ওয়েবডেস্ক: তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর দফতর (সিএমও) রবিবার একটি বিবৃতিতে বলেছে, ২৭ বছরের তরুণী মহিলা পশু চিকিৎসকের গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় অভিযুক্তদের বিচারের জন্য ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের জন্য সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ‘নিহতের’ পরিবারকে প্রয়োজনীয় সমস্ত রকমের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী একটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য এবং সাইবারাবাদে ওই তরুণীকে গণধর্ষণ ও খুনের অপরাধীদের কড়া শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন।

সিএমও জানায়, “মুখ্যমন্ত্রী আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন যে মহিলা চিকিৎসকের ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডে ফাস্ট ট্র্যাকের তদন্ত করা উচিত এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রী মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তিতে ফাস্ট ট্র্যাক আদালত গঠনেরও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”
আরও পড়ুন: ধর্ষণ-খুনের চার অভিযুক্তকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল আদালত
নারকীয় ঘটনার পর প্রথম প্রকাশিত বিবৃতিতে চন্দ্রশেখর রাও গণধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে ‘হতাশাজনক’ বলে বর্ণনা করেছেন এবং গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, “এই জাতীয় জঘন্য অপরাধের অপরাধীরা আমাদের মাঝে বেঁচে আছে বলে তিনি হতাশ। তিনি বলেন, ডা. প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির হত্যাকাণ্ড একটি ভয়াবহ ও অমানবিক কাজ”।
আরও পড়ুন: চার দুষ্কৃতী ধৃত, সাইবারাবাদ পুলিশ জানাল তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল
ওয়ারঙ্গলে এক নাবালিকা হত্যার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ওই মামলা ফাস্ট ট্র্যাক আদালত স্থাপনের কারণে ৫৬ দিন পরেই রায় ঘোষিত হয়। একই ভাবে তিনি মনে করেন, ” তেলেঙ্গানা মামলায়ও ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে আসা উচিত”।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।