ঈদের দিনও হিংসা অব্যাহত থাকল কাশ্মীরে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে মঙ্গলবারও দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, আহত হয়েছেন ৩০ জন।
বন্দিপুরায় বিক্ষোভকারী জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় নিরাপত্তারক্ষীরা। ওই শেল লেগে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় বছর উনিশের মুস্তাফা আহমেদ মিরের। অন্যদিকে শোপিয়ানে নিরাপত্তারক্ষীদের ছোড়া ছররা গুলিতে মৃত্যু হয়েছে শহিদ আহমেদ শাহের। তাঁর হাতে আর বুকে গুলি লেগেছে। এই নিয়ে কাশ্মীরে সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮১। এ ছাড়া বাটামালু, কুলগাম আর পাট্টনেও নিরাপত্তারক্ষীদের সাথে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপুঞ্জের স্থানীয় অফিসে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ডাকা বিক্ষোভ মিছিল ঠেকাতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে প্রশাসন। এই নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতার পর প্রথমবার শ্রীনগরের হজরতবাল দরগায় ঈদের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি আর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহও মঙ্গলবার ঈদের প্রার্থনা করেননি। সাধারণত ঈদের দিনে জমজমাট থাকা শ্রীনগর মঙ্গলবার ছিল শুনশান। দোকানপাট ছিল বন্ধ।
ঈদের দিনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কারফিউ বহাল থাকায় রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে। বিরোধী দল ন্যাশনাল কনফারেন্সের মুখপাত্র বলেছেন, “পিডিপি সব সময় বলে ২০১০-এর কাশ্মীরে অশান্তি না কি এবারের থেকেও ভয়াবহ, কিন্তু এর আগে তো রাজ্যে কখনও ঈদের দিন এমন কারফিউ থাকেনি”।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।