দেশ
১২৫-১০৫ ভোটে রাজ্যসভায় পাশ নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল

নয়াদিল্লি: রাজ্যসভায় পাশ হল নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিল ২০১৯। বিলের পক্ষে ভোট পড়ে ১২৫টি, অন্য দিকে বিপক্ষে ১০৫টি। গত সোমবার লোকসভায় এই বিল পাশ হয়েছিল। এর পর রাজ্যসভাতেও ওই বিল পাশ হওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রকে একহাত নেন কংগ্রেসনেত্রী সোনিয়া গান্ধী। পাশাপাশি ভারতের ইতিহাস স্মরণ করিয়ে দেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী।
ভোটাভুটির ফলাফল প্রকাশের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইটারে লিখেছেন, “ভারত এবং আমাদের জাতির সহানুভূতি এবং ভ্রাতৃত্বের নৈতিকতার জন্য একটি যুগান্তকারী দিন। খুশির কারণ রাজ্যসভায় সিএবি ২০১৯ পাশ হয়েছে। সমস্ত সংসদ সদস্য, যাঁরা পেশ করা বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই”।
একই সঙ্গে তিনি যোগ করেছেন, “এই বিল বছরের পর বছর ধরে নির্যাতনের মুখোমুখি হওয়া অনেকের দুর্দশা লাঘব করবে”।
তবে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ভারতের বহুত্ববাদের মধ্যে এই বিল পাশ হওয়ার ঘটনাকে “সংকীর্ণ ও ধর্মান্ধ শক্তির জয়” হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। তাঁর মতে, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ ভারতের সাংবিধানিক ইতিহাসে ‘অন্ধকার দিন’ হিসাবে চিহ্নিত করেছে।
বিল সম্পর্কে বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী বলেন, “ঐতিহাসিক ভাবে ভারত একটি সহনশীল দেশ, যে দেশ ধর্মনিরপেক্ষতায় বিশ্বাসী (তবে) তারা যদি এর থেকে বিচ্যুত হয় তবে তাদের ঐতিহাসিক অবস্থানটি দুর্বল হবে”।
বিল পাশ করাকে কেন্দ্র করে অসম, ত্রিপুরা-সহ উত্তর-পূর্ব ভারতের কোথাও কোথাও সহিংস বিক্ষোভে শামিল হন প্রতিবাদকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পাঠানো হয় সেনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সব মিলিয়ে পাঁচ হাজার আধাসেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।

দিনভর রাজ্যসভায় বিতর্ক চলে বিলটিকে কেন্দ্র করে। বিল সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হবে কি না, তা নিয়ে আয়োজিত হয় ভোটাভুটি হয়। তার আগে অবশ্য বিতর্কের সময় বিভিন্ন দলের সাংসদরা ১৪টি সংশোধনীর জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু ভোটাভুটিতে সে সমস্ত প্রসত্বা খারিজ হয়ে যায়। এখন বিলটিকে আইনে পরিণত করার জন্য প্রয়োজন শুধু রাষ্ট্রপতির অনুমোদন।
দেশ
ন’মাস পরে দিল্লিতে দৈনিক কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা একশোর নীচে!
দিল্লিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার কমে ০.৩২ শতাংশ।

নয়াদিল্লি: শেষ ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে কোভিড-১৯ (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা ৯৬। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, এ দিন দৈনিক সংক্রমণের হার ঠেকেছে ০.৩২ শতাংশে।
বুধবার দিল্লির স্বাস্থ্য দফতর দাবি করেছে, গত বছরের ৩০ এপ্রিলের পরে এই প্রথম জাতীয় রাজধানীতে এক দিনে একশোরও কম সংখ্যক কোভিড আক্রান্ত শনান্ত হয়েছেন।
এক নজরে দিল্লির করোনা-পরিস্থিতি
এখনও পর্যন্ত দিল্লিতে মোট করোনাভাইরাস (Coronavirus) সংক্রামিতের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৩৪ হাজার ৩২৫। যার মধ্যে প্রায় ৬ লক্ষ ২০ হাজার আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন। সুস্থতার হার রয়েছে ৯৮.৫ শতাংশে।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২৯ হাজার ৮৫৫টি। এখনও পর্যন্ত প্রতি ১০ লক্ষে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫ লক্ষ ৫২ হাজার ৩৭০টি।
দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ন’জনের। এখনও পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ৮২৯।
সংক্রমণের হার
এক দিনে সর্বোচ্চ সাড়ে আট হাজার আক্রান্ত শনাক্ত হতেও দেখেছিল দিল্লি। সে সময় সংক্রমণের হার পৌঁছে গিয়েছিল প্রায় ১৫ শতাংশে। এখন সেই হার নেমে এসেছে ০.৩২ শতাংশে।
তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপের জন্য এখনও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন আগেই জানিয়েছেন, এ ধরনের পরিসংখ্যান থেকেই “আমরা ধরে নিতে পারি যে দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় কোভিড-১৯-এর ‘তৃতীয় ঢেউ’ শেষ হয়ে গিয়েছে”।
দেশের করোনা-চিত্র
টেস্টের পরিমাণ বাড়ায় দেশে সংক্রমণ আগের দিনের থেকে বেড়েছে এ দিন। যদিও আগের সপ্তাহের মঙ্গলবারের থেকে তা বেশ কিছুটা কমই রেকর্ড করা হয়েছে। মৃত্যুহারে হ্রাস এবং সুস্থতার হারে বৃদ্ধি তো হয়েই চলেছে। কিন্তু এরই মধ্যে চিন্তা যাচ্ছেই না কেরলকে নিয়ে। এ দিনও গোটা দেশের নতুন সংক্রমণের ৫০ শতাংশই কেরলে।
আরও পড়তে পারেন: গোটা দেশে নতুন সংক্রমণের অর্ধেক কেরলেই
দেশ
২৬ জানুয়ারির হিংসাত্মক ঘটনার জেরে কৃষক বিক্ষোভ থেকে সরে দাঁড়াল দু’টি সংগঠন
গতকালের ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এটাই হয়তো হওয়ার কথা ছিল? তবে অনেক কিছুই নেপথ্যে রয়ে গেল!

খবর অনলাইন ডেস্ক: নতুন তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন ট্র্যাক্টর মিছিলের আয়োজন করেন আন্দোলনরত কৃষকরা। কিন্তু ওই মিছিলকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজধানী দিল্লি। ওই হিংসাত্মক ঘটনার জেরেই কৃষক বিক্ষোভ থেকে সরে দাঁড়াল দু’টি সংগঠন।
বুধবার রাষ্ট্রীয় কিসান মজদুর সংগঠন এবং ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন (ভানু) ঘোষণা করে, তারা দিল্লিতে চলমান কৃষক বিক্ষোভ থেকে নিজেদের সমর্থন প্রত্যাহার করছে। ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে যে ধরনের হিংসা ছড়িয়ে পড়ে, সে কথা বিবেচনা করেই তারা বিক্ষোভ থেকে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে।
কী বলছেন সংগঠন দু’টির শীর্ষ নেতৃত্ব?
সমর্থন প্রত্যাহারের ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় কিসান মজদুর সংগঠনের নেতা ভিএম সিং বলেছেন, তাঁর সংগঠন কৃষকদের বিক্ষোভ থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে সরে আসছে। কারণ প্রতিবাদের এই পদ্ধতি তাঁদের কাছে “গ্রহণযোগ্য নয়”।
গাজিপুর সীমানায় সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে তিনি বলেন, “আমরা এই বিক্ষোভ থেকে সরে আসছি তবে কৃষকের অধিকার রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাব”। তাঁর কথায়, “আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। যদিও এ ভাবে নয়। কারণ এই পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য নয়”।
অন্যদিকে ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন (ভানু)-এর সভাপতি ঠাকুর ভানু প্রতাপ সিংহ বলেছেন, তিনিও এই প্রতিবাদ থেকে সরে আসছেন এবং দিল্লিতে হিংসার ঘটনায় তিনি মর্মাহত। সংবাদ সংস্থা এএনআই তাঁর মন্তব্য উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, “গতকাল দিল্লিতে যা ঘটেছিল তাতে আমি গভীরভাবে মর্মাহত এবং আমাদের ৫৮ দিনের বিক্ষোভ শেষ করছি”।
কী ঘটেছিল ২৬ জানুয়ারি?
কৃষকদের ট্র্যাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে রাজধানী দিল্লি। একাধিক জায়গায় কৃষক-পুলিশ সংঘর্ষ এবং হিংসাত্মক ঘটনাকে কেন্দ্র করে আইন-শৃঙ্খলাজনিত উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিকেলে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকের পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত আধা সেনা নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই দিন প্রায় ২০টি ট্র্যাক্টর নিয়ে ঐতিহাসিক লালকেল্লায় ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। সেখান স্লোগান দিতে দিতেই তাঁরা নিজেদের পতাকা ওড়ান। দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়। আন্দোলনকারীদের বুঝিয়ে-সুঝিয়েও লালকেল্লা মুক্ত করে পুলিশ।
পরিস্থিতি এতটাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, তা সম্ভবত কল্পনা করতে পারেননি অনেকেই। রাজস্থান এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীদের মতোই কৃষক সংগঠনের নেতারাও আন্দোলনকারীদের সংযত থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে মিছিলে অংশ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। তবুও ওই দিনের ঘটনায় এক কৃষকের মৃত্যু এবং কয়েকশো আন্দোলনকারী ও পুলিশকর্মী আহত হন।
আরও পড়তে পারেন: বিধানসভার অধিবেশন শুরুর দিনেই ভিভিআইপি গেট আটকে বিক্ষোভ শিক্ষক ঐক্য মুক্তমঞ্চের
দেশ
হাইকোর্টের ‘ত্বকের সঙ্গে সংস্পর্শ না হলে শিশুর যৌন নিগ্রহ নয়’ রায়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের
শিশুর পোশাকের উপর দিয়ে উপর দিয়ে অন্যায় স্পর্শ করা যৌন নিগ্রহ নয়, বলেছিল বম্বে হাইকোর্ট।

নয়াদিল্লি: বম্বে হাইকোর্টের দেওয়া নাবালক বা নাবালিকার যৌন নিগ্রহের একটি বিতর্কিত রায়ে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে ভেণুগোপাল বলেছেন, এই রায় একটি বিপজ্জনক নজির স্থাপন করবে।
বম্বে হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছিল, “ত্বকের সঙ্গে সংস্পর্শ না হলে, সেটাকে নাবালিকার যৌন নিগ্রহ বলা যায় না। পোশাকের উপর দিয়ে স্তনে হাত দিলে পকসো আইনের আওতায় সেটাকে যৌন নিগ্রহের মধ্যে ধরা হবে না”।
গত ১৯ জানুয়ারি বিতর্কিত রায়টি শুনিয়েছিল বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি পুষ্প গণেদিওয়ালার নেতৃত্বে একক বিচারপতির বেঞ্চ। বম্বে হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চের ওই রায়ে বলা হয়, যৌন নিপীড়ন হিসাবে বিবেচিত হওয়ার জন্য “যৌন অভিপ্রায়ের সঙ্গে ত্বক থেকে ত্বকে সংযোগ হওয়া উচিত”।
একই সঙ্গে বিচারপতি মন্তব্য করেন, “যৌন নিগ্রহ হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার জন্য পেনিট্রেশন বা শিশুর শরীরে অঙ্গপ্রবেশ করতে হবে তেমনটা নয়, তবে পোশাকের উপর দিয়ে হলে নয়, ভিতর দিয়ে হলে তবেই”।
হাইকোর্টের এই রায় প্রকাশ্যে আসার পরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে সারা দেশ জুড়ে। শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দেয়। অনেক আইনজীবীও বলেন, এমন রায় তাঁরা কোনো দিন শোনেননি। শেষমেশ বিতর্কের জল গড়ায় শীর্ষ আদালতে।
আরও পড়তে পারেন: ‘ত্বক থেকে ত্বকে সংযোগ’ ছাড়া ‘নিছক অনুভূতি’কে যৌন নিপীড়ন বলা যায় না: হাইকোর্ট
-
শিল্প-বাণিজ্য9 hours ago
ফের বাড়ল পেট্রোল, ডিজেলের দাম, কলকাতায় নতুন রেকর্ড
-
ফুটবল2 days ago
বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু ব্রাজিলের ফুটবল ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ও চার ফুটবলারের
-
কলকাতা1 day ago
উত্তর কলকাতার অলিতেগলিতে লুকিয়ে রয়েছে ইতিহাস, সাধারণতন্ত্র দিবসে হেঁটে দেখা
-
কলকাতা2 days ago
নারকেলডাঙার ছাগলপট্টিতে আগুন, হতাহতের খবর নেই