দেশ
সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পে ছাড়পত্র দিল সুপ্রিম কোর্ট, ভিন্নমত এক বিচারকের
ভিন্নমত বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: সুপ্রিম কোর্টে বড়ো জয় পেল কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) স্বপ্নের সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্পকে (Central Vista Project) ছাড়পত্র দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে ডিভিশন বেঞ্চের তিন সদস্যের মধ্যে একজন সদস্য ভিন্নমত পোষণ করেছেন।
বিচারপতি এএম খানউইলকরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ডিভিশন বেঞ্চ ২-১ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় এই প্রকল্পকে ছাড়পত্র দিয়েছে। এ দিন একটি আদেশ পড়ে শোনান বিচারপতি খানউইলকর এবং বিচারপতি দীনেশ মহেশ্বরী। অন্যদিকে পৃথক জাজমেন্ট লেখেন বিচারপতি সঞ্জীব খান্না।
সুপ্রিম কোর্ট নিজের রায়ে জানিয়েছে যে কেন্দ্র যে অধিকার ব্যবহার করেছে সেটা যথার্থ ও সঠিক। জমি ব্যবহারের ক্ষেত্রে যে বদলগুলি করা হয়েছে সেটা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপত্তি নেই। পরিবেশ রক্ষার্থে তৈরি কমিটির সুপারিশও যথার্থ বলে মনে করে আদালত।
এ দিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে এই প্রকল্পের অন্তগত এলাকায় দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য স্মগ টাওয়ার তৈরি করতে হবে। বাড়ি নির্মাণে পরিবেশবান্ধব সামগ্রী ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ভবিষ্যতে এ রকম কোনো প্রকল্প হলে পরিবেশমন্ত্রককে অনুরূপ নির্দেশ জারি করতে হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, দিল্লির বুকে ৮৬ একর জমিকে সম্পূর্ণ নতুন রূপে সাজিয়ে তুলতে চায় সরকার। ডিসেম্বরে এই প্রকল্পের ভূমিপুজো করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এ দিন বিচারপতি খানউইলকর বলেন যে ডিডিএ আইনের অধীনে সরকার যথার্থ ভাবে তার ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে। সেই কারণে এই সংক্রান্ত নোটিফিকেশন বহাল থাকবে বলে তিনি জানান। কোনো রিডেভেলপমেন্টের কাজ করার আগে অনুমতি নিতে হবে কেন্দ্রকে।
কী বললেন খান্না
অন্যদিকে পৃথক রায়ে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন যে জমি কী জন্য ব্যবহার হবে, সেই সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সেটি তিনি বেআইনি বলে মনে করেন। এখানেই তাঁর সঙ্গে অন্য দুই বিচারপতির রায়ের তফাৎ।
বিচারপতি খান্না বলেন যে হেরিটেজ কনজারভেশন কমিটির কোনো ছাড়পত্র এতে নেওয়া হয়নি। একই সঙ্গে আগে থেকে এই সংক্রান্ত তথ্য জনসমক্ষে আনা হয়নি। সেই কারণে এই বিষয়টি কমিটির কাছে তিনি পাঠাতে চান বলে জানান বিচারপতি খান্না।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
৩ রাজ্য বাদে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বাকি রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ তিন অংকে, সুস্থতা এক কোটির দিকে
দেশ
অভিবাসী শিশুদের অবস্থা জানাতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
অপ্রত্যাশিত লকডাউন। সংকটে অভিবাসী পরিবার। শিশুদের সংখ্যা এবং মৌলিক অধিকার নিয়ে কেন নেই কোনো তথ্য?

নয়াদিল্লি: কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে অভিবাসী শিশুদের সংখ্যা এবং তাদের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যগুলির কাছে রিপোর্ট চাইল। এ বিষয়ে যথাযথ দিকনির্দেশনা চেয়ে একটি আবেদন জমা পড়েছিল সর্বোচ্চ আদালতে। মঙ্গলবার সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই রাজ্যগুলিকে অভিবাসী শিশুদের অবস্থা সম্পর্কে অবহিত করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
প্রধান বিচারপতি এসএ বোবদে, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এএস বোপান্না এবং ভি রামসুব্রাহ্মণ্যমের বেঞ্চ এই মামলার পক্ষ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত সমস্ত রাজ্যকে এই বিষয়ে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেন। প্রবীণ আইনজীবী জয়না কোঠারি আবেদনকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
শীর্ষ আদালত ৮ মার্চ সমস্ত রাজ্যে এটি কার্যকর করেছিল এবং কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে অভিবাসী শিশুদের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য দিকনির্দেশনা চেয়ে চাইল্ড রাইটস ট্রাস্ট এবং বেঙ্গালুরুর বাসিন্দার দায়ের করা আবেদনে নোটিশ জারি করেছিল।
আবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড-১৯ সংকটের তীব্রতার মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দেশব্যাপী লকডাউন জারি করেছিল। এই সময়ে অভিবাসী শিশুরা চরম ভাবে প্রভাবিত হয়, তাদের বড়োসড়ো ঝুঁকির মুখোমুখি হতে হয়। অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হলেও অভিবাসী শিশু এবং মহিলাদের জন্য নেওয়া বিশেষ পদক্ষেপ সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। যারা সংশ্লিষ্ট জেলার বিভিন্ন ত্রাণশিবির এবং কোয়ারান্টিন সেন্টারে আটকে পড়েছিল।
আবেদনকারীর দাবি, অপ্রত্যাশিত লকডাউন অভিবাসী শিশুদের সামনেও সংকট ডেকে নিয়ে এসেছিল। তাদের মৌলিক এবং মানবাধিকার সংকটের মুখে পড়েছিল।
বিভিন্ন পঞ্চায়েত এবং ওয়ার্ড অফিসের মাধ্যমে নথিভুক্ত অভিবাসী পরিবারগুলির শিশুদের সংখ্যা এবং তাদের অবস্থার বিশদ তথ্য প্রকাশের নির্দেশ চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আবেদনকারী।
আরও পড়তে পারেন: বাড়ির কাছাকাছি রেশন দোকান কোনটা, খুব সহজেই জেনে নিতে পারেন ‘মেরা রেশন’ মোবাইল অ্যাপ থেকে
দেশ
UP Panchayat Polls: শেষ মুহূর্তে ভোটার তালিকায় নাম বাদ! ক্ষোভ চরমে
ভোটের আগেই খেলা ‘শেষ’? শেষ মুহূর্তে ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ অনেকের!

খবর অনলাইন ডেস্ক: নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, তালিকা থেকে নাম কাটার আগে ভোটার অথবা তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানাতে হয়। তবে উত্তরপ্রদেশ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আবহে অনেক ক্ষেত্রেই এই নিয়ম মানা হয়নি বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, ভোটার তালিকা থেকে নাম কাটার আগে বিধি মেনে নোটিশ দেওয়া দূরের কথা,বুথ লেভেল অফিসার এ বিষয়ে না জানিয়েই নাম কেটে দিয়েছেন।
এই ঘটনার জেরে একটা বড়ো সংখ্যক ভোটার নিজের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে বিএলও থেকে তহসিল অফিসে যাতায়াত করছেন। সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা জানিয়েছেন, নাম অন্তর্ভুক্তির শেষ তারিখ অর্থাৎ, ৪ এপ্রিলের পর নতুন করে যেমন নাম বাতিল করা যাবে না, তেমনই নাম অন্তর্ভুক্ত করাও সম্ভব নয়।
এ ভাবে নাম কেটে ফেলার কারণে ভোটারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে এই ভোটারদের ক্ষোভ ভোটের দিন যে কোনো জায়গায়ই ফুটে উঠতে পারে। অতীতেও পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটার তালিকায় গোলমাল ও তার জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল উত্তরপ্রদেশে।
উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রামীণ পঞ্চায়েত, ক্ষেত্র পঞ্চায়েত এবং জেলা পঞ্চায়েতের জন্য ১৫, ১৯, ২৬ এবং ২৯ এপ্রিল চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৬ মার্চ ভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ভোট গণনা আগামী ২ মে।
তথ্যসূত্র: অমর উজালা
আরও পড়তে পারেন: Bengal Polls 2021: শীতলকুচি নিয়ে মন্তব্যের জেরে এ বার দিলীপ ঘোষকে নোটিশ নির্বাচন কমিশনের

খবরঅনলাইন ডেস্ক: এপ্রিলের শেষেই ভারতের বাজারে নিয়ন্ত্রিত ভাবে চলে আসবে স্পুটনিক ফাইভ টিকা। এমনই জানিয়েছে রাশিয়ার সার্বভৌম সম্পদ তহবিল তথা আরডিআইএফ (RDIF)। ওষুধ প্রস্তুতকারী ভারতের পাঁচটা ফার্মে এই টিকা তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এ বছর এই টিকার ৮৫ কোটি ডোজ পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে তারা।
উল্লেখ্য, বিশেষজ্ঞ কমিটির সুপারিশ মেনে নিয়ে মঙ্গলবার সকালে স্পুটনিক ফাইভ টিকা ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল। কোভিশিল্ড, কোভ্যাক্সিনের পর তাই তৃতীয় টিকাও পেয়ে গেল ভারত।
ভারতে স্পুটনিক ফাইভ টিকা তৈরি করছে ডক্টর রেড্ডি’জ। তারা জানিয়েছে, মডার্না ও ফাইজারের পরে স্পুটনিক ভি টিকার কার্যকারিতা সব চেয়ে বেশি, ৯১.৬ শতাংশ। ভারতে জরুরি ভিত্তিতে এই টিকা ব্যবহারের অনুমতি পাওয়ার জন্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারি আবেদন করেছিল ডক্টর রেড্ডি’জ। বর্তমানে ভারতে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে।
তবে অনুমোদন পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তো টিকা ব্যবহার করা যায় না। আরও অনেকটাই পথ যেতে হয়। তাই রাশিয়ার সংস্থাটি জানিয়েছে এপ্রিলের শেষ বা বড়োজোর মে’র শুরু থেকে এই টিকা পাবেন সাধারণ মানুষ। তারা জানিয়েছে এই টিকা উৎপাদনের জন্য পাঁচটি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করেছে ভারত। তারা হল Gland Pharma, Hetero Biopharma, Panacea Biotec, Stelis Biopharma এবং Virchow Biotech।
আরডিআইএফ জানিয়েছে, আপাতত ভীষণ নিয়ন্ত্রণ ভাবে সরবরাহ করা হলেও আগামী দু’ মাসের মধ্যে এই টিকা উৎপাদন অনেকটাই বাড়ানো হবে। জুনের মধ্যে স্পুটনিক ফাইভের প্রচুর পরিমাণে ডোজ ভারতের বাজারে চলে আসবে বলে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতে ১৮ থেকে ৯৯ বছর বয়সি প্রায় ১৬০০ জনের মধ্যে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে। টিকা ব্যবহারের ফলাফল ইতিবাচক।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
Vaccination Drive: এসে গেল তৃতীয় টিকা, স্পুটনিক ফাইভে অনুমোদন দিয়ে দিল কেন্দ্র
-
ক্রিকেট23 hours ago
IPL 2021: কাজে এল না সঞ্জু স্যামসনের মহাকাব্যিক শতরান, পঞ্জাবের কাছে হারল রাজস্থান
-
প্রবন্ধ1 day ago
First Man In Space: ইউরি গাগারিনের মহাকাশ বিজয়ের ৬০ বছর আজ, জেনে নিন কিছু আকর্ষণীয় তথ্য
-
দেশ2 days ago
Kumbh Mela 2021: করোনাবিধিকে শিকেয় তুলে এক লক্ষ মানুষের সমাগম, আজ কুম্ভের প্রথম শাহি স্নান হরিদ্বারে
-
ক্রিকেট2 days ago
IPL 2021: সাড়ে ৭টায় খেলা শুরু হওয়া নিয়ে তীব্র অসন্তুষ্ট মহেন্দ্র সিংহ ধোনি