মাঝের আঙুল তুলে এক দল যুবক বলছেন, “এটা এঙ্গেলস বলেছেন! এটা কার্ল মার্ক্স বলেছেন।”
না, এটা কোনো কমিউনিস্ট পার্টির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ নয়, এটা দিল্লির বসন্ত বিহারে সিনেমা দেখতে আসা কতিপয় জেএনইউ ছাত্রছাত্রীদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। মাঝের আঙুল তুলে ওই কথা বলার পর আশেপাশের লোকের মধ্যে তেমন সাড়া জাগাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত ওই যুবকরা জেএনইউ ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে চিৎকার বলতে শুরু করেন, “জেএনইউ! পাকিস্তানি! অ্যান্টি-ন্যাশনাল!”
যতক্ষণ না পুলিশ ওই যুবকদের চলে যেতে বলল, ততক্ষণ এইভাবে অঙ্গভঙ্গি করে গেলেন ওঁরা।
এই ঘটনা থেকেই স্পষ্ট প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে অসহিষ্ণুতা আর ঘৃণার পরিবেশটা এখন আর শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ নেই, তা ছড়িয়ে পড়ছে বাস্তব জীবনেও।
তবুও ঘটনাটা খুবই বিস্ময়কর। কারণ জেএনইউ-তে দেশদ্রোহিতা নিয়ে যে বিতর্কের ঝড় ফেব্রুয়ারিতে উঠেছিল, তার পর তো ছ’ ছটা মাস কেটে গিয়েছে। ইতিমধ্যে জেএনইউ ছাত্র সংসদের নির্বাচনে বামপন্থীদের জয়জয়কার হয়েছে। ধুয়েমুছে সাফ হয়ে গিয়েছে শাসক বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি। বসন্ত বিহারের সিনেমাহলে বিক্ষোভ হয়তো সেই রাগ থেকেই। তবু এর দায় সংবাদ মাধ্যমও এড়িয়ে যেতে পারে না। সাম্প্রতিক উরি হামলার পর দু-একটি নিউজ চ্যানেলের অ্যাঙ্কররা সীমান্তে প্রহরারত সেনাকর্মীদের সঙ্গে জেএনইউ ছাত্রদের তুলনা টেনেছেন।
একটা চ্যানেল তো ফেব্রুয়ারির সেই ঝড়ের পর জেএনইউ-এর ছাত্র উমর খালিদকে ‘জইশ-ই-মহম্মদ সিম্প্যাথাইজার’ বলে বর্ণনা করেছিল এবং তাঁকে ‘ইসলামিস্ট’ আখ্যা দিয়েছিল। এর পর রাজনীতিতে সক্রিয় জেএনইউ-এর ছাত্র ‘খুনের হুমকি’ পর্যন্ত পেয়েছিলেন।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।