খবর অনলাইন ডেস্ক: বিভিন্ন শিল্পে দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে নিরবচ্ছিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তারই একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হিসাবে ভোলবদল ঘটতে চলেছে টেলিকম শিল্পেও।
দেশের ১০টি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে উৎপাদন ক্ষমতা ও রফতানি বাড়ানোর জন্য উৎপাদন-ভিত্তিক উৎসাহ ব্যবস্থা (প্রোডাকশন লিঙ্কড ইনসেনটিভ বা PLI) প্রকল্পকে অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্র। এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সরঞ্জামগুলিকে।
পিএলআইয়ের আওতায় টেলিকম
জানা গিয়েছে, টেলিকম সরঞ্জাম প্রস্তুতের জন্য পিএলআইয়ের আওতায় ১২,১৯৫ কোটি টাকার একটি উৎসাহ প্রকল্প তৈরি করা হয়েছে। সরকার আশা করছে যে এই প্রকল্পের আওতায় আগামী পাঁচ বছরে ২,৪৪,২০০ কোটি টাকার টেলিকম সরঞ্জাম উৎপাদন করা হবে। যার জেরে ৪০ হাজার প্রত্যক্ষ এবং অপ্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের প্রত্যাশা করছে কেন্দ্র।
সরকার দাবি করেছে, এই প্রকল্পে ৪০ হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও অপ্রত্যক্ষ ভাবে চাকরি পাবেন। এর ফলে রফতানি থেকে আসবে ১.৯৯ লক্ষ কোটি টাকা এবং শুল্কবাবদ রাজস্ব আয় হবে ১৭,০০০ কোটি টাকা। এই প্রকল্পগুলিতে উৎপাদন বাড়াতে এমএসএমই-র একাধিক পণ্য বিভাগে বিনিয়োগের সুবিধা থাকবে।
দ্রুত উৎপাদনে আগ্রহী কেন্দ্র
প্রকৃতপক্ষে অর্থনীতির চাকাকে দ্রুত ঘোরাতে উৎপাদনে উৎসাহিত করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই উদ্দেশেই পিএলআই প্রকল্পটির প্রচার করা হচ্ছে। যেহেতু উৎপাদন ক্ষেত্রে আরও কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে, তাই পিএলআই প্রকল্পকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
পিএলআইয়ের ব্যাপারে সরকার আশা করছে, টেলিকম সেক্টর ৩,০০০ কোটি টাকার বিনিয়োগ নিয়ে আসবে এবং বৃহত্তর পর্যায়ের কর্মসংস্থান তৈরি হবে।
এই মুহুর্তে কর্মসংস্থান তৈরিই সরকারের অগ্রাধিকারের তালিকার শীর্ষে রয়েছে। সে কারণেই এ বার পরিকাঠামোগত এক বড়োসড়ো বিনিয়োগের ঘোষণা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ওষুধ তৈরি, বস্ত্র সহ বিভিন্ন বস্ত্রসামগ্রী, খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনে এবং উচ্চক্ষমতাশীল সৌর ফটোভোল্টিক মডিউল তৈরি-সহ একাধিক ক্ষেত্রে উৎসাহ দেবে সরকার। এর জন্য পাঁচ বছর সময়ে মোট ১,৪৫,৯৮০ কোটি টাকার সংস্থান রাখা হয়েছে।
আরও পড়তে পারেন: ভারতে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ১০০ টাকা পার, জেনে নিন কোন ৫টি দেশে সব থেকে সস্তা