রাজ্য
ভোটের আগে তিন মন্ত্রীর ইস্তফা কি তৃণমূলের দুশ্চিন্তা বাড়াল?
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এখনও পর্যন্ত তিন জন মন্ত্রী ভোটের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দিলেন।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে এখনও পর্যন্ত তিন জন মন্ত্রী ভোটের মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভা থেকে ইস্তফা দিলেন। সব মিলিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ল কি তৃণমূলের?
নভেম্বর-জানুয়ারিতে রাজ্যের মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন তিন মন্ত্রী। একাধিক দফতর এবং তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিলেও লক্ষ্মীরতন শুক্ল আপাতত রাজনীতি থেকে ‘বিরতি’ নিয়েছেন। তবে শুক্রবার বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার পর তাঁর বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জোর জল্পনা চলছে।
রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কি বিজেপিতে যাচ্ছেন?

শুক্রবার মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন পশ্চিমবঙ্গের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় (Rajib Banerjee)। তৃণমূল কংগ্রেস থেকে এখন দলত্যাগের যে হিড়িক চলছে, তাতে রাজীববাবুর এই ইস্তফা স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর সম্পর্কে জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিল।
মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে রাজীববাবু লিখেছেন, “দুঃখের সঙ্গে আপনাকে জানাচ্ছি, আজ ২২ জানুয়ারি ২০২১, বন দফতরের ক্যাবিনেট মন্ত্রীর পদ থেকে আমি ইস্তফা দিচ্ছি।”
কয়েক দিন আগেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু নেতা” তাঁর বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছেন। গত দু’ মাস ধরেই মাঝেমাঝেই সরকার ও দলের বিরুদ্ধে তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় তাঁর সঙ্গে অন্তত দু’ দফা বৈঠক করেন।
সংবাদসংস্থা এএনআইয়ের থেকে জানা যায়, ১৬ জানুয়ারি এক ফেসবুক লাইভ সেশনে রাজীববাবু বলেন, “দল কিছু নেতা আছেন, যাঁরা কেবল নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির কর্মীদের কাজে লাগান। দলের কয়েক জন কর্মীকে ব্যবহার করে তাঁরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রচার চালান।” ওই অনুষ্ঠানে অবশ্য রাজীববাবু কারও নাম প্রকাশ করেননি।
পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন দোরগোড়ায়। ভোট যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দলত্যাগ করার যেন ঢল নেমেছে। এর নবতম সংযোজন হলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের বেশির ভাগ দলত্যাগীই বিজেপিতে ভিড়েছেন। এখন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কী করেন সেটাই দেখার।
রাজনীতিতে আপাত বিরত লক্ষ্মীরতন শুক্লর

গত ৫ জানুয়ারি মন্ত্রিত্ব ছেড়েছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্ল (Laxmi Ratan Shukla)। তবে বিধানসভার মেয়াদ সম্পূর্ণ করতে চান বলেও ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন তিনি।
রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্ল ইস্তফাপত্র পাঠান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ইস্তফা গ্রহণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে এখনই বিধায়কপদ ছাড়ছেন না তিনি। প্রাক্তন ক্রিকেটার তৃণমূলের হাওড়া জেলা সভাপতির পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন। ২০২০ সালের জুলাই মাসে লক্ষ্মীরতনকে হাওড়া জেলা সদর তৃণমূলের সভাপতি করা হয়।
ইস্তফার পর লক্ষ্মীরতন বলেছিলেন, “আমি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দিচ্ছি। কিন্তু বিধায়কপদ ছাড়ছি না। কারণ, মানুষের ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছি। এখন পুরবোর্ড নেই, তাই বিধায়ক হিসেবেই মানুষের কাজ করব”।
বাংলার প্রাক্তন রঞ্জি অধিনায়কের কথায়, “২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, তুমি ভালো ছেলে। তোমার প্রার্থী হওয়া উচিত। ক’দিন আগেও তিনি আমাকে ভালো ছেলে বলেই উল্লেখ করেছেন। এটাই আমার কাছে সব। তাঁর সঙ্গে আমার সুসম্পর্ক ছিল, আছে এবং আগামী দিনেও বজায় থাকবে।”।
পরিবর্তনের পরিবর্তনই লক্ষ্য শুভেন্দু অধিকারীর

গত ২৭ নভেম্বর রাজ্য মন্ত্রিসভা থেকেও ইস্তফা দেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ১৬ ডিসেম্বর বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত না থাকায় তিনি রিসিভ সেকশনে নিজের ইস্তফাপত্র পেশ করেন তিনি। পাশাপাশি ই-মেলে অধ্যক্ষকে ইস্তফাপত্র পাঠান তিনি। পরে ফের অধ্যক্ষ ডেকে পাঠান তাঁকে। ফের বিধানসভায় গিয়ে পদত্যাগপত্র তুলে দেন শুভেন্দু।
এ ব্যাপারে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, “আদর্শ নয়, উচ্চাশার কারণেই এই পদত্যাগ। দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল শুভেন্দু। বিজেপি ওকে কী দিচ্ছে, কী ডিল করেছে, আমরা তো তা জানি না। হয়তো উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্বের টোপ দেওয়া হয়েছে। এতে আদর্শ বলে কিছু নেই, পদ পাওয়ার আশ্বাস পেয়েই চলে গিয়েছে”।
১৯ ডিসেম্বর মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে গেরুয়া শিবিরে যোগ দেন শুভেন্দু। তার পর থেকেই তাঁর নিশানায় তৃণমূল এবং নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মাস কয়েকের মধ্যেই রাজ্যের বিধানসভা ভোট। তার আগে বিজেপির প্রচারে অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন শুভেন্দু।
তৃণমূল কী বলছে?

শুক্রবার তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) বলেন, “ভোটের মুখে কাজ করতে না পেরে দল ছাড়ার অভিযোগ হাস্যকর। তৃণমূল কংগ্রেসের কাজ যাঁরা আরও শক্তিশালী করতে চান, তাঁরা কখনোই তৃণমূল ছাড়বেন না। কর্মীরা মমতার সঙ্গে ছিলেন, তাঁরা আছেন এবং থাকবেন। কর্মীরাই সব। ইঞ্জিন চলমান, এবং ইঞ্জিন চলবেই”।
তিনি বলেন, “বড়ো গাছ থেকে দু’একটা পাতা ঝরে গেলে কিছু যায়-আসে না। সারা রাজ্যেই তৃণমূল সরকারের উদ্যোগে উন্নয়নের কাজ হয়েছে এবং হচ্ছে। বিজেপি এখান-ওখান থেকে নেতাদের টেনে নিচ্ছে। এ ভাবে নিয়ে একটা পাঁচমিশেলি ব্যাপার তৈরি করতে চাইছে। এটা বিজেপি নেতৃত্বই ভাববেন। এতে কিছু হবে না”।
আরও পড়তে পারেন: মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়ে রাজভবনে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়

খবরঅনলাইন ডেস্ক: খুব ধীরগতিতে হলেও রাজ্যে বাড়ছে কোভিডের সংক্রমণ। শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত রিপোর্টে সেই ছবিটাই ধরা পড়েছে। এতে ফের একবার প্রমাণিত হল রাজ্যে সতর্কতায় কোনো ভাবেই ঢিলে দিলে চলবে না এখন। পরিস্থিতি যে কোনো দিন নতুন করে উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে।
রাজ্যের কোভিড-তথ্য
গত ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে নতুন করে কোভিডে (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ২৫৫ জন। এর ফলে রাজ্যে মোট কোভিডরোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৭৬ হাজার ১৭৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২৬৩ জন। এর ফলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট কোভিডজয়ীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৭৫ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২ জনের মৃত্যু হয়েছে রাজ্যে। রাজ্যে মোট মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ২৭৫ হয়েছে।
রাজ্যে বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৩ হাজার ২২৬ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন সক্রিয় রোগী কমেছে রাজ্যে। রাজ্যে সুস্থতার হার বর্তমানে ৯৭.৬৬ শতাংশ।
দৈনিক সংক্রমণের হার অনেকটাই বাড়ল
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২০ হাজার ৮৫১টি। ফলে এ দিন সংক্রমণের হার ছিল ১.২২ শতাংশ।গত সোমবার রাজ্যে সংক্রমণের হার ছিল ১.২৩ শতাংশ। এ দিনের হারটা সোমবারের থেকে কিছুটা কম।
তবে রাজ্যের সামগ্রিক সংক্রমণের হারও আরও কিছুটা কমেছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ৮৬ লক্ষ ৫৮ হাজার ৯২৯টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সংক্রমণের হার রয়েছে ৬.৬৫ শতাংশ।
হাসপাতাল শয্যা-তথ্য
সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে বর্তমানে ৫৮ হাসপাতালের ৬,৭৩৬টি শয্যা কোভিডের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত রয়েছে। এর মধ্যে ভরতি আছে মাত্র ৩.২৭ শতাংশ বেড।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগণার পরিস্থিতি
উত্তর ২৪ পরগণায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা বেশ কিছুটা বেড়েছে, তবে কলকাতার পরিস্থিতি একই রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় ৭৮ এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৭২ জন নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন। এই দুই জেলায় সুস্থ হয়েছেন যথাক্রমে ৭১ এবং ৬৭ জন। উত্তর ২৪ পরগণায় মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
কলকাতায় এখন মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ৭৭৭, উত্তর ২৪ পরগণায় মোট আক্রান্ত ১ লক্ষ ২৩ হাজার ৪২৮। কলকাতায় বর্তমানে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ১,২২৫ জন এবং উত্তর ২৪ পরগণায় ৯৩৬। দুই জেলায় মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ৩,১০২ এবং ২,৫১১ জনের।
কিছু জেলায় সংক্রমণ ফের বাড়ল
গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমণ যে অনেকটাই বেড়েছে, তার মূল কারণে রয়েছে কয়েকটি জেলা। এই জেলাগুলিতে নতুন সংক্রমণ ফের দুই অঙ্কে উঠে গিয়েছে। জেলাগুলি হল দক্ষিণ ২৪ পরগণা (১৫), হাওড়া (১৪), পশ্চিম বর্ধমান (১২) এবং বাঁকুড়া (১০)।
যে যে জেলায় সংক্রমণ এক অঙ্কে ছিল, সেই জেলাগুলি হল দক্ষিণ দিনাজপুর (১), কোচবিহার (২), মালদা (২), ঝাড়গ্রাম (২), পূর্ব বর্ধমান (২), মুর্শিদাবাদ (৩), নদিয়া (৪), বীরভূম (৪), উত্তর দিনাজপুর (৬), দার্জিলিং (৪), জলপাইগুড়ি (৬), হুগলি (৬), পূর্ব মেদিনীপুর (৭), পশ্চিম মেদিনীপুর (৯)।
এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ার, কালিম্পং এবং পুরুলিয়ায় নতুন করে কেউ কোভিডে আক্রান্ত হননি।
রাজ্য
জল্পনার অবসান! নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন মিঠুন চক্রবর্তী?
নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেডে থাকছেন মিঠুন চক্রবর্তী!

খবর অনলাইন ডেস্ক: জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন অভিনেতা এবং প্রাক্তন সাংসদ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। সূত্রের খবর, আগামী ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) ব্রিগেড সমাবেশে বিজেপিতে নাম লেখাবেন তিনি।
কয়েক সপ্তাহ আগেই মুম্বইয়ে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তার পর থেকেই জল্পনা ক্রমশ গাঢ় হয়। তবে মাঝখানে সেই জল্পনা সাময়িক ভাবে স্থিমিত হলেও শুক্রবার এবিপি আনন্দ-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, শেষমেশ “বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন তারকা অভিনেতা”।
ভাগবতের সঙ্গে ওই বৈঠকের পরে মিঠুন সংবাদ মাধ্যমের কাছে বলেছিলেন, “মোহন ভাগবতের সঙ্গে আমার আধ্যাত্মিক যোগাযোগ রয়েছে। লখনউতে তাঁর সঙ্গে আমার দেখা হয়েছিল এবং পরে মুম্বইতে থাকাকালীন আমার বাড়িতে আসার জন্য তাঁকে অনুরোধ করেছিলাম”। এমনকী রাজনীতিতে প্রবেশেরও কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, “জল্পনা-কল্পনা করবেন না, এ ধরনের কিছুই এখনও ঘটেনি”।
এখনও পর্যন্ত বিজেপি বা রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার কোনো পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেননি মিঠুন। তবে কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপস্থিতিতে তিনি গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন বলে জোর জল্পনা ছড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে রাজ্যসভার সদস্য হয়েছিলেন মিঠুন। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠিয়েছিলেন ২০১৪-র এপ্রিল। তবে বছর দুয়ের পরেই শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি পদত্যাগ করেন। ২০১৬-র ডিসেম্বর মাসে তিনি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দেন।
সারদা আর্থিক কেলেঙ্কারিতেও নাম জড়ায় মিঠুনের। ২০১৪ সালে তাঁকে তলব করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। অভিযোগ, সারদা থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টে ১.২ কোটি টাকা স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। সেই টাকা তিনি ইডি-কে ফেরতও দেন।
এক সময়ে উগ্র বামপন্থার সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন মিঠুন। রাজ্যের প্রয়াত পরিবহণমন্ত্রী সুভাষ চক্রবর্তী-সহ বেশ কিছু বামনেতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল তাঁর।
আরও পড়তে পারেন: টিকিট মেলেনি, কান্নায় ভেঙে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক
বীরভূম
টিকিট মেলেনি, কান্নায় ভেঙে পড়লেন তৃণমূল বিধায়ক
“ওরা টুপি পরতে বারন করেছিল, কিন্তু আমি শুনিনি”, অভিযোগ বিদায়ী বিধায়কের!

খবর অনলাইন ডেস্ক: শুক্রবার ২৯১ আসনে প্রার্থীতালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেই তালিকায় বাদ পড়েছে নলহাটির বিদায়ী বিধায়ক মইনুদ্দিন শাসমসের নাম। টিকিট না পেয়ে ফেসবুক লাইভে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি।
এ দিন ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, “দল যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে, সেখানে নলহাটি বিধানসভা থেকে আমার নাম বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার অপরাধ এটাই, আমি পাঁচ বছরে নিজের বিধানসভা এলাকার মানুষের সেবা করার চেষ্টা করেছি। মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সমস্ত বাধা অতিক্রম করে আমি নলহাটির উন্নয়নের চেষ্টা করেছি। আমি কোনো দিন বালি মাফিয়াদের সঙ্গে আপস করিনি। আমি কোনো দিন কয়লা, পাথর মাফিয়াদের সঙ্গে আপস করিনি। এটাই আমার অপরাধ”।
তাঁর মারাত্মক অভিযোগ, “আমার সব থেকে বড়ো অপরাধ, আমি এক জন টুপি পরা মুসলমান। ওরা আমাকে টুপি পরতে বারণ করেছিল। আমি তা শুনিনি”।
পাশাপাশি তৃণমূল নেতৃত্বকে হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, দলের টিকিট না পেলেও এ বারের ভোটে নলহাটি থেকেই ফের ভোটের ময়দানে লড়বেন। তবে কোন দলে যোগ দেবেন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
আগামী দু’দিনের মধ্যেই তা স্পষ্ট করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রাক্তন বাম মন্ত্রী কলিমুদ্দিন শামসের পুত্র। উল্লেখ্য,নলহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে এ বার তৃণমূলের প্রার্থী হচ্ছেন রাজেন্দ্র প্রসাদ সিং। এই ঘোষণার পরেই ফেসবুক লাইভে তাঁর ওপর হওয়া ‘অবিচারের’ জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন মইনুদ্দিন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ভোটে তৃণমূল প্রার্থী হন ছেলে মইনুদ্দিন। সে বার তিনি ফরোয়ার্ড ব্লক প্রার্থী দীপক চট্টোপাধ্যায়কে ১০ হাজারের বেশি ভোটে হারিয়ে দেন।
আরও পড়তে পারেন: পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
রাজ্য7 hours ago
পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার2 days ago
কেন্দ্রের নতুন শিক্ষানীতির আওতায় মাদ্রাসায় পড়ানো হবে গীতা, রামায়ণ, বেদ-সহ অন্যান্য বিষয়
-
শিক্ষা ও কেরিয়ার2 days ago
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নয়া মোড়, ফের কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য
-
দেশ2 days ago
স্বামীর ‘দাসী’ নন স্ত্রী, এক সঙ্গে থাকতে বাধ্য করা যাবে না, বলল সুপ্রিম কোর্ট