কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক বন্যায় প্রভাবিত হয়েছেন অন্তত ২২ লক্ষ মানুষ। শুক্রবার সন্ধ্যায় এমনই তথ্য দেওয়া হয়েছে নবান্নের তরফে। পাশাপাশি, বন্যার জন্য আগাম না জানিয়ে ঝাড়খণ্ডের জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়াকেই দায়ী করা হয়েছে।
মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন বৃহস্পতিবার রাতে ঝাড়খণ্ড থেকে৮০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সেই জল শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টায় আরও বাড়িয়ে এক লক্ষ ৪৫ হাজার কিউসেক করা হয়েছে। এর ফলে বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙে জলমগ্ন হয়েছে বহু এলাকা।
তবে এ বারের বন্যার জন্য প্রকৃত অর্থে ঝাড়খণ্ডের থেকে অনেক বেশি দায়ী পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাঞ্চলে অত্যধিক বৃষ্টি। নিম্নচাপের প্রভাবে পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়ার কিছু কিছু এলাকায় ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে তিনশো থেকে সাড়ে চারশো মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা সর্বকালের সর্বাধিক। তুলনায় ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি কম হয়েছে।
এই পরিমাণ বৃষ্টির জল দামোদরে পড়লে জল যে বাড়বে, সেটা সহজেই অনুমেয়। সে কারণে গত এক সপ্তাহ আগে থেকেই সম্ভাব্য বন্যার জন্য তৈরি থাকার কথা বলছিল বেসরকারি আবহাওয়া সংস্থাগুলি।
বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি কিছু কিছু জায়গায় সেনাও নামাতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
দক্ষিণবঙ্গের পাঁচ জেলা হাওড়া, হুগলি, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং বাঁকুড়া প্লাবিত হয়েছে ডিভিসির জলের প্রভাবে। এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান এবং দুই মেদিনীপুরেও। দামোদর, দ্বারকেশ্বর, রূপনারায়নের জল বিপদ সীমার অনেক উপর দিয়ে বইছে। একই সঙ্গে অজয় নদও বিপদসীমার ওপরে রয়েছে।
হরেকৃষ্ণ বলেন, চার লক্ষ মানুষকে নিরাপদ এলাকায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দেড় হাজারের বেশি ত্রাণ শিবিরে আড়াই লক্ষ মানুষ রয়েছেন। এ ছাড়া ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়েছে জেলায় জেলায়। রাজ্যের ২৫টি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর পাশাপাশি ভিন রাজ্য থেকেও আনা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলার আটটি দল। এ ছা়ড়া আট কলম সেনা এবং ২০০টি নৌকায় মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়তে পারেন
দুর্গাপুজো, কালীপুজোয় কোনো দর্শনার্থী মণ্ডপে প্রবেশ করতে পারবেন না, জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট
ফের করোনা বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়াল রাজ্য, পুজোর সময় কিছুটা ছাড়
টানা বৃষ্টিতে ৩০০ বছরের প্রাচীন জমিদার বাড়ি ভেঙে পড়ল জয়নগরে
‘৫০ হাজারের বেশি ভোটে জিতবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়’, বিস্ফোরক মন্তব্য জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের
উত্তর ভারত থেকে বর্ষার বিদায়যাত্রা শুরু ৬ অক্টোবর, অত্যন্ত দ্রুতগতিতে বাকি পথ অতিক্রম করার আশা
