রাজ্য
নিরাপত্তার স্বার্থে অভিযুক্ত হোম থেকে ১৪ শিশুকে সরানো হল অন্যত্র
জলপাইগুড়ি: রক্ষক-এর ভক্ষক হয়ে ওঠার অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এতদিন পরে কিছুটা সক্রিয় পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। ১৪টি শিশুর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তাদের সরিয়ে নেওয়া হল বিমলা শিশুগৃহ থেকে। হোমের কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে চলবে তদন্ত। জলপাইগুড়ি কেরানিপাড়ায় রয়েছে বিমলা শিশুগৃহ। নর্থবেঙ্গল পিপলস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নামে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত একটি স্বেছাসেবী সংগঠনের অধীনে রয়েছে এই হোম। দীর্ঘদিন […]
জলপাইগুড়ি: রক্ষক-এর ভক্ষক হয়ে ওঠার অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এতদিন পরে কিছুটা সক্রিয় পদক্ষেপ নিল প্রশাসন। ১৪টি শিশুর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে তাদের সরিয়ে নেওয়া হল বিমলা শিশুগৃহ থেকে। হোমের কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে চলবে তদন্ত।
জলপাইগুড়ি কেরানিপাড়ায় রয়েছে বিমলা শিশুগৃহ। নর্থবেঙ্গল পিপলস ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নামে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত একটি স্বেছাসেবী সংগঠনের অধীনে রয়েছে এই হোম। দীর্ঘদিন ধরেই হোমের কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে বেশ কিছু গুরুতর অভিযোগ উঠছিল। মূলত এই হোমে উদ্ধার হওয়া বা অনাথ এবং দরিদ্র পরিবারের শিশু এবং নবজাতকদের রাখা হয়। এই শিশুদের ঠিকমতো দেখভাল করা হত না বলে অভিযোগ। এমনকি নবজাতক বা উদ্ধার হওয়া শিশুরা উপযুক্ত চিকিৎসাও পেত না বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
এ ছাড়াও আরও গুরুতর অভিযোগ উঠেছে এই হোমের বিরুদ্ধে। ২০১২ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ১৭টি শিশুকে অবৈধ ভাবে দত্তক দেওয়া হয়েছে এই হোম থেকে। এদের মধ্যে আবার ৬টি শিশু ‘নিখোঁজ’ বলে অভিযোগ। এই শিশুগুলিকে কোন অভিভাবকের হাতে কবে তুলে দেওয়া হয়েছে তার কোনো সঠিক তথ্য নেই হোম কর্তৃপক্ষের কাছে। এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা সরাসরি শিশুপাচারের অভিযোগ করেছেন হোম কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। রিঙ্কু বোস নামে এক স্থানীয় মহিলার অভিযোগ, কোনো এক ‘অজ্ঞাত’ কারণে এতদিন নিশ্চুপ ছিল প্রশাসন। গত বছর জুন মাসে হোমের বিরুদ্ধে জেলাশাসকের দ্বারস্থ হয় জেলা শিশুসুরক্ষা সমিতি। শুরু হয় তদন্ত। এরই মধ্যে রাজ্য জুড়ে শিশুপাচার নিয়ে হইচই শুরু হয়। রাজ্য সরকারের সক্রিয়তায় গতি আসে তদন্তে। নারী, শিশু ও সমাজকল্যণ দফতরের আধিকারিক এবং জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ বেশ কয়েক বার হোম পরিদর্শনের পর বহু নথি বাজেয়াপ্ত করেন। রবিবার ডাইরেক্টরেট অফ চাইল্ড রাইটস অ্যান্ড ট্রাফিক ইউনিটের নির্দেশে প্রশাসনিক আধিকারিকরা হোমে আসেন। তাঁরা দেখতে পান সেখানে আরও ১৪টি শিশু রয়েছে। সেখান থেকে তাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এদের মধ্যে তিন নবজাতকের শারীরিক অবস্থা বেশ সঙ্গীন হওয়ায় তাদের বর্তমানে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরের তিনটি হোমে আপাতত রাখা হবে। জেলা সমাজকল্যাণ আধিকারিক পীযূষ সাহা জানিয়েছেন, এর পরে দফতরের নির্দেশে আগামী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। শিশু সুরক্ষা সমিতির চেয়ারপার্সন বেবি উপাধ্যায় জানিয়েছেন, তদন্ত চলবে এবং তার রিপোর্ট প্রশাসনের কাছে জমা দেওয়া হবে।
যদিও সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন হোমের কর্ণধার চন্দনা চক্রবর্তী। তিনি পালটা হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, শিশুসুরক্ষা সমিতি তাঁর হোমের বিরুদ্ধে যে মিথ্যে অভিযোগ এনেছেন তার বিরুদ্ধে তিনি ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
রাজ্য
বাম প্রার্থীদের ভোট দিতে বললেও কংগ্রেসের নাম নিলেন না আব্বাস সিদ্দিকি
তবে কেন তিনি কংগ্রেসের নাম নিলেন না, সে প্রশ্নের জবাব আব্বাস নিজেই দিলেন!

খবর অনলাইন ডেস্ক: নিজের দলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বাম শরিক দলের প্রার্থীদের ভোট দিতে বললেও কংগ্রেসের বেলায় তেমনটা করলেন না আইএসএফ প্রধান আব্বাস সিদ্দিকি। কেন?
নিজের বক্তৃতার শুরুতেই আব্বাস বলেন, “আমার ভালোবাসার মানুষ মহম্মদ সেলিম, বিমানদা এবং বাম শরিক দলের প্রত্যেকটা নেতা-কর্মীকে অভিনন্দন জানাই। আমরা তাঁদের কাছে যে তালিকা দিয়েছিলাম, সেখানে মানুষের ইচ্ছার কথাকে মান্যতা দিয়ে আমাদের দাবিকে তাঁরা মেনে নিয়েছেন। যেখানে যেখানে বাম শরিক দল প্রার্থী দেবে, আগামী দিনে রক্ত দিয়ে হলেও মাতৃভূমিকে স্বাধীন করব। কী হয়েছে, তা ভুলে গিয়ে আগামী দিনে এই বিজেপি সরকার আর বিজেপির বি-টিম তৃণমূলকে উৎখাত করব”।
ব্রিগেডের জমায়েত নিয়ে আইএসএফ প্রধান বলেন, “এখানে আমার বাম বন্ধুরা রয়েছেন, কংগ্রেসের বন্ধুরা রয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশে বলতে চাই, শুক্রবার থেকে ব্রিগেডে আসার প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। আসম সমঝোতা আরও ১ সপ্তাহ আগে হলে আরও লোক জড়ো করতে পারতাম”।
আব্বাস আরও বলেন, “বিমানদা ত্যাগস্বীকার করে নিজের দলকে বুঝিয়ে আমাদের জন্য ৩০টা আসন ছেড়েছেন। তাঁকে আমরা অনেক ধন্যবাদ জানাই”।
তবে কেন তিনি কংগ্রেসের নাম নিলেন না, সে সম্পর্কে আব্বাস নিজেই বলেন, “আপনাদের মনে একটা প্রশ্ন আসতেই পারে, আপনি বললেন, যেখানে যেখানে বাম শরিক দল দাঁড়াবে, সেখানে তাঁদের ভোট দেবেন, তা হলে কংগ্রেসের বেলায় বললেন না কেন? আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভাগিদারি করতে এসেছি। অনেক হয়েছে আর নয়, ভাগিদারি চাই। পিছিয়ে পড়া আদিবাসী, দলিত, ওবিসি, মুসলিম- পিছিয়ে পড়া মানুষের হক বুঝে নিতে হবে। এই ভাগিদারিতে এসেছি। ফলে কেউ যদি মনে করে, বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেওয়া তাঁর কাজ, তাঁদের জন্য দরজা খোলা রয়েছে। তাঁদের হাত ধরেও আব্বাস সিদ্দিকি লড়াই করবে”।
সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র অবশ্য আব্বাসের আগেই বক্তৃতা করেন। তিনি বলেন, “আসন ভাগাভাগি শেষ কথা নয়, দরকার মানুষের ঐক্য”।
আরও পড়তে পারেন: বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ ব্রিগেড সমাবেশে কে কী বললেন?
রাজ্য
কলকাতায় পৌঁছোল কেন্দ্রীয় বাহিনী, রবিবার সকাল থেকেই শুরু রুটমার্চ
আনন্দপুর-সহ শহরের কিছু থানা এলাকায় বাহিনী রুটমার্চ করেছে

খবরঅনলাইন ডেস্ক: নির্বাচনের জন্য রাজ্যে ধাপে ধাপে ১২৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর আসার কথা। এরই মধ্যে শনিবার রাতে কলকাতায় চলে এসেছে বাহিনীর তিনটে কোম্পানি। রবিবার সকাল থেকেই শহরের কিছু জায়াগায় শুরু হয়েছে রুটমার্চ।
এ দিন সকালে আনন্দপুর-সহ শহরের কিছু থানা এলাকায় বাহিনী রুটমার্চ করেছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের স্পর্শকাতর এবং অতিস্পর্শকাতর হিসেবে পরিচিত কয়েকটি জায়গায় বাহিনী রুটমার্চ শুরু করে দিয়েছে।
রাজ্যে ২৯৪টি আসনে ৮ দফায় ভোট গ্রহণ শুরু হবে ২৭ মার্চ। কলকাতায় ২ দফায় ১১টি বিধানসভা আসনে ভোট। ২৬ এপ্রিল দক্ষিণ কলকাতার ৪টি আসনে এবং ২৯ এপ্রিল উত্তর কলকাতার ৭টি আসনে ভোট গ্রহণ হবে। তবে তার আগে ১০ এপ্রিল কলকায় পৌরসভার অন্তর্গত যাদবপুর, টালিগঞ্জ, মেটিয়াব্রুজ-সহ কিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ।
গত শুক্রবার ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার দিনই মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার জানিয়ে দেন যে যত বেশি সংখ্যক সম্ভব কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতেই ভোট হবে, যাতে ভোটে অশান্তি না হয়।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
কলকাতায় তেজস্বী যাদব, হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ
রাজ্য
কলকাতায় তেজস্বী যাদব, হতে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ
পাশাপাশি বামেদের সঙ্গেও আলোচনা হতে পারে তেজস্বীর।

খবর অনলাইন ডেস্ক: রবিবার কলকাতায় আসার কথা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav)। এ দিন বিকেলে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।
শুক্রবার বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির ঘুঁটি সাজানোর প্রক্রিয়া। শোনা যায়, হিন্দিভাষী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে অসমে বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী দিতে পারে লালুপ্রসাদ যাদবের আরজেডি।
একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গেও তিন-চারটি আসনে প্রার্থী দিতে পারে আরজেডি। সম্ভবত সে বিষয়েই আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে মমতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন লালু-পুত্র তেজস্বী।
একটি সূত্রের দাবি, তৃণমূলের শরিক হিসেবেই পশ্চিমবঙ্গের ভোটে অংশ নিতে চাইছে বিহারের আরজেডি। তবে খুব বেশি নয়, তারা তৃণমূলের কাছ থেকে তিন-চারটি আসন দাবি করতে পারে।
পাশাপাশি বামেদের সঙ্গেও আলোচনা হতে পারে তেজস্বীর। বাম-কংগ্রেস জোট ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, আরজেডি তাদের দিকে আসতে চাইছে। ক’দিন আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী জানান, “বাম-কংগ্রেস বৈঠকে আসনরফা চূড়ান্ত। ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে বাম-কংগ্রেস জোট। বাংলায় দ্বিমুখী নয়, ত্রিমুখী লড়াই হতে চলেছে। আইএসএফ ছাড়াও জোটে আস্থা প্রকাশ করেছে এনসিপি, আরেজডি”।
আরও পড়তে পারেন: পশ্চিমবঙ্গে ফিরতে পারে তৃণমূল সরকার, কী বলছে সমীক্ষা
-
দেশ2 days ago
পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট, কলকাতায় ভোট ২৬ ও ২৯ এপ্রিল
-
কলকাতা3 days ago
শুধু দড়ি বেঁধে ম্যানহোলের কাজ করতে নেমে কুঁদঘাটে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, মৃত ৪ শ্রমিক
-
প্রযুক্তি2 days ago
আরবিআই-এর নতুন নির্দেশিকা, ঝক্কি বাড়বে ডেবিট, ক্রেডিট কার্ড লেনদেনে!
-
দেশ2 days ago
শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ-সহ ৫ রাজ্যের ভোটের দিনক্ষণ প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন