দ্বিতীয় এনডিএ সরকারের শেষ মন্ত্রিসভার বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর বুধবার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মোদী। তবে, তার আগে তিনি তাঁর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের সঙ্গে শেষ বারের মতো বৈঠক করেছেন।
নির্বাচনে বিজেপির ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী তার মন্ত্রীদের উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন বিদায়ী বক্তৃতায়। মোদী বলেছেন, “জয় বা পরাজয় সবই রাজনীতির অঙ্গ। সংখ্যার খেলা চলতে থাকবে। তবে আমরা গত দশ বছর ধরে ভাল কাজ করেছি এবং আগামী দিনেও সেই কাজ চালিয়ে যাব।”
লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ২৪০টি আসনে জয়ী হয়েছে, যা পাঁচ বছর আগে পাওয়া ৩০৩টি আসনের তুলনায় কম। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বহু সদস্যই পরাজিত হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছেন স্মৃতি ইরানি, সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি, কৈলাস চৌধুরি, অর্জুন মুন্ডা, সুভাষ সরকার এবং নিশীথ প্রামাণিক প্রমুখ। জনতার এই প্রত্যাখ্যানে দেশের মন্ত্রীদের মনোবল ভেঙে পড়া স্বাভাবিক, আর সম্ভবত তাঁদের কথা মাথায় রেখেই মোদী তার বিদায়ী বক্তৃতায় জয়-পরাজয় নিয়ে দর্শনের কথা বলেছেন।
মোদী বলেন, “শাসক গোষ্ঠী (এনডিএ) মানুষের আশা এবং ভরসা জিততে পেরেছে। আগামী দিনেও তা করতে পারবে বলে আশা করি। আপনারা সবাই ভাল কাজ করেছেন এবং পরিশ্রমও করেছেন। তাই আপনাদের অভিনন্দন।”
বুধবার দুপুরে রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মোদী। তবে ইস্তফা দিলেও পরবর্তী সরকার গঠন না হওয়া পর্যন্ত তিনিই থাকবেন দেশের কার্যনির্বাহী প্রধানমন্ত্রী। যদি এনডিএ আবার সরকার গঠন করে এবং মোদী পুনরায় প্রধানমন্ত্রী হন, তবে তিনি হবেন জওহরলাল নেহরুর পর দেশের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী, যিনি তৃতীয় বারের জন্য সরকারে ফিরবেন।
প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে সকাল সাড়ে ১১টায় মন্ত্রিসভার বৈঠক বসেছিল, যেখানে মোদী লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা কমে যাওয়া বা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া নিয়ে বিশদ আলোচনা করেননি। বরং তিনি দলের ইতিবাচক দিকগুলি তুলে ধরেছেন এবং ভবিষ্যতের জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এনডিএর পরবর্তী পদক্ষেপ ও সরকার গঠনের প্রক্রিয়া এখন সবার নজরে।
আরও পড়ুন। অযোধ্যার ফৈজাবাদে বিজেপির পরাজয়, রামমন্দির প্রসঙ্গ তুলে স্বরা ভাস্করের কটাক্ষ