চাকরিজীবীদের জন্য ‘কল্পতরু’ হয়ে উঠলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। শনিবার নরেন্দ্র মোদী সরকারের তৃতীয় দফার প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করলেন তিনি। সেখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, কৃষক এবং চাকরিজীবীদের জন্য বড়সড় ঘোষণার পাশাপাশি একাধিক পণ্যে শুল্ক ছাড়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফলে দৈনন্দিন ব্যবহারের বহু জিনিসের দাম কমবে, যা মধ্যবিত্ত ক্রেতাদের জন্য স্বস্তির খবর।
ওষুধের শুল্ক ছাড় নিয়ে বড় ঘোষণা করা হয়েছে বাজেটে। ক্যান্সার-সহ একাধিক জীবনদায়ী ওষুধের দাম কমবে। ৩৬টি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধে সম্পূর্ণ শুল্ক ছাড়, আর ৬টি ওষুধে ৫ শতাংশ শুল্ক কমানো হয়েছে। ফলে চিকিৎসার খরচ কমবে সাধারণ মানুষের।
ইলেকট্রনিক সামগ্রীতেও মিলবে স্বস্তি। এলইডি এবং এলসিডি টিভির দাম কমবে, কারণ টিভির ওপেন সেলে শুল্ক কমানো হয়েছে। মোবাইলের যন্ত্রাংশে শুল্ক কমানোয় ফোনের দামও কমবে। বৈদ্যুতিন ব্যাটারির শুল্ক কমানোয় সস্তা হবে ইলেকট্রিক গাড়ি। ব্যাটারির উপাদানে শুল্ক ছাড়ের ফলে সস্তা হবে লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি, লেড, জিঙ্কের মতো ধাতব পদার্থ।
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসেও মিলবে ছাড়। চর্মজাত দ্রব্যের শুল্ক প্রত্যাহার করায় সস্তা হবে জুতো, ব্যাগ ও বেল্টের মতো জিনিস। দেশীয় উৎপাদিত পোশাকের দামও কমবে। শিপবিল্ডিং শিল্পের কাঁচামালে শুল্ক ছাড় দেওয়ায় জাহাজ তৈরির খরচ কমবে। সামুদ্রিক মাছ-সহ একাধিক সিফুডের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে, কিছু পণ্যের দাম বাড়তে পারে। টিভি এবং মোবাইলের স্ক্রিনের দাম বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চাকরিজীবীদের হাতে নগদের পরিমাণ বাড়ায় সাময়িকভাবে বাজারে চাহিদা বৃদ্ধি হতে পারে। এর ফলে কিছুদিনের জন্য মূল্যবৃদ্ধি দেখা দিতে পারে, তবে দীর্ঘমেয়াদে বাজার স্থিতিশীল থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।