রাজ্য
ফণীর দাপটে এড়ানো গেল না মৃত্যু, পূর্ব বর্ধমানে মৃত ১

ওয়েবডেস্ক: সে ভাবে প্রত্যক্ষ প্রভাব না-পড়লেও গত শুক্রবার ওড়িশা থেকে আসা ফণীর দাপটে রাজ্যের প্রথম মূত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে পূর্ব বর্ধমান থেকে। জানা গিয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের ওই জেলার কালনায় মৃত্যু হয়েছে অশোক পাশোয়ান নামে এক ব্যক্তির।
মৃতের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, গত শুক্রবার রাতে এলাকায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছিল। সে সময় ঝড়ের প্রকটে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পড়ে। ওই তারেই বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অশোকের।
স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে খবর, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ফণীর দাপটে দিঘা-কাঁথি-রামনগরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি, সূর্য উঠতেই স্বস্তি!]
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতের প্রবল বর্ষণ এবং ঝোড়ো হাওয়ার রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই বিক্ষিপ্ত ভাবে ক্ষয়-ক্ষতির খবর মিলেছে। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা-সহ পূর্ব মেদিনীপুর-ঝাড়গ্রামের বহু এলাকায় বাড়ি ভেঙে পড়েছে। কিন্তু কোথাও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। মূলত প্রশাসনের তৎপরতায় আগাম সতর্কতামূলক প্রচারের জন্য প্রাণহানি এড়ানো গিয়েছে। কিন্তু এর মাঝে কালনার ঘটনা ব্যতিক্রমী হিসাবেই উঠে এল।
রাজ্য
অস্বস্তি বাড়িয়ে রাজ্যে ব্যাপক ভাবে বাড়ল সংক্রমণের হার
গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের হার ছিল ১.৪৮ শতাংশ।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: টেস্ট কমে গেল অনেকটাই। কিন্তু সংক্রমণ বাড়ল ব্যাপক ভাবে। এর ফলে রাজ্যে একদিনে ব্যাপক ভাবে বাড়ল দৈনিক সংক্রমণের হার। ফলত, করোনা সংক্রান্ত অস্বস্তি বেড়ে গেল কয়েক গুণ। যদিও এ দিনও মোট আক্রান্তের সংখ্যার থেকে বেশিই ছিল সুস্থতার সংখ্যা।
রাজ্যের কোভিড-তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোভিডে (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ২১৫ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট কোভিডরোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ৮৩৮ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২২১ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৬৩ হাজার ৪০৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ২৮০ হয়েছে।
রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩ হাজার ১৫৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ জন সক্রিয় রোগী কমেছে রাজ্যে। রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৭.৬৭ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটাই বাড়ল
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ হাজার ৪১২টি। ফলে এ দিন সংক্রমণের হার ছিল ১.৪৮ শতাংশ। রবিবার সংক্রমণের হার ছিল ০.৯২ শতাংশ। ফলে একদিনে যে ভাবে সংক্রমণের হারটি বেড়েছে সেটা রীতিমতো অস্বস্তির।
তবে রাজ্যের সামগ্রিক সংক্রমণের হারও আরও কিছুটা কমেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৮৭ লক্ষ ১৩ হাজার ২৬৫টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সংক্রমণের হার রয়েছে ৬.৬২ শতাংশ।
হাসপাতাল শয্যা-তথ্য
সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে বর্তমানে ৫৮ হাসপাতালের ৬,৭৩৬টি শয্যা কোভিডের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত রয়েছে। এর মধ্যে ভরতি আছে মাত্র ৩.৭০ শতাংশ বেড।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পরিস্থিতি
কলকাতায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ জন, উত্তর ২৪ পরগণায় ৬৩। দুই জেলায় সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৬৪ এবং ৫৬ জন। উত্তর ২৪ পরগণায় এক জনের মৃত্যু হয়েছে। কলকাতা ছিল মৃত্যুহীন।
কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৯৯১, উত্তর ২৪ পরগণায় মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৫৮২। কলকাতায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১,২৩৮ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৮৯৯। দুই জেলায় মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ৩,১০২ এবং ২,৫১৪ জনের।
তিন জেলা নতুন সংক্রমণহীন
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের তিন জেলা ছিল নতুন সংক্রমণশূন্য। এই জেলাগুলি হল আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং এবং দক্ষিণ দিনাজপুর।
যে যে জেলায় সংক্রমণ এক অঙ্কে ছিল, সেই জেলাগুলি হল কোচবিহার (১), মুর্শিদাবাদ (১), পশ্চিম মেদিনীপুর (১), পূর্ব বর্ধমান (২), জলপাইগুড়ি (৩), উত্তর দিনাজপুর (৩), মালদা (৩), পুরুলিয়া (৩), ঝাড়গ্রাম (৩), হুগলি (৩), বাঁকুড়া (৪), পূর্ব মেদিনীপুর (৪), নদিয়া (৫), বীরভূম (৫), দার্জিলিং (৬), পশ্চিম বর্ধমান (৭), দক্ষিণ ২৪ পরগণা (৮)।
কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগণা বাদে গত ২৪ ঘণ্টায় শুধুমাত্র হাওড়ায় (২১) নতুন সংক্রমণ ছিল দুই অঙ্কে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
সোমেন মিত্রের স্ত্রী-পুত্রের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা
রাজ্য
সোমেন মিত্রের স্ত্রী-পুত্রের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা
রবিবার রাতে প্রয়াত কংগ্রেস নেতার বাড়িতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি সোমেন মিত্রে শ্রী শিখা মিত্র এবং পুত্র রোহন মিত্রের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। রবিবার রাতে প্রয়াত সোমেনবাবুর বাড়িতে হাজির হন শুভেন্দু অধিকারী। তার পর থেকেই শিখাদেবী এবং রোহনকে নিয়ে জল্পনা বেড়ে গিয়েছে।
সূত্রের খবর, আব্বাস সিদ্দিকির আইএসএফের সঙ্গে কংগ্রেসের গাঁটছড়া নিয়ে প্রদেশ ভবনের অচরণে ক্ষুব্ধ শিখা মিত্র এবং রোহন মিত্র। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন তাঁরা।
ঘনিষ্ঠমহলে রোহন জানিয়েছেন বুধবার হাইকম্যান্ডের সঙ্গে তাঁদের সাক্ষাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তিনি ও তাঁর পরিবার যোগাযোগ রাখবেন বলেও ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন রোহন। সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা আরও প্রবল বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
উল্লেখ্য, বাম-কংগ্রেসের জোটের পক্ষে বরাবরই মত ছিল সোমেন মিত্রের। তবে তাঁর মৃত্যুর পর প্রদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে মিত্র পরিবারের দূরত্ব ক্রমশই বাড়ে। সম্প্রতি, আব্বাস সিদ্দিকির সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের জোট নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন সোমেন মিত্রের স্ত্রী-পুত্র। নাম না করে অধীর চৌধুরী সিদ্ধান্তে আগেও উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। এরই মধ্য়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠকের পরই জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গিয়েছে যে বিজেপির পক্ষ থেকে শিখা মিত্রকে প্রয়াত নেতার আসন, চোরঙ্গী থেকে টিকিট দেওয়ার কথা দেওয়া হয়েছে। যদিও পুরো ব্যাপারটাতেই ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। সোমবার তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট বিজেপিতে যোগ দিলেও সেই দলে দেখা যায়নি শিখা-রোহনকে।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
রাজ্য
মুখ্যমন্ত্রীর ছায়াসঙ্গী, সিঙ্গুরের বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য-সহ তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট বিজেপিতে
দলবদলের হাওয়ায় এ বার সামিল সিঙ্গুরের বিধায়কও।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সময়ের ছায়াসঙ্গী, সিঙ্গুরের বিধায়ক নাম লেখালেন বিজেপিতে। সেই সঙ্গে দলবদলের হাওয়ায় এ বার গা ভাসিয়ে দিলেন খোদ তৃণমূল প্রার্থী। ওই প্রার্থী-সহ তৃণমূলের আরও বিধায়ক, এক জন অভিনেত্রী এবং আরও একাধিক হেভিওয়েট এ দিন গেরুয়া শিবিরে ভিড়েছেন।
বিশ্ব নারী দিবস বলে সোমবার প্রথমে বিজেপিতে যোগ দেন মহিলারা। এই তালিকায় ছিলেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী, মমতার ছায়াসঙ্গী সোনালী গুহ। এ ছাড়া চাঞ্চল্যকর ভাবে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়ে নেন হবিবপুরের তৃণমূল প্রার্থী।
এর পর যোগ দেন শিবপুরের তৃণমূল বিধায়ক জটু লাহিড়ী। সিঙুরের তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য, সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক শীতল সর্দার। বসিরহাটের তৃণমূল বিধায়ক তথা প্রাক্তন ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসও ভিড়ে যান গেরুয়া শিবিরে।
এ দিনের যোগদান অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়। ছিলেন সব্যসাচী দত্ত। ঘোষকের ভূমিকায় ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
তবে মনে করা হচ্ছে যে মালদা জেলা পরিষদটি বিজেপির হাতে এসে গিয়েছে। কারণ ওই জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল সহ-জেলা পরিষদের ১৪ জন সদস্য এ দিন বিজেপিতে যোগ দেন। এর ফলে ৩৮ আসনের জেলা পরিষদের ২৩টি আসন বিজেপির দখলে এল।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
সোমেন মিত্রের স্ত্রী-পুত্রের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা
-
রাজ্য3 days ago
কেন তড়িঘড়ি প্রার্থী তালিকা প্রকাশ তৃণমূলের, সরব পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য
-
রাজ্য2 days ago
লড়াই মুখোমুখি! নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী
-
রাজ্য2 days ago
অস্বস্তি বাড়াচ্ছে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ, কলকাতাতেও বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা
-
রাজ্য2 days ago
বিজেপির ব্রিগেড: বাংলা চায় প্রগতিশীল বাংলা, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী