ওয়েবডেস্ক: সাধারণ মানুষের মতোই ‘অধিকার, কর্তব্য এবং দায়’ রয়েছে প্রাণীদেরও। প্রাণীজগৎকে নিয়ে এক ঐতিহাসিক রায়ে এমনই জানাল উত্তরাখণ্ড হাইকোর্ট।
এই প্রসঙ্গে রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি রাজীব শর্মা এবং বিচারপতি লোকপাল সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “সমস্ত পশু, পাখি, জলজ প্রাণীর এখন থেকে আইনি সত্তা রয়েছে। একজন জীবন্ত মানুষের যা অধিকার এবং কর্তব্য, প্রাণীদেরও তাই অধিকার এবং কর্তব্য রয়েছে।”
এই রায় দিতে গিয়ে উত্তরাখণ্ডের মানুষদের জন্যও বিশেষ নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আদালতের নির্দেশে, রাজ্যের সাধারণ মানুষ এখন থেকে প্রাণীদের রক্ষী। প্রাণীদের রক্ষা করা বাসিন্দাদের দায়িত্ব।
নারায়ণ দত্ত ভট্ট নামক এক আবেদনকারীর আবেদনের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ২০১৪ সালে এই আবেদন করেছিলেন তিনি। প্রচুর পরিমাণে মোট নিয়ে উত্তরাখণ্ডের চম্পাবত থেকে নেপালের উদ্দেশে যায় অসংখ্য ঘোড়া। এতে ওদের কষ্ট হয়। ঘোড়াদের ওপরে অত্যাচার বন্ধ করার জন্যই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।
তবে আদালত এর পরিধিটা আরও বাড়িয়ে দেয়। শুধুমাত্র ঘোড়া নয় বরং পুরো প্রাণীজগৎকেই এই আবেদনের মধ্যে নিয়ে আসে। আদালত নির্দেশ দেয়, কোনো ভারী মোট নিয়ে কোনো ঘোড়াকেই নিয়ে যাওয়া যাবে না।
এ ছাড়াও আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তারা বলেছে, গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা সকাল ১১টা থেকে বিকেল চারটের মধ্যে ৩৭ ডিগ্রি থাকলে এবং শীতকালীন তাপমাত্রা রাত ১১টা থেকে পরের দিন সকাল ৭টা পর্যন্ত ৫ ডিগ্রির নীচে নেমে গেলে কখনোই ঘোড়াকে দিয়ে গাড়ি টানানো যাবে না।
ঘোড়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে আস্তাবল তৈরি করার জন্যও বিভিন্ন পুরসভাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।