দেশ
দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতরা কি বিনামূল্যে করোনা টিকা পাবেন? উঠল প্রশ্ন
এত প্রশ্ন! উত্তর মিলবে তো?

নয়াদিল্লি: শনিবার টিকাকরণ কর্মসূচির প্রথম দিনে টিকা পেয়েছেন ১ লক্ষ ৯১ হাজার মানুষ। ঠিক পরের দিনই কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হল, প্রত্যেক দেশবাসী, বিশেষ করে গরিব এবং সুবিধাবঞ্চিতদেরও বিনামূল্যে করোনা টিকা (Corona vaccine) দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তো কেন্দ্রীয় সরকারের?
মহামারি এবং করোনা সংক্রমণের তুলনামূলক ভাবে বেশি ঝুঁকি রয়েছে এমন কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত চিকিৎসক, নার্স, অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হচ্ছে করোনা টিকা কোভিশিল্ড (Covishield) এবং কোভ্যাক্সিন (Covaxin)।
কংগ্রেসের প্রশ্ন

কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা (Randeep Singh Surjewala) বলেন, “সরকার দাবি করছে প্রথম দফায় তিন কোটি মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। তবে দেশের বাকি মানুষের টিকাকরণ নিয়ে এখনও কোনো পরিকল্পনার কথা জানায়নি কেন্দ্র। তাঁরা কি বিনামূল্যেই এই টিকা পাবেন”?
তাঁর আরও প্রশ্ন, “সরকার এ বিষয়টি কি জানে, যে খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় ৮১.৩৫ কোটি মানুষ ভরতুকিতে রেশন পাওয়ার যোগ্য? তফসিলি (SC), তফসিলি উপজাতি (ST), অনগ্রসর (BC), অন্যান্য অনগ্রসর (OBC), দারিদ্র সীমার উপরে (APL), দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী (BPL)-দের মতো দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সরকার কি বিনামূল্যে ভ্যাকসিন নিশ্চিত করবে? হ্যাঁ অথবা না”?
চাই উত্তর

রণদীপ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে…কারা বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাবেন? ঠিক কত সংখ্যক মানুষ বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন পাবেন? কোথা থেকে সেই বিনামূল্যের ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে”?
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন তৈরি করেছে ভারতীয় সংস্থা সেরাম ইনস্টিটিউট। অন্যদিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (ICMR)-এর সহায়তায় ভ্যাকসিন তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক। তাদের ভ্যাকসিনের জন্য সরকার কেন অতিরিক্ত ৯৫ টাকা খরচ করছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক।
তাঁর প্রশ্ন, “অ্যাস্ট্রাজেনেকা-সেরাম ইনস্টিটিউটের চেয়ে ভারত বায়োটেকের ভ্যাকসিনের দাম কি কম হওয়া উচিত নয়? কেন খোলা বাজারে ডোজ প্রতি করোনার ভ্যাকসিনের দাম এক হাজার টাকা?” তাঁর মতে, ভ্যাকসিন তৈরির খরচ এবং মুনাফার বিষয়ে সংস্থাগুলির কাছ থেকে সরকারের স্বচ্ছতা দাবি করা উচিত।
আরও পড়তে পারেন: প্রথম দিনে কোন রাজ্যে কতজন ভ্যাকসিন পেলেন
দেশ
হিন্দিতে চিঠি পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, হাতে পেয়ে ফেরালেন সাংসদ!
কেন্দ্রীয় সরকার এ ভাবেই অ-হিন্দিভাষীদের মধ্যে জোর করে সংস্কৃত এবং হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার কৌশলের বাস্তবায়ন করছে না তো?

খবর অনলাইন ডেস্ক:গান্ধী শান্তি পুরস্কার (Gandhi Peace Prize)-এর জন্য পরামর্শ চেয়ে সাংসদকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। কিন্তু চিঠিটি হিন্দিতে লেখায় তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেল রবিবার।
জানা গিয়েছে, ২৭ ফেব্রুয়ারি দিনাঙ্কিত চিঠিটি মাদুরাইয়ের সাংসদ সু ভেঙ্কটেসনকে (Su Venkatesan) পাঠান সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং (Prahlad Singh)। সাংসদ দাবি করেছেন, তিনি চিঠির বিষয়বস্তু বুঝতে পারেননি। তবে চিঠির সঙ্গে সংযুক্ত একটি ফর্ম ছিল। সেটা ইংরেজিতে। ওই ফর্ম থেকে তিনি বুঝতে পারেন এটা গান্ধী শান্তি পুরস্কার সংক্রান্ত।
সাংসদ বলেছেন, “এর আগেও বিভিন্ন মন্ত্রক থেকে হিন্দিতে পাঠানোর জন্য তিনি এর আগে বেশ কয়েকবার প্রতিবাদ করেছেন। সেই প্রতিবাদ লিখিত ভাবে নথিভুক্তও করেছিলেন। এটা সরকারি ভাষা বাস্তবায়ন আইনের (Official Language Implementation Act) লঙ্ঘন”।
ভেঙ্কটেসন মাদ্রাজ হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় সরকার আদালতে দুঃখ প্রকাশ করেছিল এবং নিশ্চিত করা হয়েছিল, ভবিষ্যতে ইংরাজিতে যোগাযোগ করা হবে।
তিনি বলেন, “ভারতের মতো বহু ভাষাভাষী এবং বিবিধ সংস্কৃতির দেশের কমপক্ষে মন্ত্রকের তো এ বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। আমার সন্দেহ হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকার এ ভাবেই অ-হিন্দিভাষীদের মধ্যে জোর করে সংস্কৃত এবং হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার কৌশলের বাস্তবায়ন করছে না তো? বিশেষ করে তামিলনাড়ুর মতো অ-হিন্দিভাষী রাজ্যে”।
সু ভেঙ্কটেসন দাবি করেছেন, হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার এ ধরনের প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই করার অনন্য ইতিহাস রয়েছে তামিলনাড়ুতে। এর জন্য অনেক ত্যাগ স্বীকার করা হয়েছে। যদিও মানুষ ক্লান্ত হবে না। তাঁদের পরিচয় এবং মহান সংস্কৃতি রক্ষার সংকল্পকে দুর্বল করার প্রয়ায়ের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।
আরও পড়তে পারেন: মার্চ-এপ্রিলে দাম কমতে পারে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের, সুখবর শোনালেন পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী
দেশ
মুকেশ অম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক রাখার দায় স্বীকার করল জঈশ-উল-হিন্দ
ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের আগে পর্যন্ত এই সংগঠনটির নাম শোনা যায়নি।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: শিল্পপতি মুকেশ অম্বানির বাড়ির সামনে বিস্ফোরক রাখার দায় স্বীকার করল জঈশ-উল-হিন্দ নামক একটি সংগঠন। ‘টেলিগ্রাম’-এ মেসেজ পাঠিয়ে এই হামলার দায় স্বীকার করেছে তারা। সম্প্রতি দিল্লিতে ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের পিছনেও এই সংগঠন দায় নিয়েছিল। যদিও ওই টেলিগ্রাম-বার্তাটির কোনো সত্যতা যাচাই করা যায়নি।
জঈশ-উল-হিন্দের নামে যে বার্তাটি পাঠানো হয়েছে, তাতে রীতিমত হুমকি দেওয়া হয়েছে ভারতীয় গোয়েন্দাদের। সেখানে লেখা হয়েছে, “আটকাতে পারলে আটকে দেখাও। দিল্লিতে তোমাদের নাকের ডগায় বিস্ফোরণ ঘটানোর সময়ও কিছু করতে পারোনি। নির্দেশ মেনে শুধু টাকা পাঠিয়ে দাও।”
নগদের বদলে টাকা বিটকয়েনে দিতে হবে বলেও দাবি করা হয়েছে ওই বিবৃতিতে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কে বা কারা যুক্ত থাকতে পারে, এখনও তেমন কোনো ইঙ্গিত মেলেনি।
গত শুক্রবার মুম্বইয়ে অম্বানীর বাড়ি ‘অ্যান্টিলিয়া’র বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে বিস্ফোরক এবং ২০টি জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়। গাড়ির ভিতর থেকে মেলে একাধিক নম্বর প্লেটও। এর মধ্যে অম্বানি পরিবারের নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ির নম্বরের হুবহু নেমপ্লেটও উদ্ধার হয়। এই ঘটনার পর থেকেই অম্বানিদের বাড়ির নিরাপত্তা আরও বাড়ানো হয়।
উল্লেখ্য, ইজরায়েলি দূতাবাসের সামনে বিস্ফোরণের আগে পর্যন্ত এই সংগঠনটির নাম শোনা যায়নি। ফলে, এই নামের আদৌ কোনো জঙ্গি সংগঠন রয়েছে কি না, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতে পারছেন না গয়েন্দারা।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
বেড়েছে রাজস্ব ঘাটতি, জানুয়ারির শেষে পৌঁছেছে ১২.২৩ লক্ষ কোটি টাকায়

খবরঅনলাইন ডেস্ক: শনিবারের তুলনায় রবিবার ভারতে ফের কিছুটা বাড়ল দৈনিক সংক্রমণ। তবে সংক্রমণের হার এখনও বেশি বাড়েনি, যা কিছুটা স্বস্তির খবর। শনিবারের পর রবিবারও দেশে মোট সংক্রমণের অর্ধেকই ঘটেছে মহারাষ্ট্রে।
নতুন আক্রান্ত ১৬ হাজারের বেশি
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) তথ্য অনুযায়ী রবিবার ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৯৬ হাজার ৭৩১। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৫২ জন।
এ দিন ভারতে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯০৭ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে সক্রিয় রোগী কমেছে ৩৯৯ জন। বর্তমানে দেশে ১.৪৮ শতাংশ কোভিডরোগী চিকিৎসাধীন।
দৈনিক সংক্রমণের হারের ওঠানামা
দেশে সামগ্রিক ভাবে সংক্রমণ বাড়লেও এখনও সংক্রমণের হারের ব্যাপক ঊর্ধ্বগামী যাত্রা লক্ষ করা যায়নি। ফলে কয়েকটি রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও ভারতের পরিস্থিতি ঠিকঠাকই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৭ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭২৩টি। ফলে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ২.১০ শতাংশ।
এ দিকে, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ভারতে মোট ২১ কোটি ৬২ লক্ষ ৩১ হাজার ১০৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর বিপরীতে এখন ৫.১৩ শতাংশ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই সংক্রমণের হার আগামী দিনে আরও কমবে এই আশা করাই যায়।
সংক্রমণ কোথায় কেমন?
গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৬২৩ জন। দেশে মোট সংক্রমণের অর্ধেকই ঘয়েছে এই রাজ্যে। তবে গত কয়েকদিনের তুলনায় দৈনিক সংক্রমণের হার কিছুটা কমেছে এখানে। বর্তমানে সেটি ১০ শতাংশে নীচে এসে গিয়েছে। অন্য দিকে, দ্বিতীয় স্থানে থাকা কেরলে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩,৭৯২ জন।
এ দিকে সংক্রমণের নিরিখে আরও যে দুই রাজ্যের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হয়ে উঠেছে, তার মধ্যে পঞ্জাবে (৫৯০) সংক্রমণ আগের দিনের তুলনায় বাড়লেও মধ্যপ্রদেশে (৩৯০) দৈনিক সংক্রমণ অনেকটাই বেড়েছে। ছত্তীসগঢ় (২৪০) এবং গুজরাতে (৪৫১) পরিস্থিতি মোটের ওপরে স্থিতিশীল।
এ ছাড়া, সংক্রমণের নিরিখে প্রথম থেকেই আরও যে কয়েকটা রাজ্য ওপরের সারিতে রয়েছে সেই তামিলনাড়ু (৪৮৬), কর্নাটক (৫২৩), পশ্চিমবঙ্গ (২১০), দিল্লি (২৪৩) এবং অন্ধ্রপ্রদেশে (১১৮) সংক্রমণ কিছুটা বাড়লেও কোভিড পরিস্থিতির খুব একটা নেতিবাচক পরিবর্তনও হয়নি।
সুস্থ হলেন ১২ হাজারের কম
দেশে দৈনিক সুস্থতার সংখ্যাটি অনেকটাই কমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৭১৮ জন। এর ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ কোটি ৭ লক্ষ ৭৫ হাজার ১৬৯ জন। দেশে এখন সুস্থতার হার রয়েছে ৯৭.১০ শতাংশ।
মৃতের সংখ্যা আরও কিছুটা বাড়ল
গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতের মৃত্যু হয়েছে ১১৩ জনের। এর ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ৫৭ হাজার ৫১। মৃত্যুহার বর্তমানে রয়েছে ১.৪২ শতাংশ।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
অবশেষে স্বস্তি, সংক্রমণের ধার কমতে শুরু করেছে কেরলে
-
দেশ2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
প্রযুক্তি3 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
দেশ3 days ago
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন
-
রাজ্য15 hours ago
ব্রিগেড সমাবেশ: দরকারে ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ি নিলাম করে প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত, হুঁশিয়ারি মহম্মদ সেলিমের