খবর অনলাইন : পিঠে ছোট্ট ব্যাকপ্যাক। যে ব্যাকপ্যাকের সাহায্যে মাপা যাবে দূষণের মাত্রা। সঙ্গে লাগানো রয়েছে জিপিএস ট্র্যাকার। এই ছোট্ট ব্যাকপ্যাকটি নিয়ে শহরের এ-দিক সে-দিক ঘুরে বেড়াচ্ছে গোটা দশেক পায়রা। ধরা পড়ছে শহরের বিভিন্ন এলাকার দূষণের মাত্রা।
লন্ডন শহরের দূষণের মাত্রা পরিমাপ করতে এমনই ব্যবস্থা করেছে সেখানকার প্রশাসন।
কেন এমন ব্যবস্থা?
তথ্য অনুযায়ী লন্ডনে শুধু দূষণের কারণে প্রতি বছর ৯,৫০০ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়। ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে অবিলম্বে দূষণ রুখতে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করতে। আর তাই এই ব্যবস্থা।
শুধু কী তাই ? টুইট করে দূষণ সংক্রান্ত তথ্যও দিচ্ছে পায়রারা। কিন্তু পায়রা কী করে টুইট করবে ? না, টুইট অবশ্যই পায়রারা করছে না। তা করছে মানুষ।
শহরবাসীকে দূষণ সংক্রান্ত তথ্য জানাতে এ কাজের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি পিজন এয়ার পেট্রল নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলেছে। সেখানে শহরবাসী তার এলাকার দূষণ সংক্রান্ত তথ্য জানতে চেয়ে টুইট করলে ওই এলাকায় থাকা পায়রার মাধ্যমে প্রাপ্ত দূষণের তথ্য শহরবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
তবে দূষণের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে পায়রার প্রাণ যাতে দফারফা না হয় তার জন্য বেশ কয়েক জন পশু চিকিৎসকেও নিয়োগ করা হয়েছে তাদের দেখভালের জন্য।
সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘দূষণের মাত্রা মাপার পাশাপাশি শহরবাসীকে সচেতন করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
এই ধরণের উদ্যোগ অবশ্য প্রথম নয়। এর আগে পেরুতে বেআইনি আবর্জনা জমা করার জায়গা খোঁজার জন্য জিপিএস ও ক্যামেরা লাগানো শকুন ব্যবহার করা হয়েছিল।
সঙ্গের ছবি সংস্থার দেওয়া টইটার পোস্টের সৌজন্যে
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।