ওয়েবডেস্ক: কেরল জুড়ে নিপা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর বিভীষিকা ছড়িয়ে পড়েছে গোটা ভারতে। ইতিমধ্যে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ডজনের উপর। আক্রান্ত রোগীর শুশ্রষা করতে গিয়েছে প্রাণ দিয়েছেন এক ৩২ বছরের নার্স। তবে নিপায় আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে চিকিৎসকের মৃত্যুর নজির রয়েছে খোদ পশ্চিমবঙ্গেই।
২০০১ সালে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা। শিলিগুড়িতে আকস্মিক ভাবে আবির্ভাব ঘটে এক অজানা জ্বরের। রোগের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণের আগেই একাধিক আক্রান্তের মৃত্যু হয়। আক্রান্তের শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজিতে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকেই জানা যায়, অজানা ওই জ্বরের কারণ নিপা ভাইরাস। এই ভয়ঙ্কর ভাইরাসের প্রকোপে প্রায় ৪৫ জনের মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছিল সে বার। মৃতের তালিকায় ছিল এক চিকিৎসকের নামও।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের এক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসকের স্মৃতিচারণায় উঠে এসেছে তেমনই তথ্য। চিকিৎসক এন বি দেবনাথ জানিয়েছেন, স্থানীয় একটি নার্সিংহোম থেকে জ্বর নিয়ে এক রোগী ভর্তি হন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে। এর পর একে একে একই রকম জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আসতে শুরু করেন ওই নার্সিংহোমের কর্মীরাও।
আরও পড়ুন: নিপা ভাইরাস আক্রান্ত রোগীর সেবা করে প্রাণ দিলেন নার্স, লিখে গেলেন হৃদয় বিদারক চিঠি
ওই নার্সিংহোম পর্যবেক্ষণে গিয়ে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক দল বুঝতে পারেন কোনো এক রোগীর থেকেই ওই রোগ সংক্রমণ হচ্ছে। পৃথক ইউনিটে রাখার ব্যবস্থা করা হয় ওই জ্বরে আক্রান্তদের। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানেই মৃত্যু হয় বেশ কয়েক জন রোগীর। একই সঙ্গে নিপা ভাইরাস সংক্রমিত রোগীর চিকিৎসা করতে গিয়ে নিজেই আক্রান্ত হন চিকিৎসক অজিত মাইতি। তাঁরও মৃত্যু হয় ওই নিপা ভাইরাসেই।
(ছবি প্রতীকী)