ওয়েবডেস্ক: বিয়ের ছ’মাসের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদ চেয়ে মামলা করেছেন আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবের ২৯ বছরের পুত্র তেজপ্রতাপ। যা স্বাভাবিক ভাবেই ঢুকে পড়েছে রাজনৈতিক চর্চায়। তেজপ্রতাপের বিবেহবিচ্ছেদ নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপান-উতোরও। সমালোচনার জবাব দিতে আসরে নেমেছেন যাদব পরিবারের আর এক রাজনীতিক তেজস্বী। তিনি দাবি করেছেন, “পারিবারিক বিষয় নিয়ে সংবাদ মাধ্যম যে ভাবে খবর করছে, তা হলে তো প্রধানমন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলোও বাদ পড়ে না”। তবে যাঁকে নিয়ে এত কাণ্ড সেই, সেই তেজপ্রতাপ খোলসা করে জানিয়ে দিলেন বিচ্ছেদের আসল কারণ।
তেজপ্রতাপ বলেন, “বাবা-মা’কে অনেকবার বলেছিলাম এখন বিয়ে দিও না আমার ৷ কিন্তু শুনল না তাঁরা আমার কথা”৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের কোনো মিল ছিল না। আমি এক জন সাধারণ মানুষ। ফলে আমি অতিসাধারণ জীবনযাপনে অভ্যস্ত। কিন্তু ঐশ্বর্য এক জন আধুনিকা। তাঁর জীবনযাপন পুরোপুরি অন্যরকম। কিন্তু আমার পক্ষে তাঁর চাহিদা মেনে তাল মিলিয়ে চলা সম্ভব নয়”।
বিয়ের পরই বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ঐশ্বর্যর উপস্থিতিও চর্চায় উঠে এসেছিল। সামাজিক অনুষ্ঠানে আরজেডির শুভেচ্ছাসূচক প্রচারেরও দেখা গিয়েছিল তাঁর ছবি। একই ভাবে আগামী লোকসভা ভোটে দলের তরফে তাঁর প্রার্থী হওয়া নিয়েও জল্পনা ছড়িয়েছে। কারণ, রাজনীতিতে পদার্পণ বা দলের টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা খুব একটা বেমানান ঠেকেনি রাজনৈতিক মহলের কাছে। ঐশ্বর্যর ঠাকুর্দা কংগ্রেস নেতা দুর্গাপ্রসাদ রাই ন’মাস মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছিলেন। তিনি ১৯৭০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি বিহারের মুখ্যমন্ত্রিত্ব গ্রহণ করেন।
এমনকী ঐশ্বর্যর বাবা চন্দ্রিকাপ্রসাদ রাইও একজন বিধায়ক। স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে বড়ো হয়ে ওঠা ঐশ্বর্যর রাজনীতিক ধ্যান-ধারণা নিয়ে কোনো সংশয় নেই। এমনকী আরজেডি নেতা রাহুল তিওয়ারি বলেছিলেন, আগামী ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্রবধু ঐশ্বর্য রাই। তিনি বলেন, “ছাপরার কন্যা” হিসাবে পরিচিত তেজপ্রতাপ-পত্নী যদি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, তা হলে তিনি অবশ্যই জয়ী হতে পারেন। যদিও এ ব্যাপারে যাদব পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
সব মিলিয়ে এমন প্রশ্নও সংবাদ মাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে, বিবাহবিচ্ছেদের কারণগুলোর মধ্যে এটাও একটা নয় তো?