কলকাতা
রবীন্দ্রনাথের গান আরও ৬টি ভারতীয় ভাষায় অনুবাদ করে গাওয়া হবে!

ওয়েবডেস্ক: ‘হে মোর চিত্ত পূর্ণ তীর্থে জাগোরে ধীরে’ গানটি দেশাত্মবোধ। সকল মানুষকে এক হওয়ার কথা বলে।
উপাসনা হল একটি সংস্কৃতিক সংগঠন। এরা ৯ মে রবীন্দ্র জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষ্যে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে চলেছে। এখানে ভাষা কোনো বাধা নয়।
তারই প্রাক উদযাপনে দু’টি রবীন্দ্র সঙ্গীত ছ’টি ভাষায় অনুবাদ করেছে।
অনুষ্ঠান ‘সন্ধ্যা বৈতালিক’-এর অঙ্গ হিসাবে এই অনুবাদিক গান গাওয়া হবে। ৬০টি পেশার মানুষকে একত্রিত করবে এই মঞ্চ। এ বারের অনুষ্ঠানের থিম দেশাত্মবোধ। মারাঠি, হিন্দি, তামিল, গুজরাতি, ওড়িয়া, বাঙলা ভাষায় গাওয়া হবে গান। মুম্বই আর পুনের গায়ক গায়িকারা এতে অংশগ্রহণ করবেন।
উপাসনার প্রতিষ্ঠা শর্মিলা মজুমদার বলেছেন, একমাস ধরে চলছে এর অনুশীলন। ললিত কলা কেন্দ্রে অনুষ্ঠানটি হবে। রবীন্দ্রও জয়ন্তী অনেক হয়। কিন্তু তাঁদের এই চিন্তাভাবনাটি সম্পূর্ণ আলাদা।
আরও পড়ুন – রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে এই তথ্যগুলি না-জানলে অনেক কিছুই অজানা থেকে যাবে!
সংস্থার সদস্য আবোলি বলেন, এর আগে বাঙলায় এই গানগুলি শুনেছিলেন। এখন অন্য ভাষাতে শুনছেন, গাইছেন। অন্য ভাষার সঙ্গে বাংলার অনেক মিল খুঁজে পাচ্ছেন। এতে করে গানের ভাব বজায় রাখতে সুবিধে হচ্ছে।
গানগুলির অনুবাদের দায়িত্বে ছিলেন ললিত কলা কেন্দ্রের সঙ্গীত অধ্যাপক চৈতন্য কুন্তে। বলেন, শব্দানুবাদ করা সহজ। কিন্তু ছন্দের সঙ্গে, সুরের সঙ্গে মিলিয়ে শব্দের অনুবাদ করা বেশ কঠিন।
কুন্তে বলেন, তবে সবটাই করা আসন্ন জন্ম জয়ন্তীর জন্য।
কলকাতা
অগ্নিকাণ্ডে গৃহহীনদের ঘর তৈরি করে দেবে পুরসভা, বাগবাজারে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বাগবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন, গৃহহীনদের দায় নেবে প্রশাসন।

কলকাতা: বুধবার রাতে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বাগবাজারে উইমেন্স কলেজ লাগোয়া বস্তি। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হবে। এ যত দিন না ঘর তৈরি হচ্ছে, সরকার যাবতীয় ভাবে সহযোগিতা করবে গৃহহীনদের।
মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। তাঁদের অভাব-অভিযোগের কথা শোনেন। ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বলেন, ‘‘কলকাতার পুরসভার পক্ষ থেকে সকলের জন্য বাড়ি তৈরি করে দেওয়া হবে। বুধবার আগুন লেগেছিল। বৃহস্পতি এবং শুক্রবার এলাকা পরিষ্কার করা হবে। তারপর নতুন করে শুরু হবে বাড়ি তৈরির প্রক্রিয়া।’’ যাঁর যেখানে যেমন ভাবে ঘর ছিল, সে ভাবেই তৈরি করে দেবে পুরসভা।
তবে যত দিন না ঘর তৈরি হচ্ছে তত দিন বাগবাজার উইমেন্স কলেজে অস্থায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। আগুনের দাপটে প্রায় সবই পুড়ে গিয়েছে বস্তির বাসিন্দাদের। অধিকাংশ মানুষ এক কাপড়ে বেরিয়ে এসে কোনো মতে প্রাণে বেঁচেছেন।
তাঁদের প্রত্যেককে পাঁচ কেজি করে চাল, ডাল, আলু এবং শিশুদের বিস্কুট ও দুধ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। নির্দেশ দিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির মহিলা, পুরুষ এবং শিশুদের পোশাক এবং শীতকালের কথা মাথায় রেখে কম্বল দেওয়ার জন্য।
এ দিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, কলকাতার পুর প্রশাসক এবং রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, কলকাতা পুরবোর্ডের অন্যতম সদস্য অতীন ঘোষ এবং পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গতকাল সন্ধ্যে পৌনে ৭টা নাগাদ আগুন লেগে যায় বাগবাজারের হাজারহাট এলাকার বস্তিতে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় অসংখ্য ঝুপড়ি। আগুন ছড়ায় বস্তির পিছনেই অবস্থিত উদ্বোধনী পত্রিকার কার্যালয়ে। এ দিন বাগবাজারে এসে এলাকার লোকের সঙ্গে কথা বলার পর ‘উদ্বোধন’-এর দায়িত্বপ্রাপ্ত মহারাজের সঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন।
আরও পড়তে পারেন: আমেরিকায় এই প্রথম! প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বিতীয় বার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি ডোনাল্ড ট্রাম্প, এর পর কী
কলকাতা
বাগবাজার ব্রিজের কাছে বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন, ছড়াল পার্শ্ববর্তী বহুতলেও
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় র্যাফ নামাতে হয়।

কলকাতা: বুধবার সন্ধ্যে পৌনে ৭টা নাগাদ বাগবাজার ব্রিজের কাছে বস্তিতে বিধ্বংসী আগুন লেগে যায়। একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরে আগুন ক্রমশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তার উপর গঙ্গার পার্শ্ববর্তী এলাকা হওয়ায় উত্তরে হাওয়ায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে পাশের বহুতলেও।
উত্তর কলকাতার শেষপ্রান্তে বহু পুরনো এই বস্তিতে বাস কয়েকশো মানুষের। অস্থায়ী ভাবে বাঁশ, কাঠ, বেড়া, প্লাস্টিকের মতো দাহ্য বস্তুতে ভরা বস্তিতে আগুন লাগতেই তা দ্রুত ছড়াতে শুরু করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই পুড়ে খাঁক হয়ে যায় ঝুপড়িগুলি। বাসিন্দাদের বের করে নিয়ে আসা হয়। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর না পাওয়া গেলেও ভিতরে কেউ আটকে রয়েছে কি না, তা খুঁজে দেখা হচ্ছে।
উইমেন্স কলেজর পাশে, বাগবাজারে মায়েরবাড়ির উদ্বোধন কার্যালয়ের পিছনেই এই বস্তিটি। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, ওই কার্যালয়েও আগুন লেগে যায়। সেখানকার লাইব্রেরিতে আগুন লেগে যায় বলে জানান কর্তৃপক্ষ। বেশকিছু কাগজপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
আগুন লাগার পর প্রথমে দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, ধীরে ধীরে ২৭টি ইঞ্জিন এসে পৌঁছায়। দমকল, পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয়রাও আগুন নেভানোয় হাত লাগিয়েছেন।
আগন লাগার পর আড়াই ঘণ্টা কেটে গেলেও তা এখনও নিয়ন্ত্রণের বাইরে। একের পর এক সিলিন্ডার বিস্ফোরণের শব্দে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হয় দমকলকর্মীদের। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ জানা যায়, আগুন আপাতত নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
দমকল দেরি করে আসার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় মানুষ। পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় র্যাফ নামাতে হয়। অগ্নিকাণ্ডের জেরে বন্ধ যান চলাচল।
এ দিন গঙ্গাসাগর মেলায় গিয়েছিলেন রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দেন। জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকবে সরকার। প্রত্যেকের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। চারটি কমিউনিটি হলে ক্ষতিগ্রস্তদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আপডেট আসছে…
কলকাতা
বৃহত্তর কলকাতার জলপথ পরিবহণের উন্নতিতে ৭৬৬ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক
কলকাতায় রো রো ভেসেল চালানোরও পরিকল্পনা

খবরঅনলাইন ডেস্ক: বৃহত্তর কলকাতায় জলপথে পণ্য ও যাত্রী পরিবহণের জন্য পরিকাঠামোগত উন্নয়নে ১০৫ মিলিয়ন ডলার অনুমোদন করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক (World Bank)। ভারতীয় টাকার অঙ্কে তা ৭৬৬ কোটি। মঙ্গলবার এমনই জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
জানা গিয়েছে, দুটি পর্যায়ে হবে এই প্রকল্পের কাজ। বিশ্ব ব্যাঙ্কের দেওয়া অর্থে প্রথম দফায় কলকাতা ও শহরতলির জেটিগুলির সংস্কার করা হবে। একইসঙ্গে নতুন ভেসেল কিনে আধুনিকীকরণ করা হবে জেটিগুলির ও ৪০টি জায়গায় বসানো হবে ইলেকট্রনিক গেট।
দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘমেয়াদি কাজ হবে। প্রথমত, রাতে যাতে ভেসেল চলাচল করতে পারে সেই জন্য পরিকাঠামোগত ব্যবস্থা করা হবে। জলপথ পরিবহণে মজবুত পরিকাঠামোর জন্য প্রয়োজন আরও বিনিয়োগের, সেই চেষ্টাও করা হবে।
রো রো ভেসেল চালানোরও পরিকল্পনা
এর পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগে বৃহত্তর কলকাতায় রো রো ভেসেল চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গাড়ি, ট্রাকের মতো বড়ো গাড়িকে যে বড়ো ভেসেলে পরিবহণ করানো হয় সেগুলিকেই রো রো ভেসেল বলে।
বিশ্ব ব্যাঙ্কের কর্তাদের মতে, কলকাতায় জলপথে পরিবহণের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এই মাধ্যমকে বেশি ব্যবহার করা হয় না। কলকাতার মাত্র দুই শতাংশ মানুষ জলপথকে পরিবহণ হিসেবে ব্যবহার করেন। তাই এর পরিকাঠামোগত উন্নয়ন প্রয়োজন বলে মনে করেছিল রাজ্য সরকার।
মঙ্গলবার দিল্লিতে বিশ্ব ব্যাঙ্কের সঙ্গে এই বিষয়ে চুক্তি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের জলপথ পরিবহণে বিপুল উন্নতি হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে তৃণমূল বিধায়ক, নতুন কিছুর জল্পনা
-
রাজ্য1 day ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ2 days ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র
-
দেশ2 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি2 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে