পশ্চিম বর্ধমান
তৃণমূলেই থাকছি, দলনেত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব: অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠকের পর জানালেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি
আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ একাধিক বিজেপি নেতা তাঁকে বিজেপিতে নেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন।

খবরঅনলাইন ডেস্ক: ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে এলেন। তৃণমূলেই থাকছেন আসানসোলের ‘বিদ্রোহী’ নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি (JItendra Tiwari)। তাঁর চার দিনের বিদ্রোহে ইতি পড়ে গেল।
শুক্রবার রাতে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠকের পর পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জানান, তিনি তৃণমূলেই থাকছেন। বৈঠকের পর অরূপবাবুও জানিয়েছেন, জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে সব বিরোধ মিটে গিয়েছে।
‘ভুল করেছিলেন’ জিতেন্দ্র
অরূপবাবুর সঙ্গে বৈঠকের পর জিতেন্দ্র তেওয়ারি বলেন, “দল ছাড়ার কথা বলে ভুল করেছিলাম। মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিচ্ছি। দলনেত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব।” মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূলে ছিলেন, আছেন, থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপির বিরুদ্ধে শেষ লড়াই করবেন।”
আসানসোল থেকে শুক্রবার সকালেই কলকাতায় পৌঁছে যান সস্ত্রীক জিতেন্দ্র। অরূপবাবুর সঙ্গে এ দিন রাতে নিউ আলিপুরের সুরুচি সংঘ ক্লাবে বৈঠকে বসেন। ওই বৈঠকে প্রশান্ত কিশোরও ছিলেন।
বৈঠকের পরে জিতেন্দ্র বলেন, “আমি তৃণমূলেই থাকছি। আমার ইস্তফা গ্রহণ না করতে অনুরোধ করব। অরূপ বিশ্বাস আমাকে বলেছেন, মমতাদি আমার আচরণে আঘাত পেয়েছেন। মমতাদিকে আমি আঘাত দিতে চাই না। আমি দিদির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব। দল ছাড়ার কথা বলা ভুল হয়েছিল। আমি যেমন দলের কাজ করছিলাম তেমনই করব।”
মাকে কেউ ছেড়ে যায় না: অরূপ
জিতেন্দ্র বলেন, তিনি কখনও বিজেপিতে যাওয়ার কথা বলেননি। তবে দল ছাড়ার কথা বলেছিলেন। অরূপবাবু বলেন, পরিবারে নানা বিষয়ে মতবিরোধ হয়। তাই বলে কেউ মাকে ছেড়ে চলে যায় না।
বৃহস্পতিবার দলের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এর পরই তাঁর বিজেপিতে যাওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। কিন্তু আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ-সহ একাধিক বিজেপি নেতা তাঁকে বিজেপিতে নেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হন।
এর পরই কলকাতায় আগমন জিতেন্দ্র তিওয়ারির, অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে বৈঠক এবং তৃণমূলে থেকে যাওয়ার কথা ঘোষণা।
আরও পড়ুন: তৃণমূল ছাড়লেন কাঁথি উত্তরের বিধায়ক বনশ্রী মাইতি
পশ্চিম বর্ধমান
জিতেন্দ্রর বিজেপি-যোগের জল্পনা চাউর হতেই বিস্ফোরক বাবুল সুপ্রিয়
“মন থেকে মেনে নিতে পারব না”

খবরঅনলাইন ডেস্ক: আসানসোলের সদ্যপ্রাক্তন পুরপ্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূল ছাড়তেই তাঁর বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা বেড়েছে। এর পরেই ফেসবুকে তোপ দাগলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। জিতেন্দ্রকে তিনি কখনোই মন থেকে বিজেপিতে মেনে নিতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়েছেন বাবুল।
“মন থেকে মেনে নিতে পারব না”
ফেসবুকে এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও পোস্ট করেন বাবুল। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমার টপ বস্রা কী করেন, সেটা আলাদা ব্যাপার। সেই সিদ্ধান্তই সর্বোচ্চ। তাতে আমার কিছু বলার অধিকার নেই। কিন্তু আমার প্রচুর বিজেপি সহকর্মী এত দিন ধরে চূড়ান্ত ভাবে আক্রান্ত, নির্যাতিত, আহত হয়েছেন। জীবন দিয়েছেন। ভুয়ো কেসে জেলে রয়েছেন। এই পুরো ব্যাপারটা তৃণমূলের মাননীয়া নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায়, তাঁর নির্দেশে আসানসোল-দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতারা কার্যকর করেছেন। আপনারাও জানেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি তাঁদের মধ্যে অন্যতম।’’
জিতেন্দ্র বিজেপি-তে যোগ দিলে সেটা তাঁর এবং স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের কাছে ‘কাটা ঘায়ে নুনের ছিটে’ বলে বর্ণনা করে বাবুল আরও বলেছেন, ‘‘এঁদের কারও বিজেপি-তে যোগ দেওয়াটা আমি মন থেকে মেনে নিতে পারব না।’’
‘গোপন ডিল’-এর গুজব
বাবুল আরও জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি নিয়ে তিনি বিজেপি-র কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করবেন। যা থেকে পরিষ্কার যে, জিতেন্দ্রর তৃণমূল ত্যাগ এবং বিজেপি-তে যোগদানের বিষয়ে বাবুল আগে থেকে কিছুই জানতেন না।
বস্তুত, বাবুল জানিয়েছেন, জিতেন্দ্রর বিজেপি-তে যোগদানের খবর চাউর হতেই বাবুলের সঙ্গে তাঁর কোনো ‘গোপন ডিল’ হয়েছে বলে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া শুরু হয়েছে। এতেই ক্ষুণ্ণ হয়েছেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বাবুলের এই প্রসঙ্গেই সাফ কথা, “আমি কারও সঙ্গে কখনও গোপনে আঁতাত করিনি, আর ভবিষ্যতেও করব না।”
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে দোলা সেনকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন বাবুল। পাঁচ বছর পর তিনি হারান মুনমুন সেনকে। লোকসভা ভোটের প্রার্থী ভিন্ন হলেও গোটা লড়াইয়ে বাবুলকে আদতে লড়তে হয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধেই। কিন্তু তৃণমূলের জেলা সভাপতি হিসেবে জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধেও বাবুলকে অহরহ লড়তে হয়েছে। এখনও হয়। ফলে তাঁর ‘ব্যক্তিগত উষ্মা’ স্বাভাবিক বলেই তাঁর অনুগামীরা মনে করছেন।
খবরঅনলাইনে আরও পড়তে পারেন
জোরাল ভূমিকম্পে আতঙ্ক ছড়াল দিল্লিতে
পশ্চিম বর্ধমান
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগের দিনেই পুর প্রশাসকপদ ছাড়লেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি
আগামী শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের কথা জিতেন্দ্রর!

খবর অনলাইন ডেস্ক: আসানসোল পুরসভার প্রধান প্রশাসকপদ থেকে ইস্তফা দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। রাজ্যের বিরুদ্ধে আসানসোল পুরসভাকে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার ইস্তফা দিলেন তিনি।
কেন পদত্যাগ
এ দিন জিতেন্দ্র বলেন, “আসানসোলকে প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এ রকম ভাবে পুর প্রশাসক হিসেবে থাকা যায় না। এ ভাবে থেকে লাভ-ও নেই। আসানসোলের উন্নয়নের স্বার্থে লড়াই করতে হবে”।
পুরসভার সহকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “কয়েক মাসের মধ্যেই আবার ভোট হবে। নির্বাচনের পর আবার আমাদের লোক আসবেন। আপনাদের যত সমস্যা রয়েছে, সবই সমাধান হয়ে যাবে। যাঁরা আসবেন, তাঁদেরকে সমর্থন করতে হবে”।
সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, “আসানসোলের প্রতি রাজ্য সরকারের যে বঞ্চনা, তার বিরুদ্ধেই এই ইস্তফা। হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আয় হয় এখানে থেকে, কিন্তু উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ নেই। আমি মুখ্যমন্ত্রীকে বিড়ম্বনায় ফেলতে চাই না। ফিরহাদ হাকিমকে সব কিছু জানিয়েছিলাম। কোনো কাজ হয়নি। মন্ত্রী নিজের তাগিদে আসানসোলকে বঞ্চিত রাখছেন”।
তা হলে কি বিজেপিতে?
তা হলে কি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেবেন জিতেন্দ্র? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস যদি আমাকে দল ছেড়ে দিতে বলে, তা হলে আমি দল ছেড়ে দেব। কিন্তু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ভাবছি না। আমি মনে করি, তৃণমূলে সব থেকে বেশি জনপ্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী কেন দল ছাড়ছেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে করে তাঁকেও ফিরিয়ে নিয়ে আসা দরকার”।
আসানসোলের পুরপ্রশাসকের পাশাপাশি জিতেন্দ্র পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সভাপতি। গত কয়েক দিন ধরেই তিনি দলের বিরুদ্ধে ‘বেসুরো’ গাইছিলেন। ক্রমাগত ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে উত্তরবঙ্গ থেকে গতকাল তাঁকে ফোন করেন দলনেত্রী। জানা যায়, উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে আগামী ১৮ ডিসেম্বর জিতেন্দ্রর সঙ্গে কথা বলবেন মমতা।
আরও পড়তে পারেন: তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলেন শুভেন্দু অধিকারী
পশ্চিম বর্ধমান
জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ফোন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
১৮ ডিসেম্বর জিতেন্দ্রর সঙ্গে কথা বলবেন মমতা।

খবর অনলাইন ডেস্ক: আসানসোল পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূল সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে (Jitendra Tiwari) ফোন করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
বুধবার উত্তরবঙ্গ থেকে বিধায়ক জিতেন্দ্রকে ফোন করেন মমতা। তিনি জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরে আগামী ১৮ ডিসেম্বর জিতেন্দ্রর সঙ্গে কথা বলবেন।
পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। ‘রাজনৈতিক কারণে’ কেন্দ্রীয় অনুদান থেকে আসানসোলকে বঞ্চিত করার অভিযোগ তুলে ফিরহাদকে চিঠি দিয়েছিলেন জিতেন্দ্র। যা নিয়ে ফিরহাদ-জিতেন্দ্র বাকযুদ্ধের সৃষ্টি হয়। সংঘাত মেটাতে গত মঙ্গলবার পুরমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার নির্দেশ দেওয়া হয় জিতেন্দ্রকে। কিন্তু সেই বৈঠক এড়িয়ে যান জিতেন্দ্র।
শোনা যায়, এ দিনই তাঁর জেলা সভাপতিপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দলনেত্রীর ফোন পাওয়ার পর আপাতত সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়ে যায়। মমতার ফোন প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র বলেন, “তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব”।
প্রসঙ্গত, শেষ কয়েক দিন ধরে তৃণমূলের একাংশের সঙ্গে সংঘাতের জেরেই জিতেন্দ্র ঘোষণা করে দেন, “এক সময়ে তো সিদ্ধান্ত নিতেই হবে! আর ভয় দেখিয়ে রাখা যাবে না। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, বললে চলে যাব। কিন্তু মানুষের সঙ্গেই থাকব। মানুষের বাইরে তো আর থাকতে পারব না”!
এ দিন দুর্গাপুরের কোকওভেন থানার একটি বেসরকারি কারখানার সামনে দলের শ্রমিক সংগঠনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জিতেন্দ্র বলেন, “দিদির সঙ্গে থাকতে চাই, তবে দিদির পরে যারা আছেন, তাঁদের দলদাস হয়ে নয়”।
এ দিনই বিধায়কপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এ প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র বলেন, “দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর যদি কেউ জনপ্রিয় নেতা থাকেন, তিনি শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে বসে আলোচনা করে ক্ষোভ মেটানো দরকার ছিল”।
এখন দেখার, দলনেত্রীর সঙ্গে ‘বেসুরো’ তৃণমূল নেতার বৈঠকে বরফ আদৌ গলে কি না!
আরও পড়তে পারেন: বিধায়কপদে ইস্তফা শুভেন্দু অধিকারীর
-
প্রযুক্তি22 hours ago
রান্নার গ্যাসের ভরতুকির টাকা অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে কি না, কী ভাবে দেখবেন
-
প্রযুক্তি2 days ago
এ ভাবেই তৈরি করুন সদ্যোজাত শিশুর আধার কার্ড, জানুন কী কী লাগবে
-
ফুটবল3 days ago
দশ জনে খেলা হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তের গোলে মান বাঁচাল এটিকে মোহনবাগান
-
ফুটবল2 days ago
কোনো রকমে হার বাঁচানো এটিকে মোহনবাগানের খেলায় বেজায় ক্ষুব্ধ আন্তোনিও লোপেজ আবাস