দেশ
অন্ধ্রের নয়, মাওবাদীদের সামরিক বাহিনী শীর্ষ স্থানে বসতে পারেন ছত্তীসগঢ়ে এই আদিবাসী নেতা
ওয়েবডেস্ক: মাওবাদীদের সামরিক বাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এই মুহূর্তে যার নাম সবার ওপরে রয়েছে, তিনি ছত্তীসগঢ়ের নেতা তথা বস্তারের ‘ব্যাটিলিয়ন-১’-এর কম্যান্ডার মাধবি হিদমা। এটা যদি সত্যিই হয়, তা হলে এই আদিবাসী নেতাই হবেন ছত্তীসগঢ়ের প্রথম ব্যক্তি যিনি মাওবাদীদের সামরিক বাহিনী অর্থাৎ সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের (সিএমসি) শীর্ষ পদে বসবেন। এত দিন পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশ এবং অধুনা তেলঙ্গানার […]
ওয়েবডেস্ক: মাওবাদীদের সামরিক বাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য এই মুহূর্তে যার নাম সবার ওপরে রয়েছে, তিনি ছত্তীসগঢ়ের নেতা তথা বস্তারের ‘ব্যাটিলিয়ন-১’-এর কম্যান্ডার মাধবি হিদমা।
এটা যদি সত্যিই হয়, তা হলে এই আদিবাসী নেতাই হবেন ছত্তীসগঢ়ের প্রথম ব্যক্তি যিনি মাওবাদীদের সামরিক বাহিনী অর্থাৎ সেন্ট্রাল মিলিটারি কমিশনের (সিএমসি) শীর্ষ পদে বসবেন। এত দিন পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশ এবং অধুনা তেলঙ্গানার মাওবাদী নেতারাই সিএমসির শীর্ষ স্থানে বসতেন।
কয়েক মাস আগেই মাওবাদীদের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন মুপ্পালা লক্ষ্মণ রাও ওরফে গণপতি। তাঁর জায়গায় ওই পদে বসেন নম্বলা কেশব রাও ওরফে বাসব রাজু। এই সিদ্ধান্তের পর একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় যে এ বার মাওবাদীরা আরও বেশি আগ্রাসী ভূমিকা পালন করতে চলেছে।
সাধারণ সম্পাদকের পদে বসার আগে সিএমসির প্রধান ছিলেন বাসব রাজু। কিন্তু সেই পদ থেকে সরে যেতে চান তিনি। সেই কারণে এমন একজন উত্তরাধিকার তিনি খুঁজছিলেন, যিনি সামরিক ভাবে দক্ষ এবং আগ্রাসী। সেই কারণেই মাধবির দিকেই ভোট গিয়েছে মাওবাদীদের।
আরও পড়ুন সাগর মেলা উপলক্ষে একাধিক বিশেষ ট্রেন পূর্ব রেলের, জানুন বিস্তারিত
মাওবাদীদের পলিটব্যুরো বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এ বার থেকে মাওবাদীদের মধ্যে একটা অবসর নীতি তৈরি করা হবে। বেশি বয়স হয়ে গেলেই শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের অবসর নিতে হবে। অনেকটা সেই নীতি মেনেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গণপতি।
মাওবাদী সূত্রে খবর, মাধবি ছাড়াও এই পদে বসার জন্য তাঁর সঙ্গে জোর লড়াই ছিল আর শ্রীনিবাস ওরফে রমন্না, আর তিরুপতি ওরফে দেবজি, কে সুদর্শন ওরফে আনন্দ এবং এম বেনুগোপাল ওরফে সোনুর।
দেশ
করোনা টিকার শংসাপত্রে মোদীর ছবি, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জবাব তলব কমিশনের
গত শুক্রবার ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। তার পরেও বিজেপির প্রচারক মোদীর ছবি-সহ করোনার শংসাপত্র বিলি নিয়ে আপত্তি তোলে তৃণমূল।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: নির্বাচনী নির্ঘণ্ট প্রকাশের পরেও করোনা টিকার শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি ব্যবহার করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূলে। আর তার পরেই এই মর্মে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জবাব তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।
বিষয়টি নিয়ে কমিশনের তরফে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিশনের এক আধিকারিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘‘প্রথমে সত্যটা জেনে নেওয়া প্রয়োজন। জানতে হবে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশেই প্রধানমন্ত্রীর ছবি দেওয়া শংসাপত্র বিলি করা হচ্ছিল কি না। এ ক্ষেত্রে সব পক্ষের মতামত জানা প্রয়োজন।’’
টিকার শংসাপত্রে মোদীর ছবি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকেই যে হেতু অভিযোগ জমা পড়েছে, তাই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবের কাছ থেকেও এ নিয়ে সবিস্তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে কমিশন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ২৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে। তার পরেও বিজেপির প্রচারক মোদীর ছবি-সহ করোনার শংসাপত্র বিলি নিয়ে আপত্তি তোলে তৃণমূল। পাশাপাশি পেট্রোল পাম্পের বিজ্ঞাপনে মোদীর ছবি ব্যবহার নিয়েও প্রতিবাদ করেছিল তৃণমূল। এর পর পাম্পগুলিকে সেই ছবি নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয় কমিশন।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
অপ্রয়োজনীয় ভিড় এড়াতে ব্যবস্থা, প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম তিনগুণ বাড়াল রেল
দেশ
অপ্রয়োজনীয় ভিড় এড়াতে ব্যবস্থা, প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম তিনগুণ বাড়াল রেল
এর আগে, মুম্বই এবং সংলগ্ন এলাকার প্ল্যাটফর্ম টিকিটের মূল্য বাড়িয়ে একধাক্কায় ১০ থেকে ৫০ টাকা করে দিয়েছিল রেল।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: অপ্রয়োজনীয় ভিড় এড়াতে ভাড়া বাড়ানোর পন্থা নিল রেল। এক ধাক্কায় তিনগুণ বাড়িয়ে দেওয়া হল প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম।
এখন থেকে প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়াও বাড়ানো হয়েছে স্বল্প দূরত্বের যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়াও। এখন থেকে এই ট্রেনে উঠতে গেলেও ৩০ টাকার টিকিট কাটতে হবে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া মানুষ যাতে ট্রেনে না ওঠেন, তার জন্য এর আগে ফেব্রুয়ারি মাসেও স্বল্পদূরত্বের যাত্রীবাহী ট্রেনের ভাড়া বাড়ানো হয়েছিল।
করোনা পরিস্থিতিতে স্টেশন চত্বর এবং ট্রেনে ভিড় রুখতেই এই ‘সাময়িক’ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে যদিও রেলের তরফে সাফাই দেওয়া হয়েছে। প্ল্যাটফর্ম টিকিট এবং স্বল্প দূরত্বের যাত্রীবাহী ট্রেনের টিকিটের বর্ধিত মূল্য নিয়ে শুক্রবার রেলের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্টেশন চত্বরে ভিড় সামাল দেওয়ার দায়িত্ব ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজারদের (ডিআরএম)। প্ল্যাটফর্ম টিকিটের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা অবগত।
এর আগে, মুম্বই এবং সংলগ্ন এলাকার প্ল্যাটফর্ম টিকিটের মূল্য বাড়িয়ে একধাক্কায় ১০ থেকে ৫০ টাকা করে দিয়েছিল রেল। ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ টার্মিনাস, দাদার এবং লোকমান্য তিলক টার্মিনাসের মতো স্টেশনে তা এখনও চালু রয়েছে। এ বার গোটা দেশেই প্ল্যাটফর্ম টিকিটের দাম বাড়ল।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
কর্মীদের কোভিড টিকাকরণের খরচ জোগাবে রিলায়েন্স, জানালেন নীতা অম্বানি

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল ভারত-নেপাল সীমান্ত। নেপাল পুলিশের গুলিতে এক ভারতীয় যুবকের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের পিলিভিটে। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশবাহিনী এবং সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) জওয়ানরা। নিহতের নাম গোবিন্দ সিংহ (২৬)। এই ঘটনায় এখনও নিখোঁজ আরও ১ যুবক।
পিলভিটের পুলিশ সুপার জয়প্রকাশ জানিয়েছেন, নেপাল সীমান্ত লাগোয় উত্তরপ্রদেশের পিলভিটের হাজারা থানা এলাকার রাঘবপুরী টিলা নম্বর ৪ গ্রাম থেকে গোবিন্দ সিংহ, গুরমিত সিংহ এবং পাপ্পু সিংহ নামক তিন বন্ধু নেপালের বেলোরি বাজারে কিছু কাজের জন্য গিয়েছিলেন।
কাজ সেরে বাড়ি ফেরার সময় কোনো বিষয় নিয়ে ওই তিন জনের বচসা হয় বলে জানা গিয়েছে। তখনই নেপাল পুলিশ গুলি চালায় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর জখম হন গোবিন্দ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
গোবিন্দর দুই সঙ্গীর মধ্যে এক জন এখনও নিখোঁজ। অন্য জন কোনোক্রমে প্রাণ বাঁচিয়ে ভারতে ফিরে আসেন বলে জানিয়েছেন ওই পুলিশ আধিকারিক।
এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সীমান্তলাগোয়া গ্রামবাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। তাঁরা সীমান্তে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠায় ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী পৌঁছে গ্রামবাসীদের শান্ত করেন। পুলিশ জানিয়েছে, যে যুবক ফিরে এসেছেন, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানার চেষ্টা চলছে সেখানে ঠিক কী হয়েছিল। কী থেকে বচসার সূত্রপাত— সব কিছু জানার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি, নেপাল পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
তবে এই প্রথম নয়, গত বছরের জুনে ভারত-নেপাল সীমান্তলাগোয়া বিহারের সীতামঢ়ী জেলার মাহোবা গ্রামের এক কৃষকের মৃত্যু হয় নেপাল পুলিশের গুলিতে। আহত হন আরও ৩ জন। এসএসবি সূত্রে জানা গিয়েছিল, লালবন্দি-জানকীনগর পঞ্চায়েত এলাকায় আন্তর্জাতিক সীমান্তে এসে ভারতীয় কৃষকদের চাষের কাজে বাধা দেয় নেপাল পুলিশের কয়েক জন অফিসার।
এই থেকে কৃষকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয়। এবং আচমকা গুলি চালাতে শুরু করে নেপাল পুলিশ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বিকাশকুমার রাই নামে এক কৃষকের। আরও এক কৃষককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে নেপাল পুলিশের বিরুদ্ধে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
দলিত যুবককে বিয়ে, আদালতের দেওয়া নিরাপত্তা সত্ত্বেও মেয়েকে খুন করল বাবা
-
রাজ্য15 hours ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার3 days ago
কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতির আওতায় মাদ্রাসায় পড়ানো হবে গীতা, রামায়ণ, বেদ-সহ অন্যান্য বিষয়
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার2 days ago
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়, ফের কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য
-
গাড়ি ও বাইক21 hours ago
আরটিও অফিসে আর যেতে হবে না! চালু হল আধার ভিত্তিক যোগাযোগহীন পরিষেবা