রোহিত ভেমুলার মৃত্যু থেকে উত্তর-পূর্বের পড়ুয়াদের ওপর হওয়া মানসিক কিংবা শারীরিক নির্যাতন। র্যাগিং বারবারই শিরোনামে এসেছে সাম্প্রতিক অতীতে। শুধু সাম্প্রতিক অতীত নয়, দেশে বহুদিন ধরেই চলছে র্যাগিং নিয়ে বিতর্ক। জাতি ,ধর্ম কিংবা বর্ণ নিয়ে পরিহাস যে র্যাগিং-এর তালিকায় পড়তে চলেছে এমন একটি নির্দেশিকা কয়েক মাস আগেই দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নির্দেশিকায় দেওয়া হল একগুচ্ছ পরমার্শ। পাশাপাশি ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে র্যাগিং প্রতিরোধে কোনও প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হলে র্যাগিং-এ অভিযুক্ত বা দোষী প্রমাণিত পড়ুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে খোদ কমিশনই।
এই মর্মে মঞ্জুরি কমিশনের পক্ষ থেকে নির্দেশিকায় দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু পরামর্শ যা কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে সাহায্য করবে র্যাগিং রুখতে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড, সেল এবং কমিটি গঠন করতে হবে। এছাড়াও কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে বসানো হতে পারে সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে দিতে হবে র্যাগিং-এর তদন্তকারী নোডাল অফিসারদের ঠিকানা এবং বিবরণী। শুধু তাই নয় এই নির্দেশিকায় প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে হোস্টেল, ক্যান্টিন ,বাসস্ট্যান্ড কিংবা পড়ুয়াদের বসার জায়গা এমনকি পড়ুয়াদের টয়লেটগুলিকেও বারবার পরিদর্শন করতে।
এছাড়াও পড়ুয়াদের সচেতন করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলিতে ৮ ফুট বাই ৬ফুটের সচেতনতা মূলক পোস্টার লাগানোর পরামর্শও দেওয়া হয়েছে ওই নির্দেশিকায়। বলা হয়েছে র্যাগিং মনস্ক পড়ুয়াদের প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই কাউন্সিলিং এবং সচেতনতায় ওয়ার্কশপ এবং সেমিনার করার কথা।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।