খবর অনলাইন: যে কথা বহু চলচ্চিত্রনির্মাতা বহু বার বলে এসেছেন, শুক্রবার সে কথাই বলল বম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। ‘উড়তা পঞ্জাব’ নিয়ে মামলার শুনানির সময় বেঞ্চের মন্তব্য, সেন্টার বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশনের (সিবিএফসি) তথা সেন্সর বোর্ডের কাজ হল চলচ্চিত্রকে শংসাপত্র (সার্টিফাই) দেওয়া, কাঁচি চালানো নয়। ‘উড়তা পঞ্জাব’ যে দিন মুক্তি পাওয়ার কথা তার চার দিন আগে ১৩ জুন মামলার রায় দেবে ডিভিশন বেঞ্চ।
সেন্সর বোর্ড চলচ্চিত্রকে ‘নির্মল করা’র যে চেষ্টা চালাচ্ছে তাকে লক্ষ্য করে আদালত বলে, “আজকালকার দিনে যে সব ছবির জোরদার বিষয়বস্তু আছে এবং যে সব ছবির ভালো স্ক্রিপ্ট লাইন আছে সেগুলিই ভালো চলে। শুধু অর্থহীন কিছু গালাগালি থাকলেই সিনেমা চলে না। সুতরাং সিবিএফসি-র অতিরিক্ত ছিদ্রান্বেষী হওয়ার প্রয়োজন নেই।”
ছবির যেখানে যেখানে পঞ্জাবের কথা আছে সে সব অংশ বাদ দেওয়ার প্রসঙ্গে আদালত চলচ্চিত্রনির্মাতার অধিকারকেই সমর্থন করে। বিচারপতি এস সি ধর্মাধিকারী এবং বিচারপতি শালিনী ফানসলকর জোশীকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “যদি ছবিটির সব ডায়লগ ও দৃশ্য থেকে পঞ্জাবের রেফারেন্স বাদ দিতে হয় তা হলে তো ছবিটির মূল বিষয়টিই হারিয়ে যায়। যদি চলচ্চিত্রনির্মাতা মনে করেন, কোনও জায়গা বা কোনও ব্যক্তি সম্পর্কে ক্রিটিক্যাল হতে হবে তা হলে সেই জায়গা বা সেই ব্যক্তিকে দেখাতে হবে। সরাসরি বললে অনেক সময় চোখ খুলে যায়।”
বিচারপতিরা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, রাজ্যের বা রাজ্যের জনগণকে কালিমালিপ্ত করার জন্য ছবিটি তৈরি করা হয়নি। ছবিটিতে যদি মাদকের মহিমা কীর্তন করা হয়ে থাকে তা হলে জায়গায় জায়গায় কাঁচি চালিয়ে ছবির সারবস্তু নষ্ট না করে সিবিএফসি বরং পুরো ছবিটাই নিষিদ্ধ করে দিক।
চলচ্চিত্রনির্মাতার পক্ষ থেকে অবশ্য আদালতে জানানো হয়, যে অংশে শাহিদ কপূরের জনসমক্ষে মঞ্চে প্রস্রাব করার দৃশ্য আছে সেই অংশ তারা ছেঁটে ফেলবে। তা ছাড়া যে সব দৃশ্যে গালাগাল আছে সেখানে তারা ‘ডিসক্লেমার’ দিয়ে জানিয়ে দেবে, তারা এ ধরনের ভাষা প্রয়োগ সমর্থন করে না।
খবরের সব আপডেট পড়ুন খবর অনলাইনে। লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের ইউটিউব চ্যানেল।