও টিকে থাকে কী করে?’ সরকারের হাতে এই আইনের অপব্যবহারের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ‘‘রাষ্ট্রদ্রোহ আইন হল কাঠের মিস্ত্রির হাতে করাত তুলে দেওয়ার মতো! কাঠের বদলে বন কেটে আনে সে।”
আরও পড়তে পারেন:
এখনও ঘোল খাইয়ে যাচ্ছে বঙ্গোপসাগর, তবে একটা স্বস্তির খবর রয়েছে
নয়া নেতার নেতৃত্বে আফগানিস্তানে তালিবানের বিরুদ্ধে প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি! মদত আমেরিকা, ব্রিটেনের
‘সুরক্ষা’ প্রসঙ্গে মোদী সরকারের পদক্ষেপ সম্পর্কে মুখ খুললেন অমিত শাহ
আমরা করি ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’, ওরা করে ‘কুৎসার ভাণ্ডার’: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
দীর্ঘ ৬ বছর পর রাজ্যে মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকে শিক্ষক নিয়োগ, জানাল এসএসসি
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।