দেশ
ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত উসকে দিলেন নির্মলা সীতারমন
‘গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান’ কেন চালু হয়নি রাজ্যে?

নয়াদিল্লি: রবিবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন (Nirmala Sitharaman) জানালেন, তথ্য সরবরাহ না করার জন্যই কেন্দ্রের ‘গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান’ (Garib Kalyan Rojgar Abhiyaan) থেকে বাদ পড়েছে পশ্চিমবঙ্গ। একই সঙ্গে ‘শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন’ নিয়েও ফের বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)।
নিজের রাজ্যে ফিরে আসা অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ এই ‘গরিব কল্যাণ রোজগার অভিযান’ চালু করেছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই বিহার এবং উত্তরপ্রদেশের প্রকল্পটির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ওই প্রকল্প চালু হবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েই যায়।
এমন পরিস্থিতিতে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, “পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রের জনহিতকর সমস্ত প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। ইতিমধ্যে ছ’টি রাজ্য ফিরে যাওয়া শ্রমিকদের যাবতীয় তথ্য কেন্দ্রের হাতে তুলে দিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ কোনো তথ্য কেন্দ্রকে দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী এই প্রকল্পের উদ্বোধন করার ফলে দেশের ১১৬টি জেলা এর সুবিধা পাচ্ছে। যেগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের কোনো জেলা নেই। তৃণমূল সরকার তথ্য না দেওয়ার কারণেই এটা হয়েছে। বাংলায় ক্ষমতাসীন প্রশাসন চাইছে না, সে রাজ্যে কেন্দ্রের কোনো জনহিতকর নীতি কার্যকর হোক”।
একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চালানোর বিরোধিতা করা হয়েছিল”। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “আপনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) তাঁদের (অভিবাসী শ্রমিকদের) সঙ্গে যে আচরণ করেছেন তা তাঁরা কখনও ভুলতে পারবেন না। তিনি (মমতা) বলেছিলেন যে, এই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনগুলি রাজ্যে আরও করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে আসছিল। এটি একটি হৃদয়হীন বক্তব্য ছিল।”
তবে ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষ নিয়ে কেন্দ্রকে সমর্থন করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন নির্মলা। তিনি বলেন, “আমি একটি বিষয়ের জন্য তাঁকে কৃতিত্ব দেব, কমপক্ষে ভারত-চিন সীমান্ত ইস্যুতে তিনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কেন্দ্রের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন”।

নয়াদিল্লি: শনিবার টিকাকরণ কর্মসূচির প্রথম দিনে টিকা পেয়েছেন ১ লক্ষ ৯১ হাজার মানুষ। ঠিক পরের দিনই কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হল, প্রত্যেক দেশবাসী, বিশেষ করে গরিব এবং সুবিধাবঞ্চিতদেরও বিনামূল্যে করোনা টিকা (Corona vaccine) দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তো কেন্দ্রীয় সরকারের?
মহামারি এবং করোনা সংক্রমণের তুলনামূলক ভাবে বেশি ঝুঁকি রয়েছে এমন কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত চিকিৎসক, নার্স, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে করোনা টিকা কোভিশিল্ড (Covishield) এবং কোভ্যাক্সিন (Covaxin)।
কংগ্রেসের প্রশ্ন

কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা (Randeep Singh Surjewala) বলেন, “সরকার দাবি করছে প্রথম দফায় তিন কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। তবে দেশের বাকি মানুষের টিকাকরণ নিয়ে এখনও কোনো পরিকল্পনার কথা জানায়নি কেন্দ্র। তাঁরা কি বিনামূল্যেই এই টিকা পাবেন”?
তাঁর আরও প্রশ্ন, “সরকার এ বিষয়টি কি জানে, যে খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় ৮১.৩৫ কোটি মানুষ ভরতুকিতে রেশন পাওয়ার যোগ্য? তফসিলি (SC), তফসিলি উপজাতি (ST), অনগ্রসর (BC), অন্যান্য অনগ্রসর (OBC), দারিদ্র সীমার উপরে (APL), দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী (BPL)-দের মতো দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সরকার কি বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করবে? হ্যাঁ অথবা না”?
চাই উত্তর

রণদীপ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে…কারা বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাবেন? ঠিক কত সংখ্যক মানুষ বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন পাবেন? কোথা থেকে সেই বিনামূল্যের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে”?
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। অন্যদিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR)-এর সহায়তায় ভ্যাকসিন তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। তাদের ভ্যাকসিনের জন্য সরকার কেন অতিরিক্ত ৯৫ টাকা খরচ করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক।
তাঁর প্রশ্ন, “অ্যাস্ট্রাজেনেকা-সেরাম ইনস্টিটিউটের চেয়ে ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিনের দাম কি কম হওয়া উচিত নয়? কেন খোলা বাজারে ডোজ প্রতি করোনার ভ্যাকসিনের দাম এক হাজার টাকা?” তাঁর মতে, ভ্যাকসিন তৈরির খরচ এবং মুনাফার বিষয়ে সংস্থাগুলির কাছ থেকে সরকারের স্বচ্ছতা দাবি করা উচিত।
আরও পড়তে পারেন: প্রথম দিনে কোন রাজ্যে কতজন ভ্যাকসিন পেলেন
দেশ
দিল্লিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার কমে ০.৪৪ শতাংশ
অনেকটাই স্বস্তি! নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৫।

নয়াদিল্লি: শেষ ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে কোভিড-১৯ (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৫। ফলে দৈনিক সংক্রমণের হার ঠেকেছে ০.৪৪ শতাংশে। রবিবার এমনটাই দাবি করলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendar Jain)।
বেশ কয়েক দিন ধরেই দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণের হার রয়েছে ১ শতাংশের নীচে। দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও রয়েছে ৫০ হাজারের উপরে।
তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপের জন্য এখনও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই পরিসংখ্যান থেকেই “আমরা ধরে নিতে পারি যে দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় কোভিড-১৯-এর ‘তৃতীয় ঢেউ’ শেষ হয়ে গিয়েছে”।
এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সত্যেন্দ্র বলেন, শনিবার দিল্লির ৮১টি কেন্দ্র থেকে করোনা টিকা নিয়েছেন ৪ হাজার ৩১৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী। পরবর্তীতে টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৫টি এবং ধারাবাহিক ভাবে বাড়িয়ে তা এক হাজার করা হবে। শনিবার টিকাকরণের পর এখনও পর্যন্ত ৫১ জনের মধ্যে টিকার বিরূপ প্রভাবের খবর পাওয়া গিয়েছে।
তিনি বলেন, ২২ বছরের এক স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নেওয়ার পরে মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে এইমস-এ রেখে চিকিৎসা চলছে। তবে টিকা নেওয়ার ৩০ মিনিট পরেই একাংশকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, ৫১ শতাংশের উপর পর্যবেক্ষণ চলছে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৩২ হাজার ১৭৯। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৭৫৪ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২ হাজার ৬৯১ জন কোভিডরোগী। মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৭৩৮ জনের।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৭৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে সারা দেশে। ফলে এ দিন দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১.৯৪ শতাংশ।
আরও পড়তে পারেন: দৈনিক সংক্রমণ অপরিবর্তিত, সক্রিয় রোগী কমল দু’হাজারের উপর
দেশ
বার্ড ফ্লু: ভারতের ডিম, মুরগির বাচ্চা আমদানি নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশ
চোরাপথেও যাতে এ সব প্রাণী দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর প্রশাসনকে সতর্ক করে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: ভারতের ১০টি রাজ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (বার্ড ফ্লু) ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও ভাইরাসটির সংক্রমণ যাতে ছড়াতে না পারে সেই কারণে ভারতের সব ধরনের হাঁস-মুরগি, ডিম ও বাচ্চা আমদানি অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে সে দেশের সরকার। বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রক বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চোরাপথেও যাতে এ সব প্রাণী দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর প্রশাসনকে সতর্ক করে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রকের সচিব রওনক মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কোনো জেলায় এখনও পর্যন্ত বার্ড ফ্লু-র সংক্রমণ দেখা যায়নি। এখানে খামারি বা ক্রেতার আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ভারতের যে যে স্থানে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়েছে, সেই সব জায়গা বাংলাদেশ থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে। এ ছাড়া ভারতও ওই সব এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে।
প্রাণীসম্পদ মন্ত্রকের সচিব বুলেন, মাঠকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনো প্রকার উপসর্গ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পূর্বের অভিজ্ঞতা তো রয়েছেই। আতঙ্কিত হয়ে হাঁস-মুরগি বা ডিম খাওয়া বন্ধ না করতে ভোক্তাদের অনুরোধ করেন এই আধিকারিক। তবে ভারতে রোগটি ছড়িয়ে পড়ার বার্তা পাওয়ার পরই বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাঁস-মুরগি-ডিম আমদানি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে মঙ্গলবারই আলাদা আলাদা করে তিনটি চিঠি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক ও বিভাগে পাঠানোর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রকের তরফে।
ভারত থেকে কোনো ভাবেই যাতে মুরগির বাচ্চা, হাঁস-মুরগি, পাখি ও ডিম আমদানি করা না হয় সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রককে অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি অনুপ্রবেশ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জননিরাপত্তা বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্র, নৌ এবং স্থলবন্দর দিয়ে মুরগির বাচ্চা, প্যারেন্টস্টক, হাঁস-মুরগি, পাখি ও ডিমের অনুপ্রবেশ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট বন্দর র্কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রককে অনুরোধ জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতেই মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের সম্ভাবনা
-
রাজ্য1 day ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ3 days ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র
-
দেশ2 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি2 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে