২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এবার ৪১টি দলের প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে এই সংখ্যা ছিল ৩৬টি। ‘থিঙ্ক-ট্যাংক’(নির্বাচন সংক্রান্ত তথ্য যারা বিশ্লেষণ করে) পিআরএসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, জাতীয় দলগুলো মোট ৩৪৬টি আসন অর্জন করেছে, যা মোট আসনের ৬৪ শতাংশ। রাজ্য স্বীকৃত দলগুলো ১৭৯টি আসন জিতেছে, যা মোট আসনের ৩৩ শতাংশ। অস্বীকৃত দলগুলো ১১টি আসন দখল করেছে এবং নির্দল প্রার্থীরা সাতটি আসন জিতেছে।
এই নির্বাচনের ফলাফল ভারতের রাজনৈতিক মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। জাতীয় দলগুলোর প্রভাব অটুট থাকলেও, রাজ্য স্বীকৃত দলগুলোর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা রাজ্য ভিত্তিক রাজনীতির গুরুত্বকে প্রতিফলিত করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্য স্বীকৃত দলগুলোর এই সাফল্য আঞ্চলিক ইস্যুগুলির প্রতি ভোটারদের মনোযোগ বৃদ্ধি এবং জাতীয় রাজনীতিতে তাদের ভূমিকাকে শক্তিশালী করে তুলেছে।
অস্বীকৃত দলগুলো এবং নির্দল প্রার্থীদের সাফল্য অর্জনও উল্লেখযোগ্য, যা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বহুমাত্রিকতার ইঙ্গিত দেয়। এটি বোঝায় যে, ভোটাররা প্রধান দলগুলোর বাইরেও বিকল্প খুঁজছেন এবং স্থানীয় ইস্যু ও প্রার্থীদের গুরুত্ব দিচ্ছেন।
নির্বাচনের এই ফলাফল রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের নীতি এবং কৌশল পুনর্বিবেচনা করতে বাধ্য করছে। বড় দলগুলোকে ছোট দলগুলোর সঙ্গে জোট গড়ার ক্ষেত্রে আরও কৌশলী হতে হবে। পাশাপাশি, ছোট দলগুলোর এই সাফল্য তাদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং তারা স্থানীয় ইস্যুগুলিকে আরও বেশি গুরুত্ব দিতে সক্ষম হবে। বিজেপি এবার একক সংখ্যা গরিষ্ঠ দল হতে পারেনি। তাকে সরকার গড়তে হচ্ছে আঞ্চালিক দল নিয়েই।