ওয়েবডেস্ক: হায়দরাবাদে গণধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডে চার অভিযুক্তের এনকাউন্টারে মৃত্যুর পর চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে নিয়ে এল তেলঙ্গানা পুলিশ। তেলঙ্গানা ছাড়াও অন্ধ্রপ্রদেশ এবং কর্নাটকে একই ধরনের অপরাধের সঙ্গে চার নিহত অভিযুক্তের গভীর সম্পর্ক রয়েছে বলে সাংবাদিক বৈঠকে জানায় পুলিশ।
সাইবারাবাদের পুলিশ কমিশনার ভি সি সাজনার বলেন, “আমরা নির্যাতিতা এবং সমস্ত অভিযুক্তের ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করেছি। এ ব্যাপারে বৈজ্ঞানিক তথ্য এবং প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। একই সঙ্গে কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানার নিখোঁজ এবং পুড়িয়ে মারা মহিলাদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছি। সমস্ত তথ্য হাতে পাওয়ার পরে সেগুলি বিশ্লেষণের মাধ্যমে ওই ঘটনাগুলির সঙ্গে তাদের সম্পর্ক স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমরা আশঙ্কা করছি, এই রাজ্য ছাড়াও ভিন রাজ্যেও একই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে”।
এ দিন সাইবারাবাদ পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে তারা তরুণী পশুচিকিৎসকের মোবাইল ফোন, পাওয়ার ব্যাঙ্ক এবং হাতঘড়ি উদ্ধার করেছে।

গত ২৮ নভেম্বর হায়দরাবাদ থেকে প্রায় ৫০ কিমি দূরে শামসাবাদে ২৬ বছরের তরুণী পশু চিকিৎসকের দেহ মিলেছিল। ধর্ষণের পর খুন করার অভিযোগে ২৯ নভেম্বর মহম্মদ আরিফ (২৬), জল্লু শিবা (২০), জল্লু নবীন (২০) এবং চিন্তকুন্ত চেন্নাকেশভুলু (২০)-কে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৩০ নভেম্বর শাদনগরের স্থানীয় আদালত ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় আদালত।

ঘটনার পুনর্নির্মাণে ৬ ডিসেম্বর ভোররাতে অভিযুক্তদের ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে পুলিশের হেফাজত থেকে পালানোর চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে তারা পাল্টা আক্রমণ করে। পুলিশ আত্মসমর্পণের কথা বললেও তারা শোনেনি। পুলিশ গুলি চালালে মৃত্যু হয় চার অভিযু্ক্তের।