বেঙ্গালুরুর তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী অতুল সুভাষের আত্মহত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হল অতুলের স্ত্রী নিকিতা সিংহানিয়া, তাঁর মা নিশা সিংহানিয়া এবং ভাই অনুরাগ সিংহানিয়াকে। বেঙ্গালুরু পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
কীভাবে এগোল তদন্ত?
ঘটনার পর নড়েচড়ে বসে বেঙ্গালুরু পুলিশ। উত্তরপ্রদেশের জৌনপুরের বাসিন্দা নিকিতা ও তাঁর পরিবারকে বেঙ্গালুরুর মারাঠাহল্লি থানায় হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ একটি দল পাঠায় জৌনপুরে। তবে গ্রেফতারি এড়াতে নিকিতারা ইলাহাবাদ হাই কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন, যা খারিজ হয়ে যায়।
কী ঘটেছিল?
সোমবার ভোরে অতুল সুভাষের দেহ তাঁর নিজের ঘরে উদ্ধার হয়। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টার একটি বিদায়ী ভিডিয়ো এবং ২৪ পাতার একটি সুইসাইড নোট পাওয়া যায়। নোটে স্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছিলেন অতুল। তাঁর অভিযোগ, বিবাহবিচ্ছেদের মামলার সময় নিকিতা এবং তাঁর পরিবার মিথ্যা মামলা সাজিয়ে অতুলের থেকে টাকা আদায় করার চেষ্টা করে। পণ চাওয়া, অস্বাভাবিক যৌনতার চাপ, শারীরিক নির্যাতন এবং খুনের চেষ্টার মতো গুরুতর অভিযোগও আনা হয়।
আইনি পদক্ষেপ
অতুলের পরিবারের তরফে নিকিতা এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১০৮ এবং ৩(৫) ধারায় মামলা রুজু হয়। বেঙ্গালুরু পুলিশের কমিশনার বি দয়ানন্দ জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করাই তাঁদের মূল লক্ষ্য।
অতুল-মামলা ঘিরে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। অনেকেই আত্মহত্যার পেছনে পারিবারিক এবং মানসিক চাপের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করছেন।