দিল্লির নির্বাচনী ময়দানে এক বড় রাজনৈতিক চমক। রাজধানীর নয়াদিল্লি বিধানসভা আসনে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে পরাজিত করে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছেন বিজেপি নেতা প্রবেশ সাহিব সিংহ বর্মা।
গণনা চলাকালীন প্রতিদ্বন্দ্বিতা বেশ হাড্ডাহাড্ডি ছিল। কখনও কেজরিওয়াল এগিয়ে যাচ্ছিলেন, কখনও প্রবেশ। শেষ পর্যন্ত প্রবেশ প্রবেশই জয় নিশ্চিত করেন। এই আসনে কংগ্রেসের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সন্দীপ দীক্ষিতও।
প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য প্রবেশ বর্মার বাবা ছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপি নেতা সাহিব সিংহ বর্মা। তাঁর কাকা আজাদ সিংহও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ২০১৩ সালে বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মুন্ডকা বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
প্রবেশ বর্মার রাজনৈতিক যাত্রা শুরু ২০১৩ সালে, মেহরৌলি বিধানসভা আসন থেকে প্রথমবার নির্বাচিত হন। পরে ২০১৪ সালে পশ্চিম দিল্লি লোকসভা আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন এবং ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ৫.৭৮ লক্ষ ভোটের বিশাল ব্যবধানে পুনরায় জয় পান। সংসদে তিনি সাংসদদের বেতন-ভাতা সংক্রান্ত যৌথ কমিটি এবং নগরোন্নয়ন বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন।
২০২৫ সালের দিল্লি নির্বাচনের আগে প্রবেশ বর্মা “কেজরিওয়াল হটাও, দেশ বাঁচাও” নামে প্রচার শুরু করেন। এই প্রচারে তিনি আম আদমি পার্টির (AAP) প্রশাসনের ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন। দিল্লির বায়ুদূষণ, মহিলাদের নিরাপত্তা এবং নাগরিক পরিকাঠামোর উন্নয়ন নিয়ে তিনি কেজরিওয়াল সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন। বিশেষ করে, যমুনা নদীর জল দূষণমুক্ত করার প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় আপ সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করান তিনি।
নতুন দিল্লি বিধানসভায় এই জয়ের ফলে প্রবেশ বর্মা দিল্লির রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় শুরু করলেন। এখন দেখার, তাঁর এই জয় দিল্লির রাজনৈতিক সমীকরণে কী পরিবর্তন আনে।