Home খবর দেশ জাতীয় জনগণনায় জাতভিত্তিক গণনা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত, কেন্দ্র নিল আরও ৩ বড় পদক্ষেপ

জাতীয় জনগণনায় জাতভিত্তিক গণনা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত, কেন্দ্র নিল আরও ৩ বড় পদক্ষেপ

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব

জাতীয় জনগণনায় এবার অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে জাতভিত্তিক গণনা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ক্যাবিনেট কমিটি অন পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্সের বৈঠকে এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। ক্যাবিনেট বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, জাতভিত্তিক তথ্য এবার সংগৃহীত হবে একটি “স্বচ্ছ ও গঠনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে”।

বৈষ্ণব বলেন, “জাতভিত্তিক গণনা স্বচ্ছ হওয়া উচিত এবং তা জনগণনার অংশ হওয়া জরুরি, যাতে তথ্যভিত্তিক নীতি নির্ধারণ সম্ভব হয়।”

এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি বলেন, “কংগ্রেস ও তাদের সহযোগী দলগুলি জাতভিত্তিক জনগণনার দাবি শুধুই রাজনৈতিক স্বার্থে করেছে। তারা প্রকৃতপক্ষে কোনও পদক্ষেপ নিতে চায়নি।”

স্বাধীনতার পর জাতসংক্রান্ত তথ্য কখনও মূল জনগণনার অংশ ছিল না। ২০১০ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং লোকসভায় জাতভিত্তিক জনগণনার বিষয়ে বিবেচনার আশ্বাস দিলেও, শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার সেই তথ্য পৃথকভাবে সংগ্রহ করে — ‘Socio-Economic and Caste Census (SECC)’ নামে।

বৈষ্ণব জানান, কিছু রাজ্য নিজেরা জাতভিত্তিক সমীক্ষা করেছে, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত এবং স্বচ্ছতার অভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এই সমস্ত অভিজ্ঞতার প্রেক্ষিতে জাতীয় স্তরে জনগণনার মাধ্যমেই জাতসংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে আরও তিনটি বড় সিদ্ধান্তের কথাও জানানো হয়েছে—

২০২৫-২৬ মরসুমে আখের ন্যায্য মূল্য (FRP) ঠিক করা হয়েছে প্রতি কুইন্টালে ₹৩৫৫। এই মূল্য অক্টোবর ১, ২০২৫ থেকে কার্যকর হবে, যা প্রায় ৫ কোটিরও বেশি আখচাষিকে উপকৃত করবে।

চিনি উৎপাদনে কম রিকভারির ক্ষেত্রেও কৃষকদের ন্যূনতম ₹৩২৯.০৫ প্রতি কুইন্টাল মূল্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার, যাতে কৃষকদের কোনওরকম আর্থিক ক্ষতি না হয়।

নতুন এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ₹২২,৮৬৪ কোটি বরাদ্দ, শিলং থেকে শিলচর পর্যন্ত মহাসড়ক নির্মাণের মাধ্যমে অসম ও মেঘালয়ের সংযোগ আরও মজবুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই সিদ্ধান্তগুলি দেশের তথ্যভিত্তিক প্রশাসন এবং কৃষক ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নে একটি বড় পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

NO COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Exit mobile version