দেশ
এয়ার ইন্ডিয়ার চাটার্ড বিমান বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা

খবরঅনলাইন ডেস্ক: এপ্রিলের শুরুতে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন (HCQ) নিয়ে ভারতকে রীতিমতো হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। তার আড়াই মাস পর ফের ভারতকে হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা। এ বার এয়ার ইন্ডিয়ার চাটার্ড বিমান নিয়ে।
একতরফা ভাবে বিমান পাঠিয়ে দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ভারত। অথচ তাদের কোনো রকম উদ্ধারকাজ চালাতে দেওয়া হচ্ছে না। ‘বন্দে ভারত মিশন’ (Vande Bharat Mission) নিয়ে এ বার ভারতের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলল আমেরিকা।
তারা জানিয়েছে, মার্কিন বিমান সংস্থাগুলিকে উদ্ধারকাজে অনুমতি না দিলে, আগামী ২২ জুলাই থেকে ইন্দো-মার্কিন রুটে বিমান চালাতে মার্কিন পরিবহণ দফতরের কাছ থেকে বিশেষ অনুমোদন জোগাড় করতে হবে এয়ার ইন্ডিয়াকে।
করোনাভাইরাসের (Coronavirus) কারণে লকডাউন ঘোষিত হওয়ার পর থেকে বিদেশে অসংখ্য ভারতীয় আটকে পড়েন। তাদেরই দেশে ফেরাতে ‘বন্দে ভারত মিশন’ চালু করেছে কেন্দ্র। এর আওতায় এয়ার ইন্ডিয়ার চার্টার্ড বিমান ও নৌবাহিনীর জাহাজ পাঠিয়ে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনতে সে দেশের সরকারের সঙ্গে এ নিয়ে চুক্তিও হয়েছে ভারতের। কিন্তু সেই চুক্তি না মেনে ভারত নিজের মর্জি মাফিক বিমান চালাচ্ছে বলে অভিযোগ মার্কিন সরকারের। এমনকি করোনার প্রকোপের আগে ইন্দো-মার্কিন রুটে যত সংখ্যক বিমান চালানো হত, বর্তমানে তার অর্ধেকের বেশি বিমান চালানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।
মার্কিন পরিবহণ দফতরের অভিযোগ, ভারত সরকার আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও সেটাকে পাশ কাটিয়ে বন্দে ভারত মিশনের আওতায় এয়ার ইন্ডিয়া বিমান পরিষেবা চালিয়ে যাচ্ছে।
তাদের দাবি, ২৫ মার্চ আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল নিষিদ্ধ হওয়ার আগে পর্যন্ত সপ্তাহে ৩৪টি বিমান আমেরিকা রওনা দিত এবং ফিরে আসত। কিন্তু ৩ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার তরফে অতিরিক্ত বিমানের যে সময়সূচি প্রকাশ করা হয়, তাতে ১০ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত ৫৯টি বিমানের যাত্রী নিয়ে আমেরিকা যাওয়া এবং ফেরত আসার উল্লেখ ছিল।
বিমানের টিকিট বিক্রিতেও ভারত বৈষম্যমূলক আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছে মার্কিন সরকার। তাদের দাবি, ভারত থেকে আমেরিকা যাওয়ার ক্ষেত্রে এয়ার ইন্ডিয়ার ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কিনতে হচ্ছে যাত্রীদের। কিন্তু আমেরিকা থেকে ভারতের বিমানে উঠতে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হচ্ছে যাত্রীদের।
দেশ
কেন লাগামহীন করোনা? মূলত ২টি কারণকেই দায়ী করলেন এইমস ডিরেক্টর
এক দিনে আক্রান্তের সংখ্যা এগোচ্ছে আড়াই লক্ষের দিকে। কী কারণে?


খবর অনলাইন ডেস্ক: নতুন বছরের শুরুতে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এসে যাওয়ার পর ফের কী ভাবে নিত্যদিন রেকর্ড গড়ছে কোভিড-১৯ (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা? এর নেপথ্যে একাধিক কারণ থাকলেও মূলত দু’টি মূল বিষয়কেই দায়ী করলেন এইমস (AIIMS)-এর ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া (Dr Randeep Guleria)।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর কাছে গুলেরিয়া বলেন, “নতুন করে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে।। তবে দু’টি প্রধান কারণ হল- যখন জানুয়ারি / ফেব্রুয়ারিতে টিকা দেওয়া শুরু হয় তখন কোভিডবিধি যথাযথ ভাবে অনুসরণ করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন অনেকেই। এই একই সময়ে ভাইরাসের মিউটেশন ঘটে, যার ফলে এটি আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে”।
ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমিতের সংখ্যার দিকে তাকিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের স্বাস্থ্য পরিষেবা ব্যবস্থার উপর একটা বিশাল চাপ দেখতে পাচ্ছি। তাই আমাদের দরকার, হাসপাতালের শয্যা এবং অন্যান্য উপাদানগুলি বাড়ানো। অন্য দিকে জরুরি ভিত্তিতে সক্রিয় কোভিডরোগীর সংখ্যাও হ্রাস করার দিকে মনোযোগ দিতে হবে”।
একই সঙ্গে ভ্যাকসিন সম্পর্কে তিনি বলেন, “আমাদের মনে রাখতে হবে যে কোনো ভ্যাকসিন ১০০ শতাংশ কার্যকরী নয়। ফলে ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও আপনি সংক্রমিত হতে পারেন। তবে আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডিগুলি ভাইরাসকে বাড়তে দেবে না এবং আপনাকে গুরুতর অসুস্থ করে দিতে পারবে না”।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “এই সময়ে আমাদের দেশে প্রচুর ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয় এবং নির্বাচনও চলছে। আমাদের বুঝতে হবে জীবনও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এটা একটা সীমিত পদ্ধতিতে পালন করতে পারি। যাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না লাগে এবং পাশাপাশি কোভিডের যথাযথ আচরণ অনুসরণ করা যায়”।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৬০৯। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৯৯৭ জন। মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৪০ জন। বর্তমানে দেশে ১১.৫৬ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে: Corona Update: সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় ফের লক্ষাধিক বৃদ্ধি, তবে সুস্থতার সংখ্যায় বৃদ্ধি আরও বেশি, মৃত্যুহার আরও কমল
দেশ
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি মামলায় জামিন পেলেন লালুপ্রসাদ যাদব
সাড়ে তিন বছর পর জেল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন লালুপ্রসাদ যাদব!


খবর অনলাইন ডেস্ক: পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি (fodder scam) মামলায় জামিন পেলেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব (Lalu Prasad Yadav)।
শনিবার ‘দুমকা ট্রেজারি’ মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে ঝাড়খণ্ড হাইকোর্ট। প্রায় সাড়ে তিন বছর পর এ বার ঘরে ফিরতে পারবেন ৭২ বছর বয়সি এই রাজনৈতিক নেতা।
পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে মোট চারটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন লালুপ্রসাদ যাদব। তিনটি মামলায় জামিন পেয়েছিলেন ইতিমধ্যেই। এ বার দুমকা ট্রেজারি মামলায় জামিন পেয়ে তিনি বাড়ি ফিরতে পারবেন। এর আগে, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি লালুর জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল আদালত। দুমকা কোষাগার থেকে ৩ কোটি ১৩ লক্ষ টাকা বেআইনি ভাবে সরিয়ে নেওয়ার অভিযোগে দু’টি ধারায় সাত বছরের জেল হয়েছিল তাঁর।
এর আগে চাইবাসা ট্রেজারি মামলায় তাঁকে জামিন দেওয়া হয়েছিল, যেটির সঙ্গে ৩৭.৭ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি জড়িত ছিল। দেওঘর ট্রেজারি থেকে ৭৯ লক্ষ টাকার তছরুপের মামলায় জামিনের পরে এটি হয়। চাইবাসা ট্রেজারি থেকে আরও ৩৩.১৩ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলাতেও তিনি জামিন পেয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৭-র ডিসেম্বর থেকে জেলবন্দি রয়েছেন লালুপ্রসাদ। এর মধ্যে অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন ঝাড়খণ্ডের রাজেন্দ্র ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস হাসপাতালে। আবার চলতি বছরের শুরুতেই তাঁকে দিল্লি এইমস-এ ভরতি করা হয়। এখন রয়েছেন সেখানেই।
আরও পড়তে পারেন: ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর কোভিড আক্রান্ত অভিনেতা সোনু সুদ
দেশ
ট্রেন হোক বা স্টেশন, মাস্ক না পরলে বড়োসড়ো জরিমানা ঘোষণা রেলের
কোভিডবিধি মেনে মাস্ক না পরলে ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা।


খবর অনলাইন ডেস্ক: মাস্ক না পরার জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করবে বলে জানিয়ে দিল রেল। ট্রেন হোক বা স্টেশন, ভারতীয় রেলওয়ে চত্বরের সর্বত্রই কার্যকর হবে এই নিয়ম।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে (কোভিড-১৯) শনিবার ট্রেন ও স্টেশন চত্বরে মাস্ক পরার নিয়ম লঙ্ঘনকারীদের জন্য ৫০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানার ঘোষণা করেছে।
অন্য দিকে, এর আগেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে কলকাতা মেট্রো রেল জানিয়েছিল, মেট্রোয় বিনা মাস্কে ধরা পড়লে জরিমানা দিতে হবে। মেট্রো রেল চত্বরে মাস্ক ছাড়া কোনো যাত্রীকে দেখা গেলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন কার্যকর করে ওই যাত্রীর কাছ থেকে ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হবে।
প্রসঙ্গত, শনিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৪৫ লক্ষ ২৬ হাজার ৬০৯। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৬৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী বেড়েছে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৯৯৭ জন। মোট সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৪০ জন। বর্তমানে দেশে ১১.৫৬ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
বিস্তারিত পড়ুন এখানে: Corona Update: সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় ফের লক্ষাধিক বৃদ্ধি, তবে সুস্থতার সংখ্যায় বৃদ্ধি আরও বেশি, মৃত্যুহার আরও কমল
-
রাজ্য5 hours ago
Bengal Polls Live: ৪টে পর্যন্ত ভোট পড়ল প্রায় ৭০ শতাংশ
-
গাড়ি ও বাইক2 days ago
Bajaj Chetak electric scooter: শুরু হওয়ার ৪৮ ঘণ্টা পরেই বুকিং বন্ধ! কেন?
-
রাজ্য1 day ago
Coronavirus Second Wave: আজ কমিশনের ডাকে সর্বদলীয় বৈঠক, ভোট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের আশায় রাজ্যবাসী
-
দেশ1 day ago
Delhi Riots 2020: পুলিশি তদন্তে অসঙ্গতি, জেএনইউয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা উমর খালিদের জামিন