খবর অনলাইন: শনিবার দুপুরে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূলে আছড়ে পড়ল ঘূর্ণিঝড় ‘রোয়ানু’। স্থল ভাগে ঢোকার আগে সে অনেকটাই শক্তি হারিয়ে ফেলেছিল। যখন আছড়ে পড়ে তখন ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার। প্রবল বর্ষণ ও ঝোড়ো হাওয়ায় গাছ পড়ে, বাড়ি ভেঙে বাংলাদেশের মারা গিয়েছেন ২১ জন। জখম শতাধিক।
তবে‘রোয়ানু’র আঘাত থেকে খুব জোর বেঁচে গেল পশ্চিমবঙ্গ। যদিও পশ্চিমবঙ্গ কখনওই এই ঘূর্ণিঝড়ের কক্ষপথে ছিল না, তবুও আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা বলে কথা। যদি নিজের মন বদলে বাংলাদেশে না গিয়ে এ দিকের সুন্দরবনে আছড়ে পড়ে, এই ভয়েই সিঁটিয়ে ছিলেন সাত বছর আগে ‘আয়লা’র তাণ্ডব দেখা দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার মানুষজন।
তবে ‘রোয়ানু’র প্রভাবে গত দু’দিনে কমবেশি ভালোই বৃষ্টি পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অংশ। । গত দু’দিনে কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ৫০ মিলিমিটার, বর্ধমানে ১০০ মিলিমিটার , বাঁকুড়ায় ২৫ মিলিমিটার, মেদিনীপুর, পুরুলিয়াতেও ২০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি হয়েছে। তুলনায় অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছে রাজ্যের উপকূলবর্তী অংশে। গত দুদিনে দিঘায় বৃষ্টি হয়েছে ১৫০ মিলিমিটারের কাছাকাছি, কাঁথিতে বৃষ্টি হয়েছে ১০০ মিলিমিটার, হলদিয়ায় আর ডায়মন্ড হারবারে হয়েছে ৭০ মিলিমিটার আর ক্যানিং-এ বৃষ্টি হয়েছে ৮০ মিলিমিটার। এই বৃষ্টি, রাজ্যের বৃষ্টির ঘাটতি অনেকটাই মিটিয়ে দিতে পেরেছে। শুধু এ রাজ্যেই নয়, এপ্রিল মাসে, তীব্র জলকষ্টে কাহিল হয়ে পড়া ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশেও ‘রোয়ানু’ অপকারের থেকে উপকারই করেছে বেশি। শুক্রবার সন্ধের পর থেকে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সমুদ্র, দেখা দিয়েছিল জলোচ্ছ্বাসও। আবহাওয়া দফতরের তরফে জলোচ্ছ্বাসের সতর্কবার্তা আরও ১২ ঘণ্টার জন্য জারি থাকছে। শনিবার সন্ধে পর্যন্ত দিঘা-বকখালিতে পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। আগামিকাল, রবিবার থেকে আবার মে’মাসের চিরাচরিত গরম ফিরে আসবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। তবে সোমবার সন্ধেতেই ফের বয়ে যেতে পারে গ্রীষ্মের নিজস্ব কালবৈশাখী ঝড়।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।