বিহারের উপনির্বাচন এবং রাজ্যসভা নির্বাচন নিয়ে চরম স্নায়ুচাপে বিজেপি

0

ওয়েবডেস্ক: ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন, উপনির্বাচন মায় লোকসভা উপনির্বাচনের মুখোমুখি হয়েছে বিজেপি তথা এনডিএ। তবুও আগামী ১১ মার্চ বিহারের একটি লোকসভা এবং দু’টি বিধানসভা উপনির্বাচন এবং ২৩ মার্চ রাজ্যসভার নির্বাচন নিয়ে চরম টানাপোড়েন চলছে বিজেপির অন্দরে।

বিজেপির এখন এমনই অবস্থা যে কোনো এক রাজ্যের পঞ্চায়েত বা পুরসভার ভোটের ফলাফল নিয়ে খোদ নয়াদিল্লির নেতারাই ময়দানে নেমে পড়েন। কোনো এক পুরসভা ভোটের খবরও উঠে আসে জাতীয় সংবাদ মাধ্যমের শিরোনামে। এ রকম পরিস্থিতি গত তিন বছরে দেখতে হয়নি মোদী-শাহর দলকে। তার উপর বিহারের ভোটে যুক্ত হয়েছে জিতেন কাম নীতীশ-ফ্যাক্টর।বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার গত কয়েক মাস ধরে যে ভাবে ‘তৎকাল-মিত্র’ বিজেপির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে তোপ দাগছেন তাতে বিড়ম্বনায় পড়েছেন অমিত। বিহার ভোটে বিজেপি বা নীতীশের কাছে যে কারণে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তা হল মহাজোট ভাঙনের পর বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁতের মাধ্যমে নীতীশ সরকার গড়ার পর আর কোনো নির্বাচনের মুখোমুখি হয়ে হয়নি তাঁকে। আরজেডি-জেডইউ-কংগ্রেসের মহাজোটের সামনে যে বিজেপি হালে পানি পায়নি, সেই দলের সঙ্গেই ২০১৫-এর নভেম্বর থেকে ঘর বেঁধেছেন নীতীশ। আর এখন তো এমন অবস্থা, জানালা-দরজা দিয়ে পালাতে পারলেই বেঁচে যান।

আবার বিহারে বিজেপির অন্য তিন সঙ্গীও বিচিত্র শর্ত আরোপ করে দিয়েছে। প্রাক্তন মুখ্যমনত্রী জিতেন রাম মাঞ্ঝির হিন্দুস্থানি আওয়াম মোর্চা, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশবাহার রাষ্ট্রীয় সমতা পার্টি এবং অপর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি নিজের নিজের মতো করে আর্জি জানিয়ে রেখেছিল বিজেপির কাছে। যেমন জিতেন আগামী রাজ্যসভা ভোটে নিজের দলের এক জনকে সংসদে না পাঠালে তিনি বিধানসভায় প্রচারে অংশ নেবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন। তা পূরণ না হওয়ায় বুধবার এনডিএ ছাড়ার কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন।

অন্য দিকে পশুখাদ্য মামলায় দোযী সাব্যস্ত হয়ে জেলে যাওয়ার পর আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদের উপর মানুষের আবেগ নিমেষে বাড়িয়ে তুলেছে বিজেপি। আদালতের রায়ে লালু জেলে গেলেও মানুষের ধারণা, নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি এবং নীতীশ সরকারের অদৃশ্য ভূমিকা।

বিজ্ঞাপন