লোকসভায় ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানালেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার তিনি অভিযোগ করেন, গত কয়েক বছরে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে।
জিরো আওয়ারে বক্তৃতা করার সময় তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম এই সমস্যার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। তিনি জানান, ভোটার তালিকায় ‘ডুপ্লিকেট’ ভোটার কার্ডের সংখ্যা বেড়েছে। নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যার মধ্যেই নির্বাচন বিধির লঙ্ঘন ধরা পড়েছে।
তিনি দাবি করেন, এই ত্রুটিপূর্ণ ভোটার তালিকা নির্বাচন বিধির ২০ নম্বর নিয়মের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। পশ্চিমবঙ্গে ভোটার সংখ্যা কীভাবে বাড়ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “গুজরাত, হরিয়ানা থেকে ভোটার আসছে… এটা বরদাস্ত করা যায় না।”
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, “নির্বাচন কমিশন বারবার বলে তারা স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করেছে, কিন্তু বাস্তবে গত কয়েক বছরে কোনও স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি।”
তৃণমূল কংগ্রেস ভোটার তালিকায় ‘ডুপ্লিকেট’ এপিক নম্বর নিয়ে সরব হওয়ার পর নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী তিন মাসের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। যদিও কমিশন তৃণমূলের দাবি নাকচ করে জানিয়েছে যে, কিছু ভোটারের এপিক নম্বর এক হলেও তাঁদের অন্যান্য তথ্য যেমন— নির্বাচনী এলাকা ও বুথ নম্বর আলাদা।
কমিশনের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, টেকনিক্যাল টিম এবং সংশ্লিষ্ট সিইওদের সঙ্গে আলোচনা করে বিদ্যমান ও ভবিষ্যতের ভোটারদের জন্য একটি ‘ইউনিক এপিক নম্বর’ নিশ্চিত করা হবে।
কমিশন জানিয়েছে, ২০০০ সালে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে এপিক নম্বরের সিরিজ বরাদ্দের সময় কিছু ইআরও সঠিক সিরিজ ব্যবহার করেননি। ফলে ভুল সিরিজের কারণে একাধিক ভোটারকে একই এপিক নম্বর দেওয়া হয়েছে, যা আগে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: তিন মাসের মধ্যে ‘ডুপ্লিকেট এপিক নম্বর’ সমস্যার সমাধান, আশ্বাস নির্বাচন কমিশনের