নয়াদিল্লি: বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ একটি গুরুতর বিষয়। যা কোনো স্বামী/স্ত্রী-র চরিত্র অথবা সম্মানের উপর কালি ছিটিয়ে দিতে পারে। এমনকী এ ধরনের অভিযোগ স্বাস্থ্যের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। এ ধরনের অভিযোগ সম্পর্কে দিল্লি হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, বিবাহ একটা মহিমান্বিত সম্পর্ক। ফলে সুস্থ সমাজের স্বার্থে এর পবিত্রতা বজায় রাখতে হবে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের মিথ্যে অভিযোগের কথাও শোনা যায়। এ ব্যাপারে হাইকোর্ট বলেছে, এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ মানসিক যন্ত্রণা, অন্তর্বেদনা, কষ্ট বাড়িয়ে তুলতে পারে। বার বার দেখা গিয়েছে তা নিষ্ঠুরতার সমান। ফলে মিথ্যে অভিযোগ করার প্রবণতাকে অবজ্ঞা করতে হবে আদালতকে।
দিল্লি হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বিপিন সাংঘি এবং দীনেশকুমার শর্মার একটি বেঞ্চ সোমবারের একটি রায়ে বলেন, একটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগ আদতে গুরুতর অভিযোগ, যা সমস্ত গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে। মিথ্যা অভিযোগ করার প্রবণতা এড়াতে সঠিক মূল্যায়ন করতে হবে আদালতকে।
স্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি চেয়ে একটি পারবাবিরক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন স্বামী। পারিবারিক আদালতের রায় বহাল রেখে বিবাহবিচ্ছেদের নির্দেশ কার্যকর করে হাইকোর্ট। কারণ হিসেবে বেঞ্চ বলে, মামলার সঠিক পর্যবেক্ষণ করেছিল পারিবারিক আদালত। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে চরিত্রহননের মতো ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে স্বামীর উপর মানসিক নির্যাতন চালিয়েছেন স্ত্রী।
এই মামলায় ২০১৯ সালের ৩১ জানুয়ারি হিন্দু বিবাহ আইনের বিধি অনুযায়ী বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছিল পারিবারিক আদালত। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই হাইকোর্টে যান স্ত্রী। তবে উভয়পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর আবেদন খারিজ করে দেয় হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের বেঞ্চ বলে, পারিবারিক আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে যথাযোগ্য তথ্যপ্রমাণ হাজির করতে ব্যর্থ হয়েছেন মহিলা। যাবতীয় ঘটনাপ্রবাহ থেকে স্পষ্ট, শ্বশুরের বিরুদ্ধে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়েই মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছিল।
বিচারপতি বলেন, “এই মামলাটির ক্ষেত্রে গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন আবেদনকারী। কিন্তু তা প্রমাণ করতে পারেননি। বিবাহ একটি গৌরবপূর্ণ সম্পর্ক এবং একটি সুস্থ সমাজের জন্য এর পবিত্রতা বজায় রাখা আবশ্যক। সুতরাং, আমরা পারিবারিক আদালতের রায়ে হস্তক্ষেপ করার কোনো কারণ দেখছি না”।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে বিয়ে হয় এই দম্পতির। কিছুদিনের মধ্যেই তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরতে শুরু করে। তাঁরা আলাদা ভাবে থাকছিলেন তার পর থেকেই। শ্লীলতাহানির অভিযোগে মহিলা নিজের শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করেছিলেন। এর পর বিবাহবিচ্ছেদের অনুমতি চেয়ে পারিবারিক আদালতে আবেদন জানান তাঁর স্বামী।
আরও পড়তে পারেন :
সিরিয়াস ক্রাইম! বগটুই-কাণ্ডে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
ভোট যদি পেট্রোলের দাম ঠেকাতে পারে, তা হলে প্রতিমাসেই হোক, ‘পরামর্শ’ লোকসভায়
চর্চায় ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’, অথচ এখনও দেখেননি মূল অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তীর পুত্রবধূ!
প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদ ছাঁটাইয়ের পর এ বার কি কোপ পড়তে চলেছে পিপিএফ, ক্ষুদ্রসঞ্চয় প্রকল্পে
চলতি মাসেই উঠে যাচ্ছে কোভিডবিধি, তবে এই ২টি আচরণ বজায় রাখছে কেন্দ্র
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।