খবর অনলাইন ডেস্ক: সাত দফার লোকসভা নির্বাচন প্রায় শেষ লগ্নে। আগামীকাল, শনিবার সপ্তম তথা শেষ দফার ভোট নেওয়া হবে। তার পর, ৪ জুন ফলাফল। রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি ভোটগণনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছেন শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীরাও! কী হতে পারে?
সাধারণ ভোটার থেকে শুরু করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল নিয়ে সবসময়ই ভিন্নমত পোষণ করেন। তবে, এখানে না বললেই নয়, এ বার ভোটের হার কম হওয়া অথবা ভোটদানের উদাসীনতাকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং তাঁর বিজেপি সরকারের জন্য ঝুঁকি হিসেবে দেখছেন অনেকে।
২০১৯ সালের শেষ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি এবং তার শরিক দলগুলি ৫৪৩টি আসনের মধ্যে ৩৫২টি জিতেছিল। যেখানে বিজেপি একা ৩০৩টি আসন জিতেছিল। শনিবার, এ বারের ভোট শেষ হওয়ার আগে কোনো বুথফেরত সমীক্ষা অনুমোদিত নয়, তবে এপ্রিলের শুরুতে জনমত সমীক্ষা অনুসারে বিজেপি নির্বাচনে জয়লাভ করবে বলে আশা করা হয়েছিল। কেউ কেউ বলেছিলেন, গতবারের মতোই আসন জিততে পারে বিজেপি। এখন সেই ধারণায় কিছুটা হলেও পরিবর্তন এসেছে।
হ্যাঁ, ভোটের ফলাফল প্রভাব ফেলে শেয়ার বাজারে!
শেয়ার বাজার বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনী ফলাফলের আঁচ পড়বে স্টক মার্কেটে। উদাহরণ হিসেবে শেষ কয়েকটি লোকসভা ভোট এবং শেয়ার মার্কেটে তার প্রভাবের সংক্ষিপ্ত উদাহরণ তুলে ধরা যেতে পারে। গত ২০০৪ সালের লোকসভা ভোটের পর জোরালো সংশোধনের পথ ধরেছিল শেয়ার বাজারের সূচকগুলি। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটের পর বাজার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। আবার ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের আগের বছর থেকেই ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছিল শেয়ার বাজার। ফলাফল ঘোষণার পর সেই গতি অব্যাহত ছিল। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের পরেও শেয়ার বাজার উপরের দিকে চড়ছিল, তবে কয়েক মাস পরেই করোনা মহামারিতে বাজার তছনছ হয়ে যায়।
নির্বাচনীযুদ্ধ শুধু যে দেশীয় বিনিয়োগকারীদেরই প্রভাবিত করবে তা নয়, বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও সেদিকে তাকিয়ে থাকবেন। ভোটের প্রস্তুতি চলাকালীন বিভিন্ন ধরনের সম্ভাবনা এবং মূল্যায়ন এবং জনমত সমীক্ষা সামনে এসেছে। আর ভোটের ফলাফল প্রকাশের পরেও আসবে সরকার গঠন, সরকারের আগামী লক্ষ্য ইত্যাদি নিয়ে এক প্রস্থ মূল্যায়ন। এই সময়কালে টানাপোড়েন থাকাটাও স্বাভাবিক। এমনকী তেমন কিছু ঘটলে অস্থিরতা সৃষ্টি হওয়া আশ্চর্যের বিষয় নয়।
নির্বাচনী ফলাফল কী প্রভাব ফেলতে পারে শেয়ার বাজারে?
নির্বাচনী ফলাফলের আগাম আন্দাজ করতে বুথফেরত সমীক্ষায় না গিয়েও আপাতত তিনটি সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দেওয়া যেতে পারে। প্রথমত, আবারও আগের বারের মতো ৩০০-র বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় ফিরতে পারে বিজেপি। দ্বিতীয়ত, ৩০০-র বেশি আসন না জিতলেও শরিকদের নিয়ে ২৭২-এর গণ্ডি অতিক্রম করে সরকার গড়তে পারে বিজেপি। তৃতীয়ত, সরকার-বিরোধী জনমতকে সঙ্গী করে ক্ষমতায় আসতে পারে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’। স্বাভাবিক ভাবে, ফলাফল ঘোষণার আগেএই তিন প্রত্যাশাই মান্যতা পেতে পারে।
ফলাফলে ‘বৃহত্তর অংশের প্রত্যাশা‘র চেয়ে অন্যরকম কিছু হলে বিনিয়োগকারীরা তাঁদের শেয়ার বিক্রি করা শুরু করবেন। তবে শেয়ার বিক্রির তীব্রতা কী মাত্রা পাবে তা নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলের উপরই নির্ভর করে। অন্য দিকে, প্রত্যাশা পূরণ হলে বিনিয়োগের বহর বাড়বে, চড়চড় করে উপরের দিকে উঠতে পারে সূচকগুলি।
আরও পড়ুন: আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপ ২০২৪: কুলদীপ সম্পর্কে কী বললেন রোহিত? কমেডি মুভিকেও হার মানাল