নয়াদিল্লি: মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। তবে উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন খারিজ করে এলাহাবাদ হাইকোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সোমবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মামলাকারী আইনজীবী বিশাল তিওয়ারিকে জানান, এটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, তবে এ বিষয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা উচিত। প্রধান বিচারপতি বলেন, ইতিমধ্যেই তিন সদস্যের বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে, তাই সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সিনিয়র আইনজীবী মুকুল রোহতাগি আদালতকে জানান, পদপিষ্টের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত চলছে এবং একই বিষয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টে একটি মামলা করা হয়েছে।
এই ঘটনার তদন্তের জন্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি হর্ষ কুমারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই প্যানেলের বাকি দুই সদস্য হলেন প্রাক্তন পুলিশ প্রধান ভি কে গুপ্ত এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ডি কে সিং। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ পুলিশি তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন।
আইনজীবী বিশাল তিওয়ারি তার আবেদনে উল্লেখ করেন যে, মৌনী অমাবস্যার দিনে মহাকুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনা প্রতিরোধে উত্তরপ্রদেশ সরকার ব্যর্থ হয়েছে। তিনি দাবি করেন, প্রশাসনের গাফিলতির কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। তার আবেদনে কুম্ভ মেলায় ভক্তদের জন্য একটি বিশেষ সহায়তা কেন্দ্র গঠনের প্রস্তাবও ছিল।
এছাড়াও, তিনি সব রাজ্যের জন্য জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের নীতিমালা কার্যকর করার নির্দেশ দেওয়ার অনুরোধ জানান। তার দাবি, উত্তরপ্রদেশ সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বিভিন্ন রাজ্যের মেডিক্যাল টিম পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া উচিত আদালতের।
উল্লেখ্য, গত ২৯ জানুয়ারি ভোরে গঙ্গা, যমুনা ও পৌরাণিক সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থলে পুণ্যস্নানের সময় পদপিষ্ট হয়ে ৩০ জনের মৃত্যু হয় এবং অন্তত ৬০ জন আহত হন। ভোররাতে ১টা থেকে ২টার মধ্যে পুণ্যার্থীদের ভিড় পুলিশি ব্যারিকেড ভেঙে নদীর পাড়ের সরু পথে ঢুকে পড়ে, যার ফলে হুড়োহুড়িতে অনেকে পদপিষ্ট হন। প্রচণ্ড ভিড় সামলাতে না পেরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ভেঙে পড়ে।