মথুরা: গত দিন পনেরো প্রবল ঠান্ডা চলছে উত্তর ভারতে। সমতলেও তাপমাত্রা প্রায় হিমাঙ্কের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের মতো প্রবল ঠান্ডায় কাবু হাতিরাও। এই বৃহৎ প্রাণীটিকে ঠান্ডার প্রকোপ থেকে বাঁচাতে তাদের জন্য রঙবেরঙের জামা আর পাজামা বুনে দিচ্ছেন গ্রামের মহিলারা।
‘ওয়াইল্ড লাইফ এসওএস’-এর অন্তর্গত হাতিদের সংরক্ষণ করা আর যত্ন নেওয়ার কেন্দ্র ‘এলিফ্যান্ট কনজারভেশন অ্যান্ড কেয়ার সেন্টার’ (ইসিকেসি) অবস্থিত মথুরায়। মূলত অত্যাচারিত বা অবহেলিত হাতিদের এই কেন্দ্রে পুনর্বাসন দেওয়া হয়। কয়েক দিন আগে ওই কেন্দ্রের কর্মচারীরা স্থানীয় গ্রামবাসীদের জানান, প্রবল ঠান্ডায় কাবু হয়ে পড়তে পারে হাতিগুলো। ব্যস, শুরু হয়ে গেল জামা তৈরি করা। জামা আর পাজামা বুনতে নেমে পড়লেন গ্রামের মহিলারা।
কেন্দ্রটির প্রতিষ্ঠাতা কার্তিক সত্যনারায়ণ বলেন নির্যাতিত, অত্যাচারিত হাতিদের ঠান্ডা থেকে রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর কথায়, “এই হাতিগুলো অত্যাচারিত হয়ে এতটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে যে এদের ঠান্ডার প্রকোপ থেকে রক্ষা না করলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।” সেই সঙ্গে তিনি আরও যোগ করেন, “ঠান্ডার ফলে আর্থরাইটিস হতে পারে এইসব হাতির।”
এখনও পর্যন্ত এই কেন্দ্রে রয়েছে ২০টি হাতি, যারা অবৈধ ভাবে আটক ছিল, কিংবা ভিক্ষে করার জন্য তাদের ব্যবহার করা হত। সার্কাসেও অত্যাচারের শিকার এদের অনেকেই। এই বছর নিজেদের কেন্দ্রের জায়গা বাড়ানোর পাশাপাশি আরও অন্তত ৫০টি হাতিকে পুনর্বাসন দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ইসিকেসি।