‘ভোট নিয়ে ভাবি না, সম্প্রীতি নিয়ে ভাবি’, ফের বিজেপিকে বার্তা জোটসঙ্গী নীতীশের

0

পটনা: টিডিপির পর কি এ বার জেডিইউ? সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে পর পর দু’দিন বিজেপিকে বার্তা দিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের ওপর তাঁর ক্ষোভও স্পষ্ট করে দিলেন।

বিহারে গত কয়েক দিনে সাম্প্রদায়িক অশান্তির কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। বিরোধী আরজেডি এবং কংগ্রেসের মতে ক্ষমতাশীল জোটে ঢোকার পর রাজ্যে মেরুকরণের রাজনীতি করছে বিজেপি আর তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপই করতে পারছেন না নীতীশ।

বিরোধীদের এই চাপের মধ্যে বিজেপিকে বার্তা দিয়ে নীতীশ বলেন, “কয়েক জন মানুষ এমন রয়েছেন যাঁরা মনে করেন যে ধর্মীয় মেরুকরণ করলেই ভোট আসবে। আমরা ভোট নিয়ে ভাবি না, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে ভাবি। আমাদের পক্ষে ক’টা ভোট পড়ল সেটা আমরা দেখি না বরং ভোটারদের জীবনের উন্নতিই আমাদের লক্ষ্য।”

কিছু দিন আগে দ্বারভাঙ্গায় এক বিজেপি নেতার বাবাকে খুনের ঘটনা ঘটে। রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী খুনের কারণ হিসেবে জমিজমা নিয়ে বিবাদের কথা বললেও, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির বিতর্কিত নেতা গিরিরাজ সিংহ বলেন, দ্বারভাঙ্গার একটি চককে নরেন্দ্র মোদীর নামে করার জন্যই খুন হতে হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। নীতীশ বলেন, “দ্বারভাঙ্গায় যে খুনের ঘটনাটি ঘটেছে, ওটা নাকি চকের নাম নরেন্দ্র মোদীর করার কারণে হয়েছে, এমন খবর শোনার পর পুলিশকে খোঁজ নিতে বলি। পুলিশ জানায় কারণ সম্পূর্ণ ভিন্ন। সম্পত্তি এবং জমিজমা বিবাদ থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে। উপমুখ্যমন্ত্রী সেটা নিজের টুইটারে পোস্টও করেছেন। তবুও কয়েক জন নেতা সেটার অন্য কারণ খোঁজার চেষ্টা করে যাচ্ছে।”

নীতীশ বলেন, “কিছু দিন আগে ভাগলপুরে একটা ঘটনা ঘটেছে। আমাদের অনুমতি না নিয়েই একটা মিছিল বেরিয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কী ব্যবস্থা নিয়েছি সেটা সবাই দেখতে পাচ্ছেন।” উল্লেখ্য, গত শনিবার ভাগলপুরে সাম্প্রদায়িক অশান্তির পরিস্থিতি তৈরি হয়। তদন্তে জানা যায়, বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবের ছেলে অরিজিত সারস্বত সেই মিছিলের নেতৃত্ব দেন এবং সেখান থেকে উস্কানিমূলক মন্তব্যও করেন। এর পরেই অরিজিতকে গ্রেফতার করে বিহার পুলিশ।

তিনিই যে রাজ্যের প্রধান এবং তিনি যেটা মনে করবেন সেটাই করবেন, ভাগলপুর এবং দ্বারভাঙ্গার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে করা পদক্ষেপ থেকে সম্ভবত সেই বার্তাই জোটসঙ্গী বিজেপিকে দিতে চাইছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী।

বিজ্ঞাপন