গরিব ঘরের মেধাবী ছাত্ররা উচ্চশিক্ষা পেতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যৎ তৈরি করতে পারে।
বেঙ্গালুরুর এই নামী কলেজটির নাম সেন্ট জোসেফ কলেজ। এই কলেজেরই সমাজতত্ত্ব বিভাগ থেকে বিলি করা হয়েছে ফটোকপি করা পাতাগুলি।
কলেজের জনসংযোগ আধিকারিক অধ্যাপক কিরণ জীবন জানিয়েছেন, কেন এই ঘটনা ঘটল তার শিকড় খুঁজে বার করতে তদন্ত শুরু হয়েছে। বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, এই ধরনের মত কখনোই কলেজের সিলেবাসের অংশ নয়। এমনকি সমাজতত্ত্ব বিভাগ এবং কলেজ কর্তৃপক্ষ কখনোই এই ধরনের ‘পিতৃতান্ত্রিক’ মতামতকে সমর্থন করে না।
এ বছরের গোড়ার দিকে মহারাষ্ট্রে দ্বাদশ শ্রেণির সমাজবিদ্যার পাঠ্যবইয়ে পণপথার স্বপক্ষে সওয়াল করা হয়। এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। সেখানে লেখা হয়েছিল, ‘‘যদি মেয়েটি খারাপ দেখতে হয় এবং প্রতিবন্ধী হয় তবে তার বিয়ে দেওয়া বেশ কঠিন। পাত্রপক্ষ প্রচুর পণ চায়। নিরুপায় মেয়ের বাবা-মা বাধ্য হয় পাত্রের পরিবারের চাহিদামতো পণ দিতে।’’
সোশ্যাল মিডিয়া হ্যাশ ট্যাগ ‘মি টু’ নামে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। মেয়েরা তাদের উপর ঘটে থাকা অত্যাচার ও শ্লীলতাহানির কথা লিখেছেন। এই প্রতিবাদ চলবে। কিন্তু, এই ধরনের ঘটনার শিকড় যে গভীর তা বেঙ্গালুরুর নামী কলেজের ঘটনাতেই প্রমাণ হয়।
দেখে নিন পণপ্রথার বিরুদ্ধে ইউনিসেফের প্রচারিত ভিডিও
]]>