নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্টে এক অভিনব মামলা। পণের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় শাস্তির মুখোমুখি হয়েছিলেন স্বামী। তবে স্বামীর সঙ্গে থাকার আর্জি জানান স্ত্রী। এর পর স্বামীর সাজা কমিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
স্ত্রী আদালতে আবেদন করেছিলেন, তিনি আবার নিজের বিবাহিত জীবনযাপন করতে চান। নিজের স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান। এর পর অভিযুক্ত স্বামীর জেলে কাটানো সময়কে শাস্তি হিসেবে বিবেচনা করে তাঁর সাজা কমিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
২ বছরের কারাদণ্ড
পণের টাকা না দেওয়ায় এক গৃহবধুকে নির্যাতনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন স্বামী। ৪৯৮এ ধারায় তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করে দু’বছরের কারাদণ্ড দেয় নিম্ন আদালত। সেই রায়ই বহাল রাখে সুপ্রিম কোর্ট। সব আদালতেই বিফল হয়ে ৬ মাস জেল খাটেন স্বামী।
আবারও জামিনের আর্জি জানান স্বামী। মামলার শুনানিতে নির্যাতিতার আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেল আবেদনের বিরোধিতা করছেন না। কারণ, তিনি (স্ত্রী) নিজের স্বামীর সঙ্গে থাকতে চান। নিজেদের বৈবাহিক জীবন ফেরত পেতে চান।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, মামলায় সাজার সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করতে চায় না আদালত। তবে মহিলার দেওয়া বিবৃতিতে এবং পরিস্থিতিতে আসামি স্বামীর জেলে কাটানো সময়কে শাস্তি হিসাবে বিবেচনা করা হয় এবং আবেদন গৃহীত হয়।