ইডব্লিউএস-দের জন্য কেন্দ্রের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ মামলায় নয়া মোড়!
নয়াদিল্লি: অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল অংশের (EWS) প্রার্থীদের চাকরি এবং ভরতির ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে একটি আবেদন জমা পড়েছে কেরল হাইকোর্টে। শুক্রবার সেটির বিচার প্রক্রিয়ার উপর স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
কী পদক্ষেপ নিল সুপ্রিম কোর্ট?
কেন্দ্রীয় সরকারের দায়ের করা আবেদনেও সুপ্রিম কোর্ট নোটিশ জারি করেছে। সরকারের দায়ের করা আবেদনে বলা হয়েছিল, মামলাটি কেরল হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তর করা হোক।
প্রধান বিচারপতি এনভি রমন্না এবং বিচারপতি সূর্য কান্ত ও হিমা কোহলির সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ কেন্দ্রের দায়ের করা আবেদনেও নোটিশ জারি করে। এর আগেই একই ধরনের মামলাগুলিকে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চের কাছে পাঠিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
সংরক্ষণ নিয়ে কেন মামলা?
সংরক্ষণের বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কেরল হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন নুজাম পিকে।
নুজাম পিকে-র পক্ষে যুক্তি দেওয়া হয়েছে যে, কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত সংবিধানের মৌলিক কাঠামো লঙ্ঘন করে। এই আবেদনের শুনানিতে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা সুপ্রিম কোর্টে হাজির হন।
কেরল হাইকোর্টের শুনানি স্থগিত রাখার পাশাপাশি নুজাম পিকে-কে একটি নোটিশ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে অনুরোধ জানান মেহতা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে আবেদনে বলা হয়, রিট পিটিশনে উত্থাপিত প্রশ্নগুলিও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন অন্য আবেদনের অনুরূপ।
কেন স্থানান্তরের প্রয়োজন?
মেহতা বলেন, কেরল হাইকোর্টে বিচারাধীন জনস্বার্থ মামলাটির সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তর জরুরি। কারণ একই ধরনের আবেদন এবং আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জকারী অন্যান্য আবেদনগুলি সুপ্রিম কোর্টেই মুলতুবি রয়েছে। ফলে কেরল হাইকোর্টের জনস্বার্থ মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে স্থানান্তরিত হলে সব ক’টি আবেদনেরই এক সঙ্গে শুনানি সম্ভব। সে ক্ষেত্রে একেক আদালতের তরফে একেক রকম রায়ের সম্ভাবনা এড়ানো যাবে।
উল্লেখ্য ইডব্লিউএস-দের জন্য শিক্ষা এবং চাকরিতে ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বিলটি লোকসভা এবং রাজ্যসভায় যথাক্রমে ২০১৯ সালের ৮ এবং ৯ জানুয়ারি পাশ হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিলটিতে সম্মতি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাতে স্বাক্ষরও করেন।
সম্প্রতি, মাদ্রাজ হাইকোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণে জানায়, কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তির অনুযায়ী মেডিক্যাল কলেজের সর্বভারতীয় কোটা (AIQ) আসনে ইডব্লিউএস-দের ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়ার বিষয়ে শীর্ষ আদালতের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে। এই পর্যবেক্ষণের বিরুদ্ধেও সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্র। সেই আবেদনটির উপরেও শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়তে পারেন: আইনি দ্বন্দ্ব! মেডিক্যাল কোর্সে ওবিসি, ইডব্লিউএস সংরক্ষণ নিয়ে কেন্দ্রের জবাব চাইল সুপ্রিম কোর্ট
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।