দেশ
সংশোধিত মোটর ভেহিকেলস আইনে মোটা অঙ্কের জরিমানা, পরিবহণমন্ত্রীর বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভ

ওয়েবডেস্ক: ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের জন্য মোটা অঙ্কের আর্থিক জরিমানা চালু হয়েছে দেশের অধিকাংশ রাজ্যে। বুধবার কংগ্রেসের যুব সংগঠন মোটর ভেহিকেলস আইনের সংশোধিত বিধান অনুযায়ী চালু হওয়া মোটা অঙ্কের জরিমানার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নামল।
এ দিন কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়কমন্ত্রী নিতিন গডকরির ২, মতিলাল নেহরু প্লেসের বাড়ির বাইরে বিক্ষোভ দেখায় যুব কংগ্রেস। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে একাধিক রাজ্যে চালু হওয়া মোটর ভেহিকেলস (সংশোধনী) আইন, ২০১৯-এর প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বাসভবনের বাইরের এই বিক্ষোভ প্রবল আকার ধারণ করে। বিক্ষোভ সামাল দিতে হিসশিম খেতে হয় নিরাপত্তা কর্মীদের।

গত মঙ্গলবারই গডকরি বলেছিলেন, “নতুন মোটর ভেহিকেলস আইনের প্রস্তাব আগে থেকেই ছিল। এখন তার বাস্তবায়ন করা হয়েছে মাত্র। ওই আইনে বলা হয়েছে, এ ব্যাপারে রাজ্যগুলি পৃথক ভাবে তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, মোটা অঙ্কের জরিমানা আদায় করে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা সরকারের উদ্দেশ্য নয়, দুর্ঘটনা রোধ এবং প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করে জীবন বাঁচানোই সরকারের অভিপ্রায়”।
গড়করির মতে, “তিন দশক আগে যে বিধানগুলি স্থির করা হয়েছিল সেগুলিও বর্তমান পরিস্থিতি অনুসারে আপডেট করা দরকার। তিনি স্পষ্টতই বলেন, এটি কোনো রাজস্ব আয় বাড়ানোর প্রকল্প নয়, আপনি কি ১,৫০,০০০ মানুষের মৃত্যু নিয়ে চিন্তিত নন? যদি রাজ্য সরকারগুলি এই সংখ্যাকে হ্রাস করতে চায়, তবে তাদেরও এই আইন বলবৎ করা প্রয়োজন”।
দেশ
দিল্লিতে দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার কমে ০.৪৪ শতাংশ
অনেকটাই স্বস্তি! নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৫।

নয়াদিল্লি: শেষ ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে নতুন করে কোভিড-১৯ (Covid-19) আক্রান্তের সংখ্যা ২৯৫। ফলে দৈনিক সংক্রমণের হার ঠেকেছে ০.৪৪ শতাংশে। রবিবার এমনটাই দাবি করলেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন (Satyendar Jain)।
বেশ কয়েক দিন ধরেই দিল্লিতে দৈনিক সংক্রমণের হার রয়েছে ১ শতাংশের নীচে। দৈনিক নমুনা পরীক্ষার সংখ্যাও রয়েছে ৫০ হাজারের উপরে।
তবে সতর্কতামূলক পদক্ষেপের জন্য এখনও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়ে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এই পরিসংখ্যান থেকেই “আমরা ধরে নিতে পারি যে দিল্লিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পাওয়ায় কোভিড-১৯-এর ‘তৃতীয় ঢেউ’ শেষ হয়ে গিয়েছে”।
এ দিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সত্যেন্দ্র বলেন, শনিবার দিল্লির ৮১টি কেন্দ্র থেকে করোনা টিকা নিয়েছেন ৪ হাজার ৩১৭ জন স্বাস্থ্যকর্মী। পরবর্তীতে টিকা কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭৫টি এবং ধারাবাহিক ভাবে বাড়িয়ে তা এক হাজার করা হবে। শনিবার টিকাকরণের পর এখনও পর্যন্ত ৫১ জনের মধ্যে টিকার বিরূপ প্রভাবের খবর পাওয়া গিয়েছে।
তিনি বলেন, ২২ বছরের এক স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নেওয়ার পরে মারাত্মক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে এইমস-এ রেখে চিকিৎসা চলছে। তবে টিকা নেওয়ার ৩০ মিনিট পরেই একাংশকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে, ৫১ শতাংশের উপর পর্যবেক্ষণ চলছে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা ৬ লক্ষ ৩২ হাজার ১৭৯। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৬ লক্ষ ১৮ হাজার ৭৫৪ জন। চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২ হাজার ৬৯১ জন কোভিডরোগী। মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৭৩৮ জনের।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭ লক্ষ ৭৯ হাজার ৩৭৭টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে সারা দেশে। ফলে এ দিন দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১.৯৪ শতাংশ।
আরও পড়তে পারেন: দৈনিক সংক্রমণ অপরিবর্তিত, সক্রিয় রোগী কমল দু’হাজারের উপর
দেশ
বার্ড ফ্লু: ভারতের ডিম, মুরগির বাচ্চা আমদানি নিষিদ্ধ করল বাংলাদেশ
চোরাপথেও যাতে এ সব প্রাণী দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর প্রশাসনকে সতর্ক করে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: ভারতের ১০টি রাজ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অ্যাভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস (বার্ড ফ্লু) ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশেও ভাইরাসটির সংক্রমণ যাতে ছড়াতে না পারে সেই কারণে ভারতের সব ধরনের হাঁস-মুরগি, ডিম ও বাচ্চা আমদানি অনির্দিষ্ট কালের জন্য নিষিদ্ধ করেছে সে দেশের সরকার। বাংলাদেশের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রক বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চোরাপথেও যাতে এ সব প্রাণী দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারে, সে জন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর প্রশাসনকে সতর্ক করে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রকের সচিব রওনক মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কোনো জেলায় এখনও পর্যন্ত বার্ড ফ্লু-র সংক্রমণ দেখা যায়নি। এখানে খামারি বা ক্রেতার আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। ভারতের যে যে স্থানে বার্ড ফ্লু শনাক্ত হয়েছে, সেই সব জায়গা বাংলাদেশ থেকে কয়েকশো কিলোমিটার দূরে। এ ছাড়া ভারতও ওই সব এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে।
প্রাণীসম্পদ মন্ত্রকের সচিব বুলেন, মাঠকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কোনো প্রকার উপসর্গ পেলেই সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের পূর্বের অভিজ্ঞতা তো রয়েছেই। আতঙ্কিত হয়ে হাঁস-মুরগি বা ডিম খাওয়া বন্ধ না করতে ভোক্তাদের অনুরোধ করেন এই আধিকারিক। তবে ভারতে রোগটি ছড়িয়ে পড়ার বার্তা পাওয়ার পরই বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের তরফে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাঁস-মুরগি-ডিম আমদানি নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে মঙ্গলবারই আলাদা আলাদা করে তিনটি চিঠি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক ও বিভাগে পাঠানোর বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করা হয়েছে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রকের তরফে।
ভারত থেকে কোনো ভাবেই যাতে মুরগির বাচ্চা, হাঁস-মুরগি, পাখি ও ডিম আমদানি করা না হয় সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রককে অনুরোধ জানানোর পাশাপাশি অনুপ্রবেশ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং বাংলাদেশ কোস্টগার্ডকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের জননিরাপত্তা বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সমুদ্র, নৌ এবং স্থলবন্দর দিয়ে মুরগির বাচ্চা, প্যারেন্টস্টক, হাঁস-মুরগি, পাখি ও ডিমের অনুপ্রবেশ বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট বন্দর র্কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রককে অনুরোধ জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীতেই মৈত্রী সেতু উদ্বোধনের সম্ভাবনা
দেশ
কৃষক বিক্ষোভ: প্রস্তাবিত ট্র্যাক্টর র্যালির বিরুদ্ধে সোমবার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে
এ বার ট্র্যাক্টর র্যালি নিয়ে টানাপোড়েন।

খবর অনলাইন ডেস্ক: ২৬ জানুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন ট্র্যাক্টর র্যালির ডাক দিয়েছেন তিনটি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত কৃষকরা। প্রস্তাবিত প্রতিবাদ কর্মসূচি বন্ধ করতেই সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। আগামী সোমবার সেই আবেদনেরই শুনানি করবে শীর্ষ আদালত।
জানা গিয়েছে, ভারতের প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদের নেতৃত্বে তিন বিচারপতির বেঞ্চ এই আবেদনটির শুনানি করবে।
কী অভিযোগ কেন্দ্রের?
কেন্দ্র আবেদনে বলেছে, নিরাপত্তা সংস্থাগুলির তদন্তে তারা জানতে পেরেছে যে, প্রতিবাদকারী ব্যক্তি বা সংগঠন সাধারণতন্ত্র দিবসে একটি ট্র্যাক্টর মিছিল করার পরিকল্পনা নিয়েছে।
দিল্লি পুলিশের মাধ্যমে দায়ের করা আবেদনটিতে বলা হয়েছে, সাধারণতন্ত্র দিবস (Republic Day) উদযাপনে বাধা সৃষ্টি করতে চেয়ে প্রস্তাবিত সমাবেশ বা বিক্ষোভ “জাতিকে বিব্রত” করে তুলেছে। বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে ওই ধরনের কর্মসূচি। যা একটি বৃহত্তর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সঙ্গেও জড়িয়ে রয়েছে।
সরকার বলেছে, প্রতিবাদের অধিকারের মধ্যে কখনোই “বিশ্বব্যাপী জাতিকে অপদস্থ করা” অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে না। ট্র্যাক্টর মার্চ, ট্রলি মার্চ, যানবাহন র্যালি নিয়ে দিল্লির জাতীয় রাজধানী অঞ্চলে প্রবেশের মাধ্যমে যে কোনো প্রতিবাদ মিছিল পরিচালনা করতে কাউকে বাধা দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
কেন ট্র্যাক্টর র্যালি?
সরকারের সঙ্গে একের পর এক আলোচনাতেও কৃষি আইন নিয়ে জট খোলেনি। ও দিকে কৃষি আইন খতিয়ে দেখতে কমিটি গঠন করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই কমিটির সদস্যদেরও প্রত্যাখান করেছেন কৃষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা ২৬ জনুয়ারি সাধারণতন্ত্র দিবসের দিন তাঁরা ট্র্যাক্টর র্যালি করবেন।
আগামী ২৬ জানুয়ারি সারা দেশ জুড়ে পালিত হবে সাধারণতন্ত্র দিবস। দিল্লির রাজপথে বিশেষ অনুষ্ঠান হবে। কৃষক নেতা দর্শন পাল সিং এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, তাঁদের প্রস্তাবিত ট্র্যাক্টর র্যালির নামকরণ করা হয়েছে “কিসান প্যারেড”। যা সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের পরে অনুষ্ঠিত হবে।
তবে একই সঙ্গে একাংশের কৃষক নেতারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ২৬ জানুয়ারির ট্র্যাক্টর র্যালি শুধুমাত্র হরিয়ানা-দিল্লি সীমান্তে হবে এবং কৃষকরা সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ ব্যাহত করার জন্য লাল দুর্গে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করছেন না।
আরও পড়তে পারেন: কৃষি আইন: অবশিষ্ট সদস্যদের সরিয়ে সুপ্রিম কোর্টে নতুন কমিটি গঠনের আর্জি কৃষক সংগঠনের
-
রাজ্য1 day ago
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করতে সিপিএমের লাইনেই খেলছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
দেশ2 days ago
করোনার টিকা নেওয়ার পর অসুস্থ হলে দায় নেবে না কেন্দ্র
-
দেশ2 days ago
নবম দফার বৈঠকেও কাটল না জট, ফের কৃষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে কেন্দ্র
-
প্রযুক্তি2 days ago
হোয়াটসঅ্যাপে এ ভাবে সেটিং করলে আপনার আলাপচারিতা কেউ দেখতে পাবে না এবং তথ্যও থাকবে নিরাপদে