খবর অনলাইন: গঙ্গা বাঁচাতে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নিল কেন্দ্রীয় সরকার।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ যে পাঁচ রাজ্যের মধ্য দিয়ে গঙ্গা বয়ে গিয়েছে, সেই পাঁচ রাজ্যে বনসৃজন ও নগরের ভূসজ্জা সংক্রান্ত একটি সুনির্দিষ্ট মডেলের প্রস্তাব করেছে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ, নদী উন্নয়ন ও গঙ্গা পুনরুজ্জীবন মন্ত্রকের অধীন ‘ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা’ (এনএমসিজি)।
উত্তরবঙ্গের জন্য বিভিন্ন ধরনের গাছ এবং দক্ষিণবঙ্গের জন্য শাল ও ওই জাতীয় গাছ লাগানোর প্রস্তাব করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যে সব গাছ দ্রুত জন্মায় এবং যে সব গাছ থেকে জ্বালানি ও পশুখাদ্য মেলে সেই সব গাছও দক্ষিণবঙ্গের নদী সংলগ্ন জায়গায় লাগানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। কেন্দ্রের প্রস্তাবের ভিত্তিতে রাজ্য ইতিমধ্যেই নগর এলাকায় বনসৃজন ও ভূসজ্জা সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) তৈরি করে ফেলেছে।
পশ্চিমবঙ্গ সুনির্দিষ্ট বনসৃজন-সহ তিন ধরনের ভূসজ্জার পরিকল্পনা করেছে – প্রাকৃতিক, কৃষিভিত্তিক এবং নগর-ভূসজ্জা। এ রাজ্যে গঙ্গা ও তার শাখাগুলির প্রবাহকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ভাগে দার্জিলিং অঞ্চলে পার্বত্য এলাকাইয় প্রবাহ, দ্বিতীয় ভাগে রাজ্যের সর্বাধিক অঞ্চল জুড়ে সমতল এলাকায় প্রবাহ এবং শেষ ভাগে সুন্দরবনের বদ্বীপ এলাকায় প্রবাহ।
প্রাকৃতিক ভূসজ্জা এবং বন, ঘাসজমি ও জলাজমির মতো বাস্তুব্যবস্থার (ইকোসিস্টেম) জন্য রাজ্য মাটি ও আর্দ্রতা সংরক্ষণ, আগাছা নিয়ন্ত্রণ এবং গাছ লাগানোর প্রস্তাব দিয়েছে। বাকি প্রস্তাবগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ, ঘাস ও পশুখাদ্যের উপযুক্ত গাছ, ম্যানগ্রোভ এবং বাঁশগাছ লাগানো। নগর-ভূসজ্জায় সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল রিভারফ্রন্ট উন্নয়ন। এর জন্য ডিপিআর-এ বড়ো ও বেঁটে গাছ, লতাগুল্ম, বাঁশ, ওষধি গাছ, ঘাস এবং বাগান সাজানোর জন্য ব্যবহৃত বিভিন্ন আলঙ্কারিক গাছ লাগানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। নদীতীরবর্তী কৃষিজমির জন্য বিভিন্ন দানাশস্য, শাকসবজি ও ফলের গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
সৌজন্যে: দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।